নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পানির দাম সমন্বয়ের চিন্তা করছে ঢাকা ওয়াসা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ হাজার লিটার পানির দাম সর্বোচ্চ ৫০ ও সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াসার কারিগরি টিম। রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক ও ধনী-গরিব গ্রাহকভিত্তিক আলাদাভাবে পানির নতুন দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল রোববার ওয়াটার এইড এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণবিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডিতে (কারিগরি গবেষণা) এমন প্রস্তাব করা হয়। নতুন মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়াসার পানি উৎপাদন মূল্য ও বিক্রি মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা সমান করা যাবে। এমনকি এ খাতে সরকারকে আর ভর্তুকি দিতে হবে না বলে দাবি করা হয় গবেষণায়।
গবেষণাটির বরাত দিয়ে ওয়াসার কারিগরি উপদেষ্টা মো. তাহমিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ওয়াসার প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৪২ টাকা। ওয়াসার বর্তমানে ১ হাজার লিটার পানি উৎপাদনে ব্যয় হয় ২৫-২৬ টাকা। যে কারণে উচ্চবিত্তের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ১ হাজার লিটার পানির জন্য দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি হাজার লিটারে উচ্চবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ২২ টাকা ৩২ পয়সা। ওয়াসার তথ্যমতে নগরে ওয়াসার উচ্চবিত্ত গ্রাহক শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ টাকা ২৫ পয়সা। এই ক্যাটাগরির গ্রাহকসংখ্যা ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রস্তাবে বলা হয়, মধ্যবিত্ত মানুষ উৎপাদন মূল্যে পানি পাবে। যার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। যা আগের দামের চেয়ে ৯ টাকা ৮২ পয়সা বেশি। আর নগরে ওয়াসার মধ্যবিত্ত গ্রাহক ৪ শতাংশ। নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। প্রস্তাবিত দাম ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। আর রাজধানীতে ওয়াসার নিম্নমধ্যবিত্ত গ্রাহকই সর্বোচ্চ, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ একই পরিমাণ পানির জন্য বিল দেবেন ১২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে প্রতি লিটারে দাম কমছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা।
ওয়াসার সাড়ে ১১ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহকেরা বর্তমানে প্রতি হাজার লিটার পানির জন্য ৪২ টাকা পরিশোধ করছেন। প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেই বিল ৮ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ টাকায়। এর বাইরে উৎপাদন মূল্যের সমান, অর্থাৎ ২৫ টাকা হারে বিল পরিশোধ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চবিত্তের জন্য সরকার ভর্তুকি দিতে পারে না। দিতে হবে স্বল্প আয়ের মানুষকে। ভালো পানি চাইলে ভালো দামও দিতে হবে। এখন কেউ ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। কারণ, সবাই ঢাকার খরচ বহন করার সামর্থ্য রাখে। যে কারণে নাগরিকদের আয়বৈষম্যের কথা মাথায় রেখে এমন প্রস্তাব এসেছে গবেষণায়। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।’
সভাপতির বক্তব্যে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘ঢাকায় কত ধরনের গ্রাহক রয়েছে, বিশ্বে কোন কোন পদ্ধতি চালু আছে, তা নিরীক্ষা করে পানির দাম নির্ধারণের একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি আমরা। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনও আমলে নিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, প্রস্তাবিত দামের বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়েও আলোচনা করব। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
পানির দাম সমন্বয়ের চিন্তা করছে ঢাকা ওয়াসা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ হাজার লিটার পানির দাম সর্বোচ্চ ৫০ ও সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াসার কারিগরি টিম। রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক ও ধনী-গরিব গ্রাহকভিত্তিক আলাদাভাবে পানির নতুন দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল রোববার ওয়াটার এইড এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণবিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডিতে (কারিগরি গবেষণা) এমন প্রস্তাব করা হয়। নতুন মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়াসার পানি উৎপাদন মূল্য ও বিক্রি মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা সমান করা যাবে। এমনকি এ খাতে সরকারকে আর ভর্তুকি দিতে হবে না বলে দাবি করা হয় গবেষণায়।
গবেষণাটির বরাত দিয়ে ওয়াসার কারিগরি উপদেষ্টা মো. তাহমিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ওয়াসার প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৪২ টাকা। ওয়াসার বর্তমানে ১ হাজার লিটার পানি উৎপাদনে ব্যয় হয় ২৫-২৬ টাকা। যে কারণে উচ্চবিত্তের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ১ হাজার লিটার পানির জন্য দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি হাজার লিটারে উচ্চবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ২২ টাকা ৩২ পয়সা। ওয়াসার তথ্যমতে নগরে ওয়াসার উচ্চবিত্ত গ্রাহক শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ টাকা ২৫ পয়সা। এই ক্যাটাগরির গ্রাহকসংখ্যা ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রস্তাবে বলা হয়, মধ্যবিত্ত মানুষ উৎপাদন মূল্যে পানি পাবে। যার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। যা আগের দামের চেয়ে ৯ টাকা ৮২ পয়সা বেশি। আর নগরে ওয়াসার মধ্যবিত্ত গ্রাহক ৪ শতাংশ। নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। প্রস্তাবিত দাম ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। আর রাজধানীতে ওয়াসার নিম্নমধ্যবিত্ত গ্রাহকই সর্বোচ্চ, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ একই পরিমাণ পানির জন্য বিল দেবেন ১২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে প্রতি লিটারে দাম কমছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা।
ওয়াসার সাড়ে ১১ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহকেরা বর্তমানে প্রতি হাজার লিটার পানির জন্য ৪২ টাকা পরিশোধ করছেন। প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেই বিল ৮ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ টাকায়। এর বাইরে উৎপাদন মূল্যের সমান, অর্থাৎ ২৫ টাকা হারে বিল পরিশোধ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চবিত্তের জন্য সরকার ভর্তুকি দিতে পারে না। দিতে হবে স্বল্প আয়ের মানুষকে। ভালো পানি চাইলে ভালো দামও দিতে হবে। এখন কেউ ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। কারণ, সবাই ঢাকার খরচ বহন করার সামর্থ্য রাখে। যে কারণে নাগরিকদের আয়বৈষম্যের কথা মাথায় রেখে এমন প্রস্তাব এসেছে গবেষণায়। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।’
সভাপতির বক্তব্যে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘ঢাকায় কত ধরনের গ্রাহক রয়েছে, বিশ্বে কোন কোন পদ্ধতি চালু আছে, তা নিরীক্ষা করে পানির দাম নির্ধারণের একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি আমরা। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনও আমলে নিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, প্রস্তাবিত দামের বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়েও আলোচনা করব। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে