নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের প্রথম দিন ১৮ জুলাই বেলা ১১টার পর থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ। এরপর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ট্রেন চালু করেনি রেলওয়ে। কবে চালু হবে, তা-ও বলতে পারছে না কেউ।
করোনাকালে কড়া লকডাউনের সময়টা ছাড়া কখনো দেশে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল না। এমনকি বিভিন্ন সময় বিরোধীদের ডাকা হরতাল-অবরোধেও ঘুরেছে ট্রেনের চাকা। এখন কোনো অবরোধ নেই, বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি নেই। তারপরও নিরাপত্তা ও কারফিউর অজুহাত দেখিয়ে ট্রেন চালু করছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। যদিও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারফিউর সময়েও ট্রেন চলেছে দেশে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, কারফিউ অবস্থায় ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয়। কারণ, কারফিউর কারণে মানুষের যাতায়াত সীমিত থাকে। একেক জেলায় একেক সময়ে কারফিউ চলছে। কারফিউ শিথিল সময়ের মধ্যে ট্রেন পরিচালনা ঝুঁকির। তা ছাড়া শিথিল সময়ে ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করে ট্রেন চালানো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কম দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেতে পারত। তবে নিরাপত্তার জন্য সেটাও বাতিল হয়েছে। আবার আন্তনগর ট্রেন ঢাকার বাইরে গেলেও কারফিউ শিথিলের সময় পার হলে সেটি আর ঢাকায় ফিরতে পারবে না। রেলের ইঞ্জিন সীমিত। এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবে না রেল। এখন সরকারের নির্দেশ না এলে ট্রেন চলবে না।
জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন পরিচালনার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ট্রেন চালানো হবে।’ তিনি এ-ও বলেন, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও রেলসম্পদ রক্ষা সবচেয়ে জরুরি। রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা কম। তারপরেও রেলসেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই ট্রেন চলাচল করবে। এখনো এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
রেল মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ট্রেন চালুর বিষয়ে গতকাল রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর হয়নি। তাই নির্দিষ্ট করে কবে ট্রেন চালু হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। ঢাকা থেকে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে; রাজশাহী থেকে বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিউটার ট্রেনগুলো সীমিত পরিসরে চালুর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন রেলওয়ের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব ট্রেন জ্বালানি তেল নিয়ে যাচ্ছে।
সারা দেশ থেকে ১০৬টি আন্তনগরসহ ৩৫৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং দুই জোড়া আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল করে। ইতিমধ্যে মৈত্রী ও মিতালী এক্সপ্রেসের ২৫ ও ২৭ জুলাই যাত্রা বাতিল করা হয়। পরবর্তী যাত্রা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ১০ দিন ট্রেন না চলায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির টাকা রিফান্ড করেছে রেলওয়ে। এতে রেলের ১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট বিক্রয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজের প্রধান নির্বাহী সন্দীপ দেবনাথ বলেন, ১৮ জুলাই যে সময় থেকে দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, তারপর থেকে সব ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করা হচ্ছে। কবে ট্রেন চলবে, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কবে ট্রেন চলবে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। ঢাকায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। তাই ঢাকায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত বলেন, ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হলে সেটি জানানো হবে। কবে ট্রেন চলবে, এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ও রেলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের প্রথম দিন ১৮ জুলাই বেলা ১১টার পর থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ। এরপর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ট্রেন চালু করেনি রেলওয়ে। কবে চালু হবে, তা-ও বলতে পারছে না কেউ।
করোনাকালে কড়া লকডাউনের সময়টা ছাড়া কখনো দেশে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল না। এমনকি বিভিন্ন সময় বিরোধীদের ডাকা হরতাল-অবরোধেও ঘুরেছে ট্রেনের চাকা। এখন কোনো অবরোধ নেই, বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি নেই। তারপরও নিরাপত্তা ও কারফিউর অজুহাত দেখিয়ে ট্রেন চালু করছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। যদিও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারফিউর সময়েও ট্রেন চলেছে দেশে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, কারফিউ অবস্থায় ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয়। কারণ, কারফিউর কারণে মানুষের যাতায়াত সীমিত থাকে। একেক জেলায় একেক সময়ে কারফিউ চলছে। কারফিউ শিথিল সময়ের মধ্যে ট্রেন পরিচালনা ঝুঁকির। তা ছাড়া শিথিল সময়ে ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করে ট্রেন চালানো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কম দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেতে পারত। তবে নিরাপত্তার জন্য সেটাও বাতিল হয়েছে। আবার আন্তনগর ট্রেন ঢাকার বাইরে গেলেও কারফিউ শিথিলের সময় পার হলে সেটি আর ঢাকায় ফিরতে পারবে না। রেলের ইঞ্জিন সীমিত। এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবে না রেল। এখন সরকারের নির্দেশ না এলে ট্রেন চলবে না।
জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন পরিচালনার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ট্রেন চালানো হবে।’ তিনি এ-ও বলেন, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও রেলসম্পদ রক্ষা সবচেয়ে জরুরি। রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা কম। তারপরেও রেলসেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই ট্রেন চলাচল করবে। এখনো এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
রেল মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ট্রেন চালুর বিষয়ে গতকাল রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর হয়নি। তাই নির্দিষ্ট করে কবে ট্রেন চালু হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। ঢাকা থেকে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে; রাজশাহী থেকে বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিউটার ট্রেনগুলো সীমিত পরিসরে চালুর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন রেলওয়ের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব ট্রেন জ্বালানি তেল নিয়ে যাচ্ছে।
সারা দেশ থেকে ১০৬টি আন্তনগরসহ ৩৫৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং দুই জোড়া আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল করে। ইতিমধ্যে মৈত্রী ও মিতালী এক্সপ্রেসের ২৫ ও ২৭ জুলাই যাত্রা বাতিল করা হয়। পরবর্তী যাত্রা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ১০ দিন ট্রেন না চলায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির টাকা রিফান্ড করেছে রেলওয়ে। এতে রেলের ১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট বিক্রয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজের প্রধান নির্বাহী সন্দীপ দেবনাথ বলেন, ১৮ জুলাই যে সময় থেকে দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, তারপর থেকে সব ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করা হচ্ছে। কবে ট্রেন চলবে, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কবে ট্রেন চলবে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। ঢাকায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। তাই ঢাকায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত বলেন, ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হলে সেটি জানানো হবে। কবে ট্রেন চলবে, এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ও রেলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে