ব্যবহারের অনুপযোগী পার্ক

মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ১১: ০৫

এক যুগ আগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নোয়াখালী পৌর পার্ক আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। স্বচ্ছ পানির দিঘিটির চারপাশ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বেশির ভাগ সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। এতে খেলাধুলাসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলা শহরের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ২০১০ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের দিঘিটি ঘিরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নোয়াখালী পৌর পার্ক। উদ্বোধনের সময় এটিতে দুটি দোলনা ও বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি স্লিপার বসানো হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একটু স্বস্তির আশায় ছুটে আসেন পার্কটিতে। ভোর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে এটির দুটি ফটক। কিন্তু কয়েক বছর ধরে অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সব সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পার্কের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। দর্শনার্থীরা যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন। ঘাস আগাছায় অনেকটা গোচারণ ভূমি হয়ে যাওয়ায় সব সময় ভেতরে গরু-ছাগল দেখা যায়।

বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়ের পরীক্ষা থাকায় সকালে জেলা শহর মাইজদীতে এসেছি। তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে রেখে আসার পর অবসর সময় পার করতে এখানে এসেছি। তবে বেশিক্ষণ এখানে বসে থাকা সম্ভব নয়। চারপাশে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ।

রিক্তা রানী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস শেষে বান্ধবীরাসহ পার্কে একটু বসে আড্ডা দেব বলে এসেছি। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কোনো জায়গা পাচ্ছি না, যেখানে সবাই মিলে বসতে পারি। এ ছাড়া বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, নোয়াখালী পৌরসভায় বর্তমানে বসবাস করছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। এটি দেশের প্রাচীন ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে আধুনিক বা শিশুপার্কসহ ভালো কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই।

পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্ল্যাহ খান সোহেল বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, এটি ঠিক। জেলা প্রশাসন পার্কের জায়গাটি অনাপত্তি দিয়ে দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি একটি নান্দনিক পার্কে রূপান্তর করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত