সৌগত বসু, ঢাকা
রাস্তার ধারে জমে থাকা পানিতে পড়ে ছিল বিদ্যুতের তার। তার স্পর্শেই জীবন গেছে ৭ বছর বয়সী লিমার। লিমার বাবা-মাসহ চারজনের একই পরিণতি হয়েছে। পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ছয় মাস বয়সী হোসেইন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ছয় ঘণ্টার বর্ষণে রাস্তার পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এই চারজনের প্রাণহানি ছাড়াও নগরীর রামপুরা, ভাটারা, আজিমপুর, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, পান্থপথ, মালিবাগ, পুরান ঢাকা, মিরপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা ও অলিগলি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ছিল পানির নিচে।
ভাটারা, সাতারকুল, পূর্ব বাড্ডাসহ আশপাশের এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাতে অর্থাৎ বৃষ্টি শেষ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পরও পানি জমে ছিল। আজিমপুরসহ কিছু এলাকার পানি নামেনি ১৪ ঘণ্টায়ও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ জলাবদ্ধতার মূল কারণ খালগুলো অবৈধ দখলে থাকা, পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যত কোনো পরিকল্পনা না থাকা।
পূর্ব বাড্ডার পোস্ট অফিস রোড, বৈঠাখালি সড়ক, আনন্দনগর, রুপনগর জয় বাংলা মোড়, জোড়া খাম্বা এলাকার রাস্তা গত রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। এলাকাগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। এসব এলাকায় পানি জমলে সাত দিনেও নামে না। একই অবস্থা ভাটারা ও সাতারকুল এলাকার।
পূর্ব বাড্ডার বাসিন্দা এইচ এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই এলাকার স্যুয়ারেজ (নিষ্কাশন) ব্যবস্থা অনেক দিন থেকে নষ্ট। এটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি থাকে তিন দিন। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পানি যে কবে নামবে, কেউ জানে না।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান সড়কে আর কোনো জলাবদ্ধতা নেই।অলিগলিতে কিছু জায়গায় পানি আছে। সেগুলো নিষ্কাশনের কাজ চলছে। আমরা কাজ করছি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর প্রভাব গতকালও কাটেনি। এর মধ্যেই অধিদপ্তর জানিয়েছে, আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাব থাকবে আরও দুদিন। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুখ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায়ও এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাবে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত শিপন প্রামাণিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত একটায় অফিস শেষ হওয়ার পর নিচে নেমে দেখি, বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না। পানিতে বাইকের চাকা ডুবে আছে। এরপর কোনোরকমে স্টার্ট নিয়ে যখন বাড্ডায় বাসার দিকে রওনা দিলাম, তখন আশপাশে হাঁটুপানি।’ শিপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলেও রাস্তা থেকে পানি সরাতে পারছে না। এমন দুর্ভোগে এর আগে কখনো পড়িনি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জিগাতলা থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত অংশে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পানি নামেনি।নিউমার্কেটের ভেতর ও সামনের সড়ক পুরোটাই দুপুর পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল-সংলগ্ন রাস্তায় গতকাল দুপুরেও পানির স্রোত বইতে দেখা যায়। আজিমপুরের একাংশ এবং পিলখানায় ছিল হাঁটুপানি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আজিমপুরের বাসিন্দা তবিবুর রহমান বলেন, ‘গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় রওনা দিয়ে বাসায় আসি ২টায়। তেজগাঁও আসার পর থেকে শুধু পানি আর পানি। কোনোরকমে বাসায় ফিরলেও শুক্রবার দুপুরে অফিসে যাওয়ার সময়ও দেখি একই অবস্থা।’ তবিবুর বলেন, সাধারণত ভারী বৃষ্টিতে এক থেকে দুই ঘণ্টা পানি জমে থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ১৪ ঘণ্টা পরও পানির দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়নি।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবার পানি নেমে গেলেও এবার কেন এসব এলাকা থেকে পানি নামছে না, তার কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে এসব এলাকায় ডুবুরিরা কাজ করছে।
তারা জানার চেষ্টা করছে কেন এমন হয়েছে। তিনি বলেন, এটা বর্জ্যের কোনো সমস্যা নয়। কোথাও কিছু একটা আটকে আছে।করপোরেশনের তিন অঞ্চলের ৩০টা ওয়ার্ডে কাজ চলছে। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া অনুযায়ী তাঁদের কর্মীরা মাঠে থাকবেন।
জানা যায়, ঢাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিল ৪টি নদী ও ৬৫টি খাল। এখন খাল আছে ২৬টি। আর নদীগুলোর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) হিসাবমতে, গত ৯ বছরে ঢাকার ৩ হাজার ৪৮৩ একর জলাভূমি ভরাট হয়ে গেছে। রাজউকের আওতাধীন ঢাকার আশপাশের জলাভূমির ৩৬ শতাংশ বা ২২ হাজার ১৫৬ একর নিচু জলাভূমি দখলদারদের হাতে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যম হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এখন ২৬টি খাল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার), প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার বড় নালা এবং চারটি পাম্পস্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে। প্রায় ২ হাজার ২১১ কিলোমিটার নালা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে নেয় দুই সিটি করপোরেশন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগণের ওপর দায় চাপিয়ে কর্তৃপক্ষের দায় আড়াল করা যাবে না। ঢাকার এই পরিস্থিতির জন্য এক-পঞ্চমাংশের দায় নাগরিকের।
কিন্তু সে দায়ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় খাল ভরাট করে বড় ভবন তৈরি হচ্ছে। তখন এই অনুমতি তো কর্তৃপক্ষই দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে তারা? একটা বাড়ি বানাতে যে রাস্তা ছাড়তে হয়, সেটা তো ছাড়া হচ্ছে না। কেন কর্তৃপক্ষ ধরছে না?
সর্বোপরি, এমন অতিবর্ষণ বছরে এক-দুবার হয়। এটা সবাই জানে। তাহলে এত বছরে কেন পরিকল্পনা হয়নি? এই দায় তো কর্তৃপক্ষের। এই দায় এড়ানো যাবে না।’
রাস্তার ধারে জমে থাকা পানিতে পড়ে ছিল বিদ্যুতের তার। তার স্পর্শেই জীবন গেছে ৭ বছর বয়সী লিমার। লিমার বাবা-মাসহ চারজনের একই পরিণতি হয়েছে। পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ছয় মাস বয়সী হোসেইন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ছয় ঘণ্টার বর্ষণে রাস্তার পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এই চারজনের প্রাণহানি ছাড়াও নগরীর রামপুরা, ভাটারা, আজিমপুর, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, পান্থপথ, মালিবাগ, পুরান ঢাকা, মিরপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা ও অলিগলি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ছিল পানির নিচে।
ভাটারা, সাতারকুল, পূর্ব বাড্ডাসহ আশপাশের এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাতে অর্থাৎ বৃষ্টি শেষ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পরও পানি জমে ছিল। আজিমপুরসহ কিছু এলাকার পানি নামেনি ১৪ ঘণ্টায়ও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ জলাবদ্ধতার মূল কারণ খালগুলো অবৈধ দখলে থাকা, পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যত কোনো পরিকল্পনা না থাকা।
পূর্ব বাড্ডার পোস্ট অফিস রোড, বৈঠাখালি সড়ক, আনন্দনগর, রুপনগর জয় বাংলা মোড়, জোড়া খাম্বা এলাকার রাস্তা গত রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। এলাকাগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। এসব এলাকায় পানি জমলে সাত দিনেও নামে না। একই অবস্থা ভাটারা ও সাতারকুল এলাকার।
পূর্ব বাড্ডার বাসিন্দা এইচ এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই এলাকার স্যুয়ারেজ (নিষ্কাশন) ব্যবস্থা অনেক দিন থেকে নষ্ট। এটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি থাকে তিন দিন। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পানি যে কবে নামবে, কেউ জানে না।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান সড়কে আর কোনো জলাবদ্ধতা নেই।অলিগলিতে কিছু জায়গায় পানি আছে। সেগুলো নিষ্কাশনের কাজ চলছে। আমরা কাজ করছি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর প্রভাব গতকালও কাটেনি। এর মধ্যেই অধিদপ্তর জানিয়েছে, আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাব থাকবে আরও দুদিন। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুখ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায়ও এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাবে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত শিপন প্রামাণিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত একটায় অফিস শেষ হওয়ার পর নিচে নেমে দেখি, বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না। পানিতে বাইকের চাকা ডুবে আছে। এরপর কোনোরকমে স্টার্ট নিয়ে যখন বাড্ডায় বাসার দিকে রওনা দিলাম, তখন আশপাশে হাঁটুপানি।’ শিপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলেও রাস্তা থেকে পানি সরাতে পারছে না। এমন দুর্ভোগে এর আগে কখনো পড়িনি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জিগাতলা থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত অংশে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পানি নামেনি।নিউমার্কেটের ভেতর ও সামনের সড়ক পুরোটাই দুপুর পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল-সংলগ্ন রাস্তায় গতকাল দুপুরেও পানির স্রোত বইতে দেখা যায়। আজিমপুরের একাংশ এবং পিলখানায় ছিল হাঁটুপানি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আজিমপুরের বাসিন্দা তবিবুর রহমান বলেন, ‘গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় রওনা দিয়ে বাসায় আসি ২টায়। তেজগাঁও আসার পর থেকে শুধু পানি আর পানি। কোনোরকমে বাসায় ফিরলেও শুক্রবার দুপুরে অফিসে যাওয়ার সময়ও দেখি একই অবস্থা।’ তবিবুর বলেন, সাধারণত ভারী বৃষ্টিতে এক থেকে দুই ঘণ্টা পানি জমে থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ১৪ ঘণ্টা পরও পানির দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়নি।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবার পানি নেমে গেলেও এবার কেন এসব এলাকা থেকে পানি নামছে না, তার কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে এসব এলাকায় ডুবুরিরা কাজ করছে।
তারা জানার চেষ্টা করছে কেন এমন হয়েছে। তিনি বলেন, এটা বর্জ্যের কোনো সমস্যা নয়। কোথাও কিছু একটা আটকে আছে।করপোরেশনের তিন অঞ্চলের ৩০টা ওয়ার্ডে কাজ চলছে। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া অনুযায়ী তাঁদের কর্মীরা মাঠে থাকবেন।
জানা যায়, ঢাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিল ৪টি নদী ও ৬৫টি খাল। এখন খাল আছে ২৬টি। আর নদীগুলোর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) হিসাবমতে, গত ৯ বছরে ঢাকার ৩ হাজার ৪৮৩ একর জলাভূমি ভরাট হয়ে গেছে। রাজউকের আওতাধীন ঢাকার আশপাশের জলাভূমির ৩৬ শতাংশ বা ২২ হাজার ১৫৬ একর নিচু জলাভূমি দখলদারদের হাতে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যম হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এখন ২৬টি খাল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার), প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার বড় নালা এবং চারটি পাম্পস্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে। প্রায় ২ হাজার ২১১ কিলোমিটার নালা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে নেয় দুই সিটি করপোরেশন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগণের ওপর দায় চাপিয়ে কর্তৃপক্ষের দায় আড়াল করা যাবে না। ঢাকার এই পরিস্থিতির জন্য এক-পঞ্চমাংশের দায় নাগরিকের।
কিন্তু সে দায়ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় খাল ভরাট করে বড় ভবন তৈরি হচ্ছে। তখন এই অনুমতি তো কর্তৃপক্ষই দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে তারা? একটা বাড়ি বানাতে যে রাস্তা ছাড়তে হয়, সেটা তো ছাড়া হচ্ছে না। কেন কর্তৃপক্ষ ধরছে না?
সর্বোপরি, এমন অতিবর্ষণ বছরে এক-দুবার হয়। এটা সবাই জানে। তাহলে এত বছরে কেন পরিকল্পনা হয়নি? এই দায় তো কর্তৃপক্ষের। এই দায় এড়ানো যাবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে