ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। উৎপাদনকারীর সংখ্যা বাড়লেও মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ অতিরিক্ত ব্যয়ে টিকে থাকা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। একসময় ধান চাষ এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হলেও এখন তারা ঝুঁকছেন মাছ চাষে। বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা মাছ চাষে ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে। চাষিরা মাছের খাবারের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
জেলা মৎস্য অফিস বলছে, মাছ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি অন্য সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর মটবাড়ি গ্রামের যুবক তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। প্রবাসে থাকা অবস্থায় মাছ চাষে চিন্তাভাবনা আসে তাঁর। সেখান থেকে শ্রমিক রেখে ৩ একর জমিতে শুরু করেন মাছ চাষ। ২০০২ সালে দেশে ফিরে আরও ২ একর জমি লিজ নেন। বর্তমানে ৩০ একর জমিতে মাছ চাষ করছেন। যার মধ্যে ব্যবসার লাভ দিয়ে ৮ একর জমি কেনাসহ বাড়ি করেছেন। কিনেছেন গাড়ি। বছরে ৫০০ থেকে ৭০০ টন মাছ উৎপাদন করে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা।
আরেক মৎস্যচাষি সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমার এত বড় প্রকল্প নেই। তারপরও যেটুকু আছে তার লাভ দিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারছি। ত্রিশালসহ ময়মনসিংহের প্রতিটি উপজেলায় মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগে মানুষ ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও বর্তমানে তাঁদের নজর মাছ চাষের দিকে। চলতি বছরে কয়েক দফা খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বড় পাঙাশের খাবার কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি ধরে, আর ছোট পাঙাশের খাবার ১০০ টাকা কেজি। গত কয়েক মাসে প্রত্যেক মাছের খাবারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আবার অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের খাবার দিয়ে প্রতারণা করছে, এ ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন।’
তারাকান্দা উপজেলার মৎস্যচাষি মাহমুদুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমার দুটি পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করেছি। ১ পয়েন্ট ৫ সাইজের পাবদা মাছের জন্য ১ হাজার ৯০০ টাকা প্রতি বস্তা খাবার কিনতে হচ্ছে। যা ছয় মাস আগেও ১ হাজার ৬০০ টাকা ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর কোম্পানিগুলো স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে পরিবহন খরচ প্রতি কেজি খাবার থেকে ৫০ পয়সা বেশি নিচ্ছে। এখন শোনা যাচ্ছে খাবারের দাম আরও বাড়বে, তাহলে ব্যবসা করাটাই মুশকিল হবে।’
ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা বাজারে জননী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর খাবারসহ যাতায়াত খরচ বেড়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলো আবার খাবারের দাম বাড়াবে। এখন প্রতি টন বড় পাঙাশ মাছের খাবারের দাম পড়ে ৬৫ হাজার টাকা। দেশি মাছের খাবার টনপ্রতি ৬০ থেকে ৬১ হাজার টাকা। দাম বাড়লে মৎস্য ক্ষেত্রে এর একটা বড় প্রভাব পড়বে।’
ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা বলেন, ‘জেলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। মাছ চাষ বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে, ময়মনসিংহ অ্যাকুয়া কালচার ইনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের আওতায় হাতে-কলমে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কারণে।
যার ফলে মাছ চাষে দেশসেরা ময়মনসিংহ। ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। ময়মনসিংহে মাছ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি অন্য সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ‘চাষিদের টিকিয়ে রাখতে সরকার মাছের খাবারে ভর্তুকি দিচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখারও চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া মাছের বহুবিদ ব্যবহার বাড়ানোর জন্য মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ময়মনসিংহে মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। উৎপাদনকারীর সংখ্যা বাড়লেও মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ অতিরিক্ত ব্যয়ে টিকে থাকা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। একসময় ধান চাষ এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হলেও এখন তারা ঝুঁকছেন মাছ চাষে। বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা মাছ চাষে ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে। চাষিরা মাছের খাবারের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
জেলা মৎস্য অফিস বলছে, মাছ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি অন্য সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর মটবাড়ি গ্রামের যুবক তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। প্রবাসে থাকা অবস্থায় মাছ চাষে চিন্তাভাবনা আসে তাঁর। সেখান থেকে শ্রমিক রেখে ৩ একর জমিতে শুরু করেন মাছ চাষ। ২০০২ সালে দেশে ফিরে আরও ২ একর জমি লিজ নেন। বর্তমানে ৩০ একর জমিতে মাছ চাষ করছেন। যার মধ্যে ব্যবসার লাভ দিয়ে ৮ একর জমি কেনাসহ বাড়ি করেছেন। কিনেছেন গাড়ি। বছরে ৫০০ থেকে ৭০০ টন মাছ উৎপাদন করে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা।
আরেক মৎস্যচাষি সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমার এত বড় প্রকল্প নেই। তারপরও যেটুকু আছে তার লাভ দিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারছি। ত্রিশালসহ ময়মনসিংহের প্রতিটি উপজেলায় মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগে মানুষ ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও বর্তমানে তাঁদের নজর মাছ চাষের দিকে। চলতি বছরে কয়েক দফা খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বড় পাঙাশের খাবার কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি ধরে, আর ছোট পাঙাশের খাবার ১০০ টাকা কেজি। গত কয়েক মাসে প্রত্যেক মাছের খাবারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আবার অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের খাবার দিয়ে প্রতারণা করছে, এ ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন।’
তারাকান্দা উপজেলার মৎস্যচাষি মাহমুদুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমার দুটি পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করেছি। ১ পয়েন্ট ৫ সাইজের পাবদা মাছের জন্য ১ হাজার ৯০০ টাকা প্রতি বস্তা খাবার কিনতে হচ্ছে। যা ছয় মাস আগেও ১ হাজার ৬০০ টাকা ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর কোম্পানিগুলো স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে পরিবহন খরচ প্রতি কেজি খাবার থেকে ৫০ পয়সা বেশি নিচ্ছে। এখন শোনা যাচ্ছে খাবারের দাম আরও বাড়বে, তাহলে ব্যবসা করাটাই মুশকিল হবে।’
ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা বাজারে জননী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর খাবারসহ যাতায়াত খরচ বেড়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলো আবার খাবারের দাম বাড়াবে। এখন প্রতি টন বড় পাঙাশ মাছের খাবারের দাম পড়ে ৬৫ হাজার টাকা। দেশি মাছের খাবার টনপ্রতি ৬০ থেকে ৬১ হাজার টাকা। দাম বাড়লে মৎস্য ক্ষেত্রে এর একটা বড় প্রভাব পড়বে।’
ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা বলেন, ‘জেলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। মাছ চাষ বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে, ময়মনসিংহ অ্যাকুয়া কালচার ইনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের আওতায় হাতে-কলমে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কারণে।
যার ফলে মাছ চাষে দেশসেরা ময়মনসিংহ। ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। ময়মনসিংহে মাছ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি অন্য সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ‘চাষিদের টিকিয়ে রাখতে সরকার মাছের খাবারে ভর্তুকি দিচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখারও চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া মাছের বহুবিদ ব্যবহার বাড়ানোর জন্য মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে