মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এবার লবণের উচ্চমূল্য ও উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ থাকায় চাষিরা আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের।
তবে ভরা মৌসুমে কৌশলে সোডিয়াম সালফেট (মিল-কারখানায় ব্যবহৃত লবণ) নামে ভোজ্যলবণ আমদানির শঙ্কা দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা বলছেন, ভরা মৌসুমে লবণ আমদানি হলে চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির সাহায্যে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সদর উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলে উৎপাদন হয়ে আসছে।
কক্সবাজারের লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছিল। গত বছর দেশে লবণের চাহিদা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন; যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন।
বিসিকের হিসাব মতে, গত বছর চাষিরা লবণের মূল্য পেয়েছেন মণপ্রতি ২৮৪ টাকা। চাষে জড়িত ছিলেন ৩৭ হাজার ২৩১ জন চাষি। গত বছরের উৎপাদিত লবণ মাঠে মজুত রয়েছে ৪০ হাজার টন।
বিসিক জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে দেশে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন। এবার ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বেশি দাম ও অনুকূল পরিবেশের ফলে চলতি মৌসুমে চাষির সংখ্যাও ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে লবণ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা।
কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের পরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফে বেশির ভাগ মাঠ লবণ উৎপাদনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনা ও সরল এলাকায় ৯০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় মাঠ প্রস্তুতে নেমেছেন চাষিরা।
কুতুবদিয়ার লেমশীখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, এক মাস আগেই কুতুবদিয়ায় লবণ চাষ শুরু হয়েছে। এখন দামও ভালো রয়েছে। এতে চাষিরা উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে লবণ আমদানির শঙ্কায় আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়ে চাষিদের দুশ্চিন্তা রয়েছে।
বাংলাদেশ লবণচাষি সমিতির সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ভরা মৌসুমে একটি চক্র কৌশলে সোডিয়াম সালফেট (মিল-কারখানায় ব্যবহৃত লবণ) নামে ভোজ্যলবণ আমদানির পাঁয়তারা করে। এসব লবণ তারা চীন থেকে আমদানি করে সরাসরি বাজারজাত করছে। এতে দেশে উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য পান না চাষিরা।
কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এ বছর কয়েকটি এলাকায় অনুকূল পরিবেশ থাকায় চাষিরা আগেই মাঠে নেমেছেন। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এবার লবণের উচ্চমূল্য ও উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ থাকায় চাষিরা আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের।
তবে ভরা মৌসুমে কৌশলে সোডিয়াম সালফেট (মিল-কারখানায় ব্যবহৃত লবণ) নামে ভোজ্যলবণ আমদানির শঙ্কা দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা বলছেন, ভরা মৌসুমে লবণ আমদানি হলে চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির সাহায্যে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সদর উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলে উৎপাদন হয়ে আসছে।
কক্সবাজারের লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছিল। গত বছর দেশে লবণের চাহিদা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন; যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন।
বিসিকের হিসাব মতে, গত বছর চাষিরা লবণের মূল্য পেয়েছেন মণপ্রতি ২৮৪ টাকা। চাষে জড়িত ছিলেন ৩৭ হাজার ২৩১ জন চাষি। গত বছরের উৎপাদিত লবণ মাঠে মজুত রয়েছে ৪০ হাজার টন।
বিসিক জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে দেশে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন। এবার ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বেশি দাম ও অনুকূল পরিবেশের ফলে চলতি মৌসুমে চাষির সংখ্যাও ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে লবণ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা।
কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের পরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফে বেশির ভাগ মাঠ লবণ উৎপাদনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনা ও সরল এলাকায় ৯০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় মাঠ প্রস্তুতে নেমেছেন চাষিরা।
কুতুবদিয়ার লেমশীখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, এক মাস আগেই কুতুবদিয়ায় লবণ চাষ শুরু হয়েছে। এখন দামও ভালো রয়েছে। এতে চাষিরা উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে লবণ আমদানির শঙ্কায় আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়ে চাষিদের দুশ্চিন্তা রয়েছে।
বাংলাদেশ লবণচাষি সমিতির সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ভরা মৌসুমে একটি চক্র কৌশলে সোডিয়াম সালফেট (মিল-কারখানায় ব্যবহৃত লবণ) নামে ভোজ্যলবণ আমদানির পাঁয়তারা করে। এসব লবণ তারা চীন থেকে আমদানি করে সরাসরি বাজারজাত করছে। এতে দেশে উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য পান না চাষিরা।
কক্সবাজার লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এ বছর কয়েকটি এলাকায় অনুকূল পরিবেশ থাকায় চাষিরা আগেই মাঠে নেমেছেন। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে