অর্চি হক, ঢাকা
নারী উদ্যোক্তাদের ঠিকানা হিসেবে পরিচিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন চার মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি ভবনটির মূল কার্যক্রম। ভবনের দুটি ফ্লোরে (তলা) নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের শোরুম থাকার কথা। সেই শোরুমগুলো এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নারী উদ্যোক্তারা বাইরে তাঁদের দোকান ছাড়তে পারছেন না।
নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের প্রধান বিপণনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জয়িতা ফাউন্ডেশন। গত বছরের ১৭ অক্টোবর জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়। টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগামী মে মাসের আগে টাওয়ার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হবে না।
বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা জানান, ভবনের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়। অথচ ভবনের কাজ তখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। উদ্বোধনের দিন দু-একটি ফ্লোর সাময়িকভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সেখানে উদ্যোক্তাদের পণ্যও প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরই সেগুলো আবার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘পয়লা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবস হলো জামাকাপড়সহ হাতে বানানো ছোট সামগ্রী বিক্রির সবচেয়ে ভালো সময়। অথচ আমাদের টাওয়ারের শোরুম এখনো চালু হলো না। আমরা বাইরে ভাড়া নেওয়া দোকান ছাড়তে পারছি না। সেই দোকানের ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’
উদ্বোধনের পর চার মাস হতে চললেও টাওয়ারে মূল কার্যক্রম শুরু না হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গত এক সপ্তাহে তিন দিন গিয়েও জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। প্রতিবারই বলা হয়, তিনি সচিবালয়ে আছেন। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবারও একই কথা বলা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারও প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চারপাশে এত ধুলোবালি! পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগে আমরা উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলো বিশেষ করে জামদানি পণ্যগুলো বের করতে পারছি না।’
জয়িতা টাওয়ার ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকের সামনে ঝুলছিল টাওয়ার বন্ধ থাকার সাইনবোর্ড। তাতে লেখা—‘জরুরি আনুষঙ্গিক কাজের জন্য জয়িতা টাওয়ার আপাতত বন্ধ রয়েছে। আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। শিগগিরই এটা পুনরায় চালু করা হবে।’ ১২ তলা ভবনের ১০টি ফ্লোরের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। যে দুটি ফ্লোরের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে, সেখানে চালু আছে জয়িতা ফাউন্ডেশনের দপ্তর। নির্মাণকাজ চলতে থাকায় ধুলোবালি এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নির্মাণসামগ্রীর কারণে কর্মকর্তাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
জানা যায়, জয়িতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ তলাবিশিষ্ট জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পারলার, নারীদের জন্য জিমনেসিয়াম, মহিলা ও শিশুদের জন্য সুইমিংপুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট ও ক্যাফে থাকার কথা।
টাওয়ারের কাজ কবে শেষ হবে জানতে চাইলে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের বিদায়ী প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ভেতরের ইন্টেরিয়রসহ আরও কিছু কাজ বাকি আছে। পুরো কাজ শেষ হয়ে টাওয়ার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে মে মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
নারী উদ্যোক্তাদের ঠিকানা হিসেবে পরিচিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন চার মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি ভবনটির মূল কার্যক্রম। ভবনের দুটি ফ্লোরে (তলা) নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের শোরুম থাকার কথা। সেই শোরুমগুলো এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নারী উদ্যোক্তারা বাইরে তাঁদের দোকান ছাড়তে পারছেন না।
নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের প্রধান বিপণনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জয়িতা ফাউন্ডেশন। গত বছরের ১৭ অক্টোবর জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়। টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগামী মে মাসের আগে টাওয়ার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হবে না।
বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা জানান, ভবনের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়। অথচ ভবনের কাজ তখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। উদ্বোধনের দিন দু-একটি ফ্লোর সাময়িকভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সেখানে উদ্যোক্তাদের পণ্যও প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরই সেগুলো আবার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘পয়লা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবস হলো জামাকাপড়সহ হাতে বানানো ছোট সামগ্রী বিক্রির সবচেয়ে ভালো সময়। অথচ আমাদের টাওয়ারের শোরুম এখনো চালু হলো না। আমরা বাইরে ভাড়া নেওয়া দোকান ছাড়তে পারছি না। সেই দোকানের ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’
উদ্বোধনের পর চার মাস হতে চললেও টাওয়ারে মূল কার্যক্রম শুরু না হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গত এক সপ্তাহে তিন দিন গিয়েও জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। প্রতিবারই বলা হয়, তিনি সচিবালয়ে আছেন। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবারও একই কথা বলা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারও প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চারপাশে এত ধুলোবালি! পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগে আমরা উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলো বিশেষ করে জামদানি পণ্যগুলো বের করতে পারছি না।’
জয়িতা টাওয়ার ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকের সামনে ঝুলছিল টাওয়ার বন্ধ থাকার সাইনবোর্ড। তাতে লেখা—‘জরুরি আনুষঙ্গিক কাজের জন্য জয়িতা টাওয়ার আপাতত বন্ধ রয়েছে। আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। শিগগিরই এটা পুনরায় চালু করা হবে।’ ১২ তলা ভবনের ১০টি ফ্লোরের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। যে দুটি ফ্লোরের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে, সেখানে চালু আছে জয়িতা ফাউন্ডেশনের দপ্তর। নির্মাণকাজ চলতে থাকায় ধুলোবালি এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নির্মাণসামগ্রীর কারণে কর্মকর্তাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
জানা যায়, জয়িতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ তলাবিশিষ্ট জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পারলার, নারীদের জন্য জিমনেসিয়াম, মহিলা ও শিশুদের জন্য সুইমিংপুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট ও ক্যাফে থাকার কথা।
টাওয়ারের কাজ কবে শেষ হবে জানতে চাইলে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের বিদায়ী প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ভেতরের ইন্টেরিয়রসহ আরও কিছু কাজ বাকি আছে। পুরো কাজ শেষ হয়ে টাওয়ার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে মে মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে