মহসিন রেজা, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)
জহুরা হাসিনার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামে। প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি পাচ্ছেন না প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা মোবাইলের নগদে পেয়েছেন তিনি। এরপর গত জুন মাস থেকে মোবাইলে আর ভাতার টাকা পাননি। তাঁর মতো উপজেলায় আরও অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। মোবাইল নম্বর ভুলের কারণে তাঁদের ভাতার টাকা যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ভুল নম্বরটি তাঁরা দেননি। তাঁরা ভাতার টাকার জন্য নিজের নম্বর দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া নম্বর হঠাৎ পরিবর্তন হয় কীভাবে?
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতার টাকা না পাওয়ার ঘটনায় আমি নিজেও দুঃখিত। এ সমস্যা নিয়ে আমার অফিসে ১০-১৫ জন প্রতিবন্ধী যোগাযোগ করেছেন। আশা করছি, জানুয়ারি থেকে যেকোনো ভাতার বেলায় এমন হবে না। সমস্যা নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, উপজেলার ২ হাজার ৯১৯ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীকে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা এবং ৭৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার মোবাইল ফোনে নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা নিয়মিত যাচ্ছে। কেবল যাঁরা অন্যের নম্বর ব্যবহার করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
ঝালোরচরের শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল জানান, জুন মাস থেকে তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমরা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আমাদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছে। আমাদের এই ভাতার টাকা নিয়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক।’
পোল্যাকান্দি গ্রামের প্রতিবন্ধী জহুরা বেগম বলেন, বিগত বছর তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার ৬ হাজার ৭৫০ টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। পরে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে নম্বর পরিবর্তন করে দেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিবর্তন করা নম্বরে টাকা পান। হঠাৎ করে আবারও তাঁর নম্বরে টাকা যাচ্ছে না।
প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা ও পরিচর্যা সমিতির (প্রশিপস্) নির্বাহী প্রধান বেগম রোকেয়া সরদার বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের অসহায় মানুষ। সরকার তাঁদের দুঃখের কথা বিবেচনা করে প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছে। সে ভাতার টাকা পেতে তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয় কেন? কেন তাঁদের ভাতার টাকা অন্য মোবাইল নম্বরে চলে যায়? যে মোবাইল নম্বরে তাঁরা এত দিন প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পেয়েছে, সে নম্বর হঠাৎ পরিবর্তন হয় কী করে? তিনি এই দুরবস্থার দ্রুত নিরসন চান।
জহুরা হাসিনার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামে। প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি পাচ্ছেন না প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা মোবাইলের নগদে পেয়েছেন তিনি। এরপর গত জুন মাস থেকে মোবাইলে আর ভাতার টাকা পাননি। তাঁর মতো উপজেলায় আরও অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। মোবাইল নম্বর ভুলের কারণে তাঁদের ভাতার টাকা যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ভুল নম্বরটি তাঁরা দেননি। তাঁরা ভাতার টাকার জন্য নিজের নম্বর দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া নম্বর হঠাৎ পরিবর্তন হয় কীভাবে?
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতার টাকা না পাওয়ার ঘটনায় আমি নিজেও দুঃখিত। এ সমস্যা নিয়ে আমার অফিসে ১০-১৫ জন প্রতিবন্ধী যোগাযোগ করেছেন। আশা করছি, জানুয়ারি থেকে যেকোনো ভাতার বেলায় এমন হবে না। সমস্যা নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, উপজেলার ২ হাজার ৯১৯ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীকে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা এবং ৭৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার মোবাইল ফোনে নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা নিয়মিত যাচ্ছে। কেবল যাঁরা অন্যের নম্বর ব্যবহার করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
ঝালোরচরের শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল জানান, জুন মাস থেকে তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমরা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আমাদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছে। আমাদের এই ভাতার টাকা নিয়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক।’
পোল্যাকান্দি গ্রামের প্রতিবন্ধী জহুরা বেগম বলেন, বিগত বছর তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার ৬ হাজার ৭৫০ টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। পরে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে নম্বর পরিবর্তন করে দেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিবর্তন করা নম্বরে টাকা পান। হঠাৎ করে আবারও তাঁর নম্বরে টাকা যাচ্ছে না।
প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা ও পরিচর্যা সমিতির (প্রশিপস্) নির্বাহী প্রধান বেগম রোকেয়া সরদার বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের অসহায় মানুষ। সরকার তাঁদের দুঃখের কথা বিবেচনা করে প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছে। সে ভাতার টাকা পেতে তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয় কেন? কেন তাঁদের ভাতার টাকা অন্য মোবাইল নম্বরে চলে যায়? যে মোবাইল নম্বরে তাঁরা এত দিন প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পেয়েছে, সে নম্বর হঠাৎ পরিবর্তন হয় কী করে? তিনি এই দুরবস্থার দ্রুত নিরসন চান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে