নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্দোলন-অস্থিরতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন, বাড়ছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় প্রশাসন চলছে ঢিলেঢালা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের প্রধানদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২ জন উপাচার্য পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের পদ শূন্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় এখনো পুরোদমে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা প্রশাসনের রদবদল নিয়েই ব্যস্ত। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকটের কারণেও ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যদের সহযোগিতা না করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়েকজন শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর শিক্ষক-সংকটের কারণে কয়েকটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনুষদ থেকে কয়েকজন শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর এ-সংকট দেখা দেয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে এ সমস্যা কেটে যাবে।’
ক্লাসে ফিরে খুশি শিক্ষার্থীরা
ঈদুল আজহার আগে গত ২ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় কাছাকাছি সময়ে ছুটি শুরু হয়। ছুটির পর ১ জুলাই ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। পরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ৭ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেয়।
ভিন্ন পরিবেশে ১১২ দিন পর গত ২২ সেপ্টেম্বর ক্লাসে ফিরেছেন (২০২৩-২৪ সেশন ছাড়া) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস শুরু হলেও এখনো সব বিভাগে পরীক্ষা চালু হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভিন্ন পরিবেশ দেখা গেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাঁদের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুহিবুল্লা মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর নতুন পরিবেশে ক্লাসে ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আশা করি, এ পরিবেশ অব্যাহত থাকবে।’ আর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে ১৮ আগস্ট। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক, তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের যাঁরা হামলা করেছেন, সেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছেন না।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও কোনো কর্মীকে পেলে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি মারধরের ঘটনা ঘটেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষা দিতে এসে আটক হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশও পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাশিম রানা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছি। আগের মতো ডর-ভয় নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকেরা জবাবদিহির মধ্যে রয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করব, ভবিষ্যতে যেন এই অবস্থা চলমান থাকে।’
একই অবস্থা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুতই স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং শিক্ষার ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নজর দেবে। এতে সেশনজট ও শিখন ঘাটতি থেকে রেহাই পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির কারণে সেশনজট ও শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে এগুলো কাটিয়ে ওঠার। কারণ করোনার সময় দীর্ঘ বিরতিতেও আমরা এ সমস্যা মোকাবিলা করেছি।’
কিছু শিক্ষক অনুপস্থিত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের সমর্থন না দেওয়ায় বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বয়কট করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন শিক্ষকেরা।
ক্লাস শুরু হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন, ম্যানেজমেন্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে শিক্ষকদের নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করা, পাঠদানে অক্ষমতা, শিক্ষার্থী হয়রানিসহ নানা অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি বিভাগে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সব বিভাগের শিক্ষক আসছেন না। শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়ে বিভাগগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি]
আন্দোলন-অস্থিরতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন, বাড়ছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় প্রশাসন চলছে ঢিলেঢালা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের প্রধানদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২ জন উপাচার্য পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের পদ শূন্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় এখনো পুরোদমে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা প্রশাসনের রদবদল নিয়েই ব্যস্ত। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকটের কারণেও ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যদের সহযোগিতা না করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়েকজন শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর শিক্ষক-সংকটের কারণে কয়েকটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনুষদ থেকে কয়েকজন শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর এ-সংকট দেখা দেয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে এ সমস্যা কেটে যাবে।’
ক্লাসে ফিরে খুশি শিক্ষার্থীরা
ঈদুল আজহার আগে গত ২ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় কাছাকাছি সময়ে ছুটি শুরু হয়। ছুটির পর ১ জুলাই ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। পরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ৭ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেয়।
ভিন্ন পরিবেশে ১১২ দিন পর গত ২২ সেপ্টেম্বর ক্লাসে ফিরেছেন (২০২৩-২৪ সেশন ছাড়া) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস শুরু হলেও এখনো সব বিভাগে পরীক্ষা চালু হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভিন্ন পরিবেশ দেখা গেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাঁদের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুহিবুল্লা মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর নতুন পরিবেশে ক্লাসে ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আশা করি, এ পরিবেশ অব্যাহত থাকবে।’ আর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে ১৮ আগস্ট। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক, তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের যাঁরা হামলা করেছেন, সেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছেন না।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও কোনো কর্মীকে পেলে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি মারধরের ঘটনা ঘটেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষা দিতে এসে আটক হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশও পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাশিম রানা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছি। আগের মতো ডর-ভয় নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকেরা জবাবদিহির মধ্যে রয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করব, ভবিষ্যতে যেন এই অবস্থা চলমান থাকে।’
একই অবস্থা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুতই স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং শিক্ষার ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নজর দেবে। এতে সেশনজট ও শিখন ঘাটতি থেকে রেহাই পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির কারণে সেশনজট ও শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে এগুলো কাটিয়ে ওঠার। কারণ করোনার সময় দীর্ঘ বিরতিতেও আমরা এ সমস্যা মোকাবিলা করেছি।’
কিছু শিক্ষক অনুপস্থিত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের সমর্থন না দেওয়ায় বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বয়কট করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন শিক্ষকেরা।
ক্লাস শুরু হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন, ম্যানেজমেন্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে শিক্ষকদের নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করা, পাঠদানে অক্ষমতা, শিক্ষার্থী হয়রানিসহ নানা অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি বিভাগে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সব বিভাগের শিক্ষক আসছেন না। শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়ে বিভাগগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি]
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে