মো. আবুল কালাম, লাকসাম
বর্ষা মৌসুমে লাকসাম উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের জমি পাঁচ থেকে ছয় মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। এই সময়ে জমিতে সবজির চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে বর্ষার এই ছয় মাসও এসব জমিতে সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এখানকার কৃষকেরা পানিতে তলিয়ে থাকা জমিতে ভাসমান বেড তৈরি করে সবজির চাষ করছেন।
এতে সার ও সেচ না লাগায় সবজি বিক্রি করে আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। ফলে দিন দিন বাড়ছে ভাসমান বেডে সবজির চাষ। চাষাবাদে আগ্রহী করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, উপজেলার আবাদযোগ্য জমি ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর। উপজেলার উত্তরাঞ্চলের জমিতে দুই থেকে তিনটি ফসল হয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চল নিচু হওয়ায় বছরের চার থেকে পাঁচ মাস পানি জমে থাকে। তাই ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ১৮৮ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। তাঁদের দেখাদেখি আরও ৪৮ জন কৃষক ভাসমান বেডে সবজির চাষ শুরু করেছেন।
চলতি বছর ৩৬৪ শতক জমিতে ২২৭ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ভাসমান বেডে মসলা, লতাযুক্ত ও লতাবিহীন সবজি আবাদ করছেন কৃষকেরা; বিশেষ করে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, করলা, চিচিঙ্গা, লালশাক, ডাঁটাশাক, গিমা কলমি, পালংশাক, ঢ্যাঁড়স, ধনিয়া, মরিচের চাষ হচ্ছে।
প্রকল্পভুক্ত কৃষক আবদুল মতিন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ভাসমান বেডে সবজির চাষ করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহায়তায় এবার আড়াই শতক জমিতে সবজি চাষ করেছেন। গতবার ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।
সাতবাড়িয়া এলাকার কৃষক সোলেমান বলেন, গত বছর লাভ ভালো হওয়ায় এবার আরও ছয় শতক জমিতে বেড তৈরি করে সবজির চাষ করেছেন তিনি। বর্ষায় কাজ থাকে না। জমিও খালি পড়ে থাকত। বর্তমানে ভাসমান বেডে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এই কৃষক।
বেড তৈরি করতে প্রথমে এক থেকে সোয়া শতক জমির প্রতি বেডে পানির উচ্চতাভেদে এক থেকে দেড় ফুট কচুরিপানা জমানো হয়। পরে আরও এক ফুট অর্ধমজা ও পচা কচুরিপানা দেওয়া হয়। বেডের নিচে বাঁশ দিয়ে চাং তৈরি করতে হয়। এভাবে তৈরি করা বেডে সবজির বীজ লাগানো হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস অর্থ, সেট, ঝাঁজরি, বীজ সংরক্ষণ পাত্র, ছত্রাকনাশক ও সেক্স ফেরোমেন ট্রেপসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও সরেজমিন বেডগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেন।
দাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ সওদাগর বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে চার থেকে পাঁচ মাস জমি জলাবদ্ধ থাকে। সবজি চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এলাকায় সবজির চাহিদাও মিটছে। এ পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে পারলে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটবে।’
আউশপাড়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘উপজেলার ৩০ জন কৃষককে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’
বর্ষা মৌসুমে লাকসাম উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের জমি পাঁচ থেকে ছয় মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। এই সময়ে জমিতে সবজির চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে বর্ষার এই ছয় মাসও এসব জমিতে সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এখানকার কৃষকেরা পানিতে তলিয়ে থাকা জমিতে ভাসমান বেড তৈরি করে সবজির চাষ করছেন।
এতে সার ও সেচ না লাগায় সবজি বিক্রি করে আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। ফলে দিন দিন বাড়ছে ভাসমান বেডে সবজির চাষ। চাষাবাদে আগ্রহী করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, উপজেলার আবাদযোগ্য জমি ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর। উপজেলার উত্তরাঞ্চলের জমিতে দুই থেকে তিনটি ফসল হয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চল নিচু হওয়ায় বছরের চার থেকে পাঁচ মাস পানি জমে থাকে। তাই ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ১৮৮ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। তাঁদের দেখাদেখি আরও ৪৮ জন কৃষক ভাসমান বেডে সবজির চাষ শুরু করেছেন।
চলতি বছর ৩৬৪ শতক জমিতে ২২৭ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ভাসমান বেডে মসলা, লতাযুক্ত ও লতাবিহীন সবজি আবাদ করছেন কৃষকেরা; বিশেষ করে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, করলা, চিচিঙ্গা, লালশাক, ডাঁটাশাক, গিমা কলমি, পালংশাক, ঢ্যাঁড়স, ধনিয়া, মরিচের চাষ হচ্ছে।
প্রকল্পভুক্ত কৃষক আবদুল মতিন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ভাসমান বেডে সবজির চাষ করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহায়তায় এবার আড়াই শতক জমিতে সবজি চাষ করেছেন। গতবার ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।
সাতবাড়িয়া এলাকার কৃষক সোলেমান বলেন, গত বছর লাভ ভালো হওয়ায় এবার আরও ছয় শতক জমিতে বেড তৈরি করে সবজির চাষ করেছেন তিনি। বর্ষায় কাজ থাকে না। জমিও খালি পড়ে থাকত। বর্তমানে ভাসমান বেডে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এই কৃষক।
বেড তৈরি করতে প্রথমে এক থেকে সোয়া শতক জমির প্রতি বেডে পানির উচ্চতাভেদে এক থেকে দেড় ফুট কচুরিপানা জমানো হয়। পরে আরও এক ফুট অর্ধমজা ও পচা কচুরিপানা দেওয়া হয়। বেডের নিচে বাঁশ দিয়ে চাং তৈরি করতে হয়। এভাবে তৈরি করা বেডে সবজির বীজ লাগানো হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস অর্থ, সেট, ঝাঁজরি, বীজ সংরক্ষণ পাত্র, ছত্রাকনাশক ও সেক্স ফেরোমেন ট্রেপসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও সরেজমিন বেডগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেন।
দাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ সওদাগর বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে চার থেকে পাঁচ মাস জমি জলাবদ্ধ থাকে। সবজি চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এলাকায় সবজির চাহিদাও মিটছে। এ পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে পারলে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটবে।’
আউশপাড়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘উপজেলার ৩০ জন কৃষককে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪