জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে বিমা কোম্পানির শুরুর দিকটা কেমন ছিল?
মো. আপেল মাহমুদ: স্বাধীনতা অর্জনের পরেই বাংলাদেশে বিমার যাত্রা শুরু হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বিমা কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। তিনি বিমার প্রসার এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে বিমা একাডেমি চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাইভেটাইজেশন আইন পাস হলে তার মধ্য দিয়ে বিমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। দিন-দিন বিমা কোম্পানির সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৬টি নন-লাইভ বিমা কোম্পানি রয়েছে। আর জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান এখনো এক শতাংশের নিচে রয়েছে। তবে এসব বিমা কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বিমা ব্যবসার প্রধান বাধা কী?
আপেল: বিমা ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো জনগণের আস্থার ঘাটতি। সাধারণ মানুষ বিমার কোনো কর্মী বা এজেন্ট দেখলে যেন আতঙ্কে পড়ে যায়। আর একটা বাধা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব। তাদের জ্ঞান এবং কৌশলের ঘাটতির কারণে মানুষকে জোরপূর্বক গ্রাহক বানাতে চায়, যা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। এ জন্য অনেকে বিমাকর্মী দেখলে তার আড়াল হতে চেষ্টা করেন। আরেকটি বাধা হলো যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের অভাব এবং বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। আইন হতে হবে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ। তবে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং তা মানবে। কোনো কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে কোনো কোম্পানির সনদ বাতিল করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের উপায় কী?
আপেল: বিমা কোম্পানির প্রতি আস্থা বাড়াতে বিমা সম্পর্কে মানুষের দীর্ঘদিনের ধারণ করা ভুল ধারণা দূর করতে হবে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে বিমা সম্পর্কে বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালাতে হবে। এর পাশাপাশি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছাতে হবে, যাতে কোনো গ্রাহক বিরক্ত না হন। আর কোম্পানিগুলো যদি গ্রাহকের দাবি পূরণে শতভাগ আন্তরিক হয় এবং তা যদি জনগণ বুঝতে পারে তাহলে আস্থা ফিরতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আর সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে, বিপদে মা যেমন সন্তানকে সুরক্ষা দেন, তেমনি বিমা গ্রাহককে মায়ের মতো সুরক্ষা দেয়।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা কতটা?
আপেল: ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিমা খাতের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। গ্রাহকের প্রিমিয়াম থেকে শুরু করে দাবি প্রাপ্তি পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ঘরে বসে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। গ্রাহককে তার সঞ্চিত অর্থের প্রয়োজনীয় তথ্য সব সময় জানান দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহককে আর কোনো শাখা বা এজেন্টের পেছনে ধরনা দিতে হয় না। একেকটা মোবাইল যেন একেকটা সার্ভিস কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান অবস্থা কী?
আপেল: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা বেশ ভালো। কোম্পানির সামগ্রিক কাজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলছে। গ্রাহক তাঁর প্রিমিয়াম জমা দিয়ে অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে সব তথ্য জানতে পারেন। এতে গ্রাহকের দ্বিধা থাকে না। এভাবে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে। ফলে দিন-দিন ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। আর করোনাকালে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের দাবির ৯৫ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সুবিধাভোগীর মধ্যে বিতরণজনিত ঝামেলার কারণে আটকে গেছে।
আজকের পত্রিকা: বিমার ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কী কী?
আপেল: দেশের বিমা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে বিমা সর্বজনীন করতে হবে। বিমার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালাতে হবে। গ্রাহকের টাকা যাতে কোনো কোম্পানি আত্মসাৎ করতে না পারে, তা আইনের দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। বহুতল ভবন ও সকল যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিমা সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এনজিও, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিমার নামে যে টাকা কেটে রাখে, তা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে বিমা কোম্পানির শুরুর দিকটা কেমন ছিল?
মো. আপেল মাহমুদ: স্বাধীনতা অর্জনের পরেই বাংলাদেশে বিমার যাত্রা শুরু হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বিমা কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। তিনি বিমার প্রসার এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে বিমা একাডেমি চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাইভেটাইজেশন আইন পাস হলে তার মধ্য দিয়ে বিমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। দিন-দিন বিমা কোম্পানির সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৬টি নন-লাইভ বিমা কোম্পানি রয়েছে। আর জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান এখনো এক শতাংশের নিচে রয়েছে। তবে এসব বিমা কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বিমা ব্যবসার প্রধান বাধা কী?
আপেল: বিমা ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো জনগণের আস্থার ঘাটতি। সাধারণ মানুষ বিমার কোনো কর্মী বা এজেন্ট দেখলে যেন আতঙ্কে পড়ে যায়। আর একটা বাধা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব। তাদের জ্ঞান এবং কৌশলের ঘাটতির কারণে মানুষকে জোরপূর্বক গ্রাহক বানাতে চায়, যা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। এ জন্য অনেকে বিমাকর্মী দেখলে তার আড়াল হতে চেষ্টা করেন। আরেকটি বাধা হলো যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের অভাব এবং বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। আইন হতে হবে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ। তবে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং তা মানবে। কোনো কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে কোনো কোম্পানির সনদ বাতিল করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের উপায় কী?
আপেল: বিমা কোম্পানির প্রতি আস্থা বাড়াতে বিমা সম্পর্কে মানুষের দীর্ঘদিনের ধারণ করা ভুল ধারণা দূর করতে হবে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে বিমা সম্পর্কে বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালাতে হবে। এর পাশাপাশি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছাতে হবে, যাতে কোনো গ্রাহক বিরক্ত না হন। আর কোম্পানিগুলো যদি গ্রাহকের দাবি পূরণে শতভাগ আন্তরিক হয় এবং তা যদি জনগণ বুঝতে পারে তাহলে আস্থা ফিরতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আর সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে, বিপদে মা যেমন সন্তানকে সুরক্ষা দেন, তেমনি বিমা গ্রাহককে মায়ের মতো সুরক্ষা দেয়।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা কতটা?
আপেল: ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিমা খাতের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। গ্রাহকের প্রিমিয়াম থেকে শুরু করে দাবি প্রাপ্তি পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ঘরে বসে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। গ্রাহককে তার সঞ্চিত অর্থের প্রয়োজনীয় তথ্য সব সময় জানান দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহককে আর কোনো শাখা বা এজেন্টের পেছনে ধরনা দিতে হয় না। একেকটা মোবাইল যেন একেকটা সার্ভিস কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান অবস্থা কী?
আপেল: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা বেশ ভালো। কোম্পানির সামগ্রিক কাজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলছে। গ্রাহক তাঁর প্রিমিয়াম জমা দিয়ে অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে সব তথ্য জানতে পারেন। এতে গ্রাহকের দ্বিধা থাকে না। এভাবে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে। ফলে দিন-দিন ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। আর করোনাকালে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের দাবির ৯৫ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সুবিধাভোগীর মধ্যে বিতরণজনিত ঝামেলার কারণে আটকে গেছে।
আজকের পত্রিকা: বিমার ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কী কী?
আপেল: দেশের বিমা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে বিমা সর্বজনীন করতে হবে। বিমার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালাতে হবে। গ্রাহকের টাকা যাতে কোনো কোম্পানি আত্মসাৎ করতে না পারে, তা আইনের দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। বহুতল ভবন ও সকল যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিমা সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এনজিও, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিমার নামে যে টাকা কেটে রাখে, তা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে