খেয়াঘাটের নির্মাণকাজ শুরু

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১২: ৫৬
Thumbnail image

খুলনার দাকোপে বাজুয়া-দিগরাজ খেয়াঘাট নতুনভাবে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতে একদিকে এলাকার হাজারো মানুষ নিরাপদে নদী পার হতে পারবে। অন্যদিকে সরকার প্রতিবছর ঘাট ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নতুন খেয়াঘাট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এখানে নতুন ঘাঁট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকার হাজারো মানুষ।

জানা যায়, বাজুয়া দিগরাজ ঘাটটি একটি আন্তজেলা খেয়াঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পশুর নদী পার হয় খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও বাগেরহাট জেলার দিগরাজ এলাকার হাজারো মানুষ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এর কোনো সংস্কার না হওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।

খেয়া ঘাটটির অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। নদীতে বড় চর পড়ে যাওয়ার কারণে বাঁশ দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যে সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল এর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়েছিল। নদী পার হতে আসা যাত্রীদের ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় উঠতে হতো। বিশেষ করে ভাটার সময় মহিলা, শিশু, রোগী, সাধারণ মানুষ সহ সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল পারাপার করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। পাশে নতুন একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নদীতে বড় চর পড়ার কারণে সেটা কোনো কাজে আসছিল না।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ অ্যাডভোকেট গেন্ডারিয়া ঝর্ণা সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস ও স্থানীয় লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজের তত্ত্বাবধানে খেয়া ঘাটটির নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খেয়া ঘাট নির্মাণে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা প্রতিদিন কাজের তদারকি করছেন। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ঘাট নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সামিম হাসানের জানান, এই খেয়াঘাটটি আন্ত জেলা খেয়াঘাট। প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাট দিয়ে পশুর নদী পার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখানে ভাটার সময় নদী পার হতে হলে কাঁদা ভেঙে ট্রলারে উঠতে ও নামতে হয়। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ ঘাট নির্মাণকাজ শুরু করেছে। ফলে নতুন ঘাট চালু হলে আমাদের দুরবস্থার অবসান হবে। তিনি সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ অ্যাডভোকেট গেন্ডারিয়া ঝর্ণা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

কৈলাশগঞ্জ বুড়ির ডাবুর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী অরুন সরকার বলেন, আমরা প্রতি দিন মাছ নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে দিগরাজ মাছের আড়তে যাই। ঘাটটির অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় মালামাল নিয়ে পার হতে অনেক সমস্যা হয়। এখন ঘাঁট নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে এতে আমরা অনেক উপকৃত হব।

খেয়া ঘাটের কাজ তদারকি করতে আসা লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজের বলেন, এই খেয়া ঘাটটি দাকোপের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ঘাঁট দিয়ে পশুর নদী পার হয় দাকোপ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মানুষ। ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার ঘাটটি নতুন করে নির্মাণ করছে। অতি দ্রুত এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। তখন এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত