রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেদার বিক্রি হচ্ছে নামীদামি বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী। সাধারণ চোখে মোড়ক দেখে বোঝার সাধ্য নেই, কোনটি আসল আর কোনটি নকল। ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এসব প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে দিন দিন বাড়ছে চর্মরোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে কোমল ত্বকের শিশুদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে বেশি দামে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন। ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারছেন না যে পণ্যটি নকল। বাজারে জনপ্রিয় প্রায় সব প্রসাধনী পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন দোকানে ও ফুটপাতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা ধরনের প্রসাধনী বিক্রি হচ্ছে। নকল হওয়ায় অনেক সময় দর-কষাকষি করলে নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে বেশ কম দামে পণ্য দিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
সৈয়দপুর প্লাজার একটি প্রসাধনীর দোকানে কথা হয় মিথিলা পারভীনের সঙ্গে। পেশায় গৃহিণী এই নারী বলেন, ‘দামি ব্রান্ডের একটি বডি স্প্রে কিনেছি। এটির গায়ে ২৬০ টাকা মূল্য লেখা থাকলেও আমার কাছ থেকে দোকানি ২১০ টাকা নিয়েছেন। কম দামে পেয়েছি তাই এখান থেকেই কিনলাম। পণ্য নকল না আসল, এটা বোঝার তো উপায় নেই।’
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানের কর্মচারী বলেন, ‘কাস্টমার ধরে রাখতে হলে একটু ছাড় দিয়েই বিক্রি করতে হয়। এটা ব্যবসায়িক কৌশল। এতে লস কেন হবে? কেনার সময় আমরাও তো কিছু ছাড় পাই।’
তবে বিভিন্ন কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, আসল প্রসাধনী লিখিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে উপজেলায় চর্মরোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলেমুল বাশার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে আসেন।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রেজাউল করিম জানান, নকল পণ্য ব্যবহার শারীরের জন্য ক্ষতিকর। পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা। নকল লোশন, স্নো বা ত্বকের যেকোনো প্রসাধন ব্যবহারে চর্মরোগ হতে পারে। দেখা দিতে পারে চুল পড়া, চোখের সমস্যা, মুখ ফুলে যাওয়া, শরীরে ঘা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগ।
নকল পণ্যের বিক্রি রোধের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর উপসহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, জনবলসংকটের কারণে সব সময় সবদিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে ভেজাল প্রসাধনী যেসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে খুব শিগগির অভিযান চালানো হবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেদার বিক্রি হচ্ছে নামীদামি বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী। সাধারণ চোখে মোড়ক দেখে বোঝার সাধ্য নেই, কোনটি আসল আর কোনটি নকল। ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এসব প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে দিন দিন বাড়ছে চর্মরোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে কোমল ত্বকের শিশুদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে বেশি দামে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন। ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারছেন না যে পণ্যটি নকল। বাজারে জনপ্রিয় প্রায় সব প্রসাধনী পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন দোকানে ও ফুটপাতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা ধরনের প্রসাধনী বিক্রি হচ্ছে। নকল হওয়ায় অনেক সময় দর-কষাকষি করলে নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে বেশ কম দামে পণ্য দিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
সৈয়দপুর প্লাজার একটি প্রসাধনীর দোকানে কথা হয় মিথিলা পারভীনের সঙ্গে। পেশায় গৃহিণী এই নারী বলেন, ‘দামি ব্রান্ডের একটি বডি স্প্রে কিনেছি। এটির গায়ে ২৬০ টাকা মূল্য লেখা থাকলেও আমার কাছ থেকে দোকানি ২১০ টাকা নিয়েছেন। কম দামে পেয়েছি তাই এখান থেকেই কিনলাম। পণ্য নকল না আসল, এটা বোঝার তো উপায় নেই।’
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানের কর্মচারী বলেন, ‘কাস্টমার ধরে রাখতে হলে একটু ছাড় দিয়েই বিক্রি করতে হয়। এটা ব্যবসায়িক কৌশল। এতে লস কেন হবে? কেনার সময় আমরাও তো কিছু ছাড় পাই।’
তবে বিভিন্ন কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, আসল প্রসাধনী লিখিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে উপজেলায় চর্মরোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলেমুল বাশার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে আসেন।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রেজাউল করিম জানান, নকল পণ্য ব্যবহার শারীরের জন্য ক্ষতিকর। পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা। নকল লোশন, স্নো বা ত্বকের যেকোনো প্রসাধন ব্যবহারে চর্মরোগ হতে পারে। দেখা দিতে পারে চুল পড়া, চোখের সমস্যা, মুখ ফুলে যাওয়া, শরীরে ঘা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগ।
নকল পণ্যের বিক্রি রোধের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর উপসহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, জনবলসংকটের কারণে সব সময় সবদিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে ভেজাল প্রসাধনী যেসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে খুব শিগগির অভিযান চালানো হবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে