সামনে আরও বাড়বে পরিধি

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ১৯

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কী কী সেবা দিচ্ছে?

জাফর আলম: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের দেশে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০১৫ সালে এই সেবা চালু করে। বর্তমানে ব্যাংকটি ৩৩৮টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। দেশব্যাপী ৪৬ জেলার ১৭৩টি উপজেলায় এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। এসব এলাকায় এজেন্ট আউটলেটে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা এবং প্রায় ২ লাখ হিসাবে সংরক্ষিত আমানতের পরিমাণ কমবেশি ৬০০ কোটি টাকা। চলতি বছর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আরও অধিক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা রাখি।

আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং প্রয়োজনীয় কেন?

জাফর আলম: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রসার মূলত শহরকেন্দ্রিক ছিল। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে মানুষের দোরগোড়ার পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিক সেবা পাচ্ছে। তারা সঞ্চয় করতে পারছে। গ্রামীণ জনপদে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠেছে এবং অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে।

আজকের পত্রিকা: এজেন্টদের মাধ্যমে বিনিয়োগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

জাফর আলম: আমরা ইতিমধ্যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছি। খুব শিগগির এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং রিটেইল ইনভেস্টমেন্টের আওতায় কনজ্যুমার বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করা হবে। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই সকল ব্যাংকিং সুবিধা পাবে। এতে গ্রামে-গঞ্জে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।

আজকের পত্রিকা: ভবিষ্যতে এজেন্টরা আর কী কী সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?

জাফর আলম: ভবিষ্যতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই প্রান্তিক মানুষ সকল ব্যাংকিং সুবিধা পাবে। শিগগির গ্রাহকেরা এজেন্ট আউটলেট থেকে কিউ আর কোড দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এজেন্টের মাধ্যমে যাতে গ্রামের মানুষ সরকারি বিভিন্ন অনুদান ও বৃত্তির টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের সম্মানী ভাতা গ্রহণ করতে পারেন, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

আজকের পত্রিকা: যাঁরা এজেন্ট হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ মানুষের পেশা কী ছিল?

জাফর আলম: আমাদের ব্যাংকের যাঁরা এজেন্ট হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ মানুষ ক্ষুদ্র ও ট্রেডিং ব্যবসায়ী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও চাকরিজীবী, সাবেক এনজিও ও বিমা কর্মী এবং বিদেশফেরত আইটি-বেইজড দক্ষ জনবল।

আজকের পত্রিকা: এ সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের আয় কেমন হচ্ছে?

জাফর আলম: আমাদের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এজেন্ট যেন লাভের ভিত্তিতে আউটলেট পরিচালনা করতে পারে। এখানে ব্যাংকের মুনাফার বিষয়টি মুখ্য নয়। তারপরও বলতে পারি, ব্যাংকের লাভে এজেন্ট ব্যাংকিং নিশ্চয়ই ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত