সম্পাদকীয়
গরিবের টাকা মেরে খাওয়া এখন যেন কোনো বড় ব্যাপার নয়। যাঁরা যথেষ্ট সচ্ছল এবং গরিবকে বাঁচিয়ে রাখা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরাই যখন গরিবের টাকা মেরে খান, তখন গরিবের বাঁচার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
এতিম শিশুদের কথা বলে টাকা তুলে নিচ্ছেন এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা। কিছুসংখ্যক এতিম শিক্ষার্থী হয়তো আছে প্রতিষ্ঠানে, কিন্তু অনেক অনেক ভুয়া এতিমের নাম লিপিবদ্ধ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন এ দুই ব্যক্তি। কোনো ধরনের নৈতিক অবস্থান তাঁদের কেন নেই, সেই প্রশ্ন আপাতত বাদ রাখছি। কারণ, নানা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নৈতিকতা বিষয়টি অনেক ফিকে হয়ে এসেছে আমাদের সমাজে অনেক আগেই। মুফতে টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যাওয়ার সুযোগ যখন দেখা যাচ্ছে চারদিকে, তখন যে কেউ অসৎ হয়ে বিত্তবান হওয়ার এই প্রবণতা হঠাৎ করেই থেমে যাবে—এটা কল্পনা করা কঠিন।
তবে আত্মসাৎকাণ্ড ঘটানো খুব কঠিন কিছু নয়। কীভাবে টাকাটা লুটেপুটে নেওয়া যায়, সেটা ঠিক করে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আল আমিন শিশুসদনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। তিনি শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ককে এই চৌর্যবৃত্তির অংশীদার করে তুললেন। শিশুসদনটিতে ৮ থেকে ১০ জন এতিম শিশু রয়েছে। কিন্তু আরও অনেক বেশি শিশু এখানে রয়েছে বলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করা হয়। সেই কাগজপত্রের জোরে এতিম শিশুদের জন্য ষান্মাসিক বরাদ্দ ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম। তাঁর এই অন্যায় কাজের একটা জবাবদিহিও নিজে নিজেই দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানে অল্পসংখ্যক হলেও এতিম ও দুস্থ শিশু খাওয়া-দাওয়া করে। বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা না হলে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড বাতিল হয়ে যাবে।
ভালো কথা। দুস্থ শিশুদের জন্য নিশ্চয়ই তার প্রাণ কাঁদে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, টাকা উত্তোলন করার পর তা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর করা হয়নি। তাহলে টাকাটা কোথায় গেল?
সেটা বোঝা কি খুব কঠিন? তারা টাকা আরও নিয়েছেন এবং সরিয়ে ফেলেছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক যে এ রকম অন্যায় করে যাচ্ছেন, এটা নিশ্চয়ই এলাকার কারও অজানা নয়। তাঁরা এই টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে যে ব্যাখ্যাই দিয়ে থাকুন না কেন, টাকাটা যে নিজেদের পকেটে গেছে তা তো ওপেন সিক্রেট। সুতরাং তাঁদের জবাবদিহি যেমন আবশ্যক, তেমনি এই অপরাধের শাস্তিবিধানও জরুরি। একটু স্বস্তির জায়গা হলো, জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবগত আছেন এবং ইউএনওর কাছ থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে এই টাকা তাঁরাই আত্মসাৎ করেছেন এবং তিনি এতিমের বরাদ্দ লোপাটসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খটকা শুধু এক জায়গায়। এ রকম কত আশ্বাসই তো দেওয়া হয়ে থাকে, তার মধ্যে কতটাই-বা পালন করা হয়!
গরিবের টাকা মেরে খাওয়া এখন যেন কোনো বড় ব্যাপার নয়। যাঁরা যথেষ্ট সচ্ছল এবং গরিবকে বাঁচিয়ে রাখা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরাই যখন গরিবের টাকা মেরে খান, তখন গরিবের বাঁচার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
এতিম শিশুদের কথা বলে টাকা তুলে নিচ্ছেন এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা। কিছুসংখ্যক এতিম শিক্ষার্থী হয়তো আছে প্রতিষ্ঠানে, কিন্তু অনেক অনেক ভুয়া এতিমের নাম লিপিবদ্ধ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন এ দুই ব্যক্তি। কোনো ধরনের নৈতিক অবস্থান তাঁদের কেন নেই, সেই প্রশ্ন আপাতত বাদ রাখছি। কারণ, নানা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নৈতিকতা বিষয়টি অনেক ফিকে হয়ে এসেছে আমাদের সমাজে অনেক আগেই। মুফতে টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যাওয়ার সুযোগ যখন দেখা যাচ্ছে চারদিকে, তখন যে কেউ অসৎ হয়ে বিত্তবান হওয়ার এই প্রবণতা হঠাৎ করেই থেমে যাবে—এটা কল্পনা করা কঠিন।
তবে আত্মসাৎকাণ্ড ঘটানো খুব কঠিন কিছু নয়। কীভাবে টাকাটা লুটেপুটে নেওয়া যায়, সেটা ঠিক করে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আল আমিন শিশুসদনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। তিনি শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ককে এই চৌর্যবৃত্তির অংশীদার করে তুললেন। শিশুসদনটিতে ৮ থেকে ১০ জন এতিম শিশু রয়েছে। কিন্তু আরও অনেক বেশি শিশু এখানে রয়েছে বলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করা হয়। সেই কাগজপত্রের জোরে এতিম শিশুদের জন্য ষান্মাসিক বরাদ্দ ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম। তাঁর এই অন্যায় কাজের একটা জবাবদিহিও নিজে নিজেই দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানে অল্পসংখ্যক হলেও এতিম ও দুস্থ শিশু খাওয়া-দাওয়া করে। বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা না হলে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড বাতিল হয়ে যাবে।
ভালো কথা। দুস্থ শিশুদের জন্য নিশ্চয়ই তার প্রাণ কাঁদে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, টাকা উত্তোলন করার পর তা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর করা হয়নি। তাহলে টাকাটা কোথায় গেল?
সেটা বোঝা কি খুব কঠিন? তারা টাকা আরও নিয়েছেন এবং সরিয়ে ফেলেছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক যে এ রকম অন্যায় করে যাচ্ছেন, এটা নিশ্চয়ই এলাকার কারও অজানা নয়। তাঁরা এই টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে যে ব্যাখ্যাই দিয়ে থাকুন না কেন, টাকাটা যে নিজেদের পকেটে গেছে তা তো ওপেন সিক্রেট। সুতরাং তাঁদের জবাবদিহি যেমন আবশ্যক, তেমনি এই অপরাধের শাস্তিবিধানও জরুরি। একটু স্বস্তির জায়গা হলো, জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবগত আছেন এবং ইউএনওর কাছ থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে এই টাকা তাঁরাই আত্মসাৎ করেছেন এবং তিনি এতিমের বরাদ্দ লোপাটসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খটকা শুধু এক জায়গায়। এ রকম কত আশ্বাসই তো দেওয়া হয়ে থাকে, তার মধ্যে কতটাই-বা পালন করা হয়!
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে