মাওলানা ইমরান হোসাইন
মানুষ পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোনো ভূখণ্ডে জন্মালেও আমৃত্যু সেখানে পড়ে থাকে না। জানতে, দেখতে ও উপভোগ করতে মানুষ ছুটে যায় পৃথিবীর দিক-দিগন্তে। কখনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, কখনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক কর্তব্য পালনে মানুষকে যেতে হয় বহু দূর। এটিই ভ্রমণ। ইসলাম ভ্রমণে উৎসাহ দেয়। পবিত্র কোরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভ্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ভ্রমণ বিশেষ ইবাদত। ভ্রমণে মানুষ বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। ভ্রমণে শেখা যায় বিপুল। ইসলাম যেসব কারণে ভ্রমণ করতে উৎসাহ দেয়, তা থেকে কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো:
অবিশ্বাসীদের পরিণাম দেখা
মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রতিটি যুগেই একশ্রেণির মানুষ নবীদের দেওয়া বার্তা অস্বীকার করেছে। মিথ্যা বলে ছুড়ে ফেলেছে। আল্লাহ তাআলা তাৎক্ষণিক তাদের লাগাম টেনে ধরেননি। সময়, সুযোগ ও সতর্ক করার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আল্লাহ তাদের খেয়ালি জীবনের লাগাম টানতে শুরু করেন। এমনকি তাদের অনেককে দুনিয়াতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করেন। সেই ধারাবাহিকতায় যুগে যুগে পৃথিবীর বহু ব্যক্তি ও সম্প্রদায়কে তিনি ধ্বংস করেছেন এবং আমাদের শিক্ষার জন্য তাদের ধ্বংসচিহ্ন রেখে দিয়েছেন। এসব ধ্বংসাবশেষ দেখে মানুষের ইমান বাড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি বলুন, পৃথিবীতে ভ্রমণ করো আর দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের পরিণাম কী হয়েছিল।’ (সুরা আনআম: ১১)
অবকাশযাপন ও চিত্তবিনোদন
একই স্থানে থাকতে থাকতে মানুষকে একঘেয়েমি পেয়ে বসে। জীবনপ্রবাহের নানা প্রতিকূলতায় দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হয় মানুষের মন। মুক্ত পৃথিবীর কোনো এক দিগন্তে কিছু সময় ঘুরে এলে মনের ক্ষতগুলো মুছে যায়। জগৎজুড়ে আল্লাহ তাআলা এমন বর্ণিল সৃষ্টি ছড়িয়ে রেখেছেন, যা এক পলক দেখলেই প্রশান্তির প্রলেপ ছড়িয়ে পড়ে মনের জমিনে। বিশ্বাসের নতুন কিরণে জেগে ওঠে আমাদের ইমান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃজনে, রাত-দিনের আবর্তনে, সেই সব নৌযানে যা মানুষের উপকারী সামগ্রী নিয়ে সাগরে বয়ে চলে, পানিতে যা আল্লাহ আকাশ থেকে বর্ষণ করেছেন এবং তার মাধ্যমে ভূমিকে শুকিয়ে যাওয়ার পর সজীবতা দিয়েছেন এবং তাতে সব ধরনের জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন, বাতাসের দিক পরিবর্তনে এবং মেঘে যা আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে আজ্ঞাবহ হয়ে সেবায় নিয়োজিত আছে—বুদ্ধিমান লোকদের জন্য বহু নিদর্শন আছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬৪)
আয়-রোজগার
নিজের মাতৃভূমিতে যদি আয়-রোজগারের ভালো কোনো উপায় বের করা না যায়, তবে পৃথিবীর অন্য কোথাও ভ্রমণ করলে রুটি-রুজির দরজা খুলে যেতে পারে। অর্থসংকট থেকে মুক্তি মিলতে পারে। যার উত্তম নমুনা জীবিকার খোঁজে প্রবাস খাটা সংগ্রামী মানুষগুলোর জীবনে দেখা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবী সুগম করেছেন। অতএব তোমরা তাতে বিচরণ করো এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক আহার করো। তারই কাছে তোমাদের ফের জীবিত হয়ে ফিরতে হবে।’ (সুরা মুলক: ১৫)
জ্ঞানের খোঁজে
জ্ঞানের খোঁজে পৃথিবী ভ্রমণ করা পূর্বসূরি আলেমদের জীবনের অন্যতম সাধনা ছিল। মহানবী (সা.)-এর একটি হাদিসের খোঁজে হাদিসের সাধকেরা অনেক দূরের পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। একালেও জ্ঞানান্বেষণে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে। ভ্রমণ করলে সংস্কৃতি ও শিষ্টাচারের এক অচেনা জগতে প্রবেশ করা যায়। সাক্ষাৎ মেলে বহু আলোকিত মানুষের, যাঁদের কাছ থেকে অল্প সময়ের সান্নিধ্যে জ্ঞান, শাস্ত্র ও সংস্কৃতির বহু দুর্লভ তথ্য ও শিক্ষা অর্জন করা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষ পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোনো ভূখণ্ডে জন্মালেও আমৃত্যু সেখানে পড়ে থাকে না। জানতে, দেখতে ও উপভোগ করতে মানুষ ছুটে যায় পৃথিবীর দিক-দিগন্তে। কখনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, কখনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক কর্তব্য পালনে মানুষকে যেতে হয় বহু দূর। এটিই ভ্রমণ। ইসলাম ভ্রমণে উৎসাহ দেয়। পবিত্র কোরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভ্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ভ্রমণ বিশেষ ইবাদত। ভ্রমণে মানুষ বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। ভ্রমণে শেখা যায় বিপুল। ইসলাম যেসব কারণে ভ্রমণ করতে উৎসাহ দেয়, তা থেকে কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো:
অবিশ্বাসীদের পরিণাম দেখা
মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রতিটি যুগেই একশ্রেণির মানুষ নবীদের দেওয়া বার্তা অস্বীকার করেছে। মিথ্যা বলে ছুড়ে ফেলেছে। আল্লাহ তাআলা তাৎক্ষণিক তাদের লাগাম টেনে ধরেননি। সময়, সুযোগ ও সতর্ক করার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আল্লাহ তাদের খেয়ালি জীবনের লাগাম টানতে শুরু করেন। এমনকি তাদের অনেককে দুনিয়াতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করেন। সেই ধারাবাহিকতায় যুগে যুগে পৃথিবীর বহু ব্যক্তি ও সম্প্রদায়কে তিনি ধ্বংস করেছেন এবং আমাদের শিক্ষার জন্য তাদের ধ্বংসচিহ্ন রেখে দিয়েছেন। এসব ধ্বংসাবশেষ দেখে মানুষের ইমান বাড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি বলুন, পৃথিবীতে ভ্রমণ করো আর দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের পরিণাম কী হয়েছিল।’ (সুরা আনআম: ১১)
অবকাশযাপন ও চিত্তবিনোদন
একই স্থানে থাকতে থাকতে মানুষকে একঘেয়েমি পেয়ে বসে। জীবনপ্রবাহের নানা প্রতিকূলতায় দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হয় মানুষের মন। মুক্ত পৃথিবীর কোনো এক দিগন্তে কিছু সময় ঘুরে এলে মনের ক্ষতগুলো মুছে যায়। জগৎজুড়ে আল্লাহ তাআলা এমন বর্ণিল সৃষ্টি ছড়িয়ে রেখেছেন, যা এক পলক দেখলেই প্রশান্তির প্রলেপ ছড়িয়ে পড়ে মনের জমিনে। বিশ্বাসের নতুন কিরণে জেগে ওঠে আমাদের ইমান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃজনে, রাত-দিনের আবর্তনে, সেই সব নৌযানে যা মানুষের উপকারী সামগ্রী নিয়ে সাগরে বয়ে চলে, পানিতে যা আল্লাহ আকাশ থেকে বর্ষণ করেছেন এবং তার মাধ্যমে ভূমিকে শুকিয়ে যাওয়ার পর সজীবতা দিয়েছেন এবং তাতে সব ধরনের জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন, বাতাসের দিক পরিবর্তনে এবং মেঘে যা আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে আজ্ঞাবহ হয়ে সেবায় নিয়োজিত আছে—বুদ্ধিমান লোকদের জন্য বহু নিদর্শন আছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬৪)
আয়-রোজগার
নিজের মাতৃভূমিতে যদি আয়-রোজগারের ভালো কোনো উপায় বের করা না যায়, তবে পৃথিবীর অন্য কোথাও ভ্রমণ করলে রুটি-রুজির দরজা খুলে যেতে পারে। অর্থসংকট থেকে মুক্তি মিলতে পারে। যার উত্তম নমুনা জীবিকার খোঁজে প্রবাস খাটা সংগ্রামী মানুষগুলোর জীবনে দেখা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবী সুগম করেছেন। অতএব তোমরা তাতে বিচরণ করো এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক আহার করো। তারই কাছে তোমাদের ফের জীবিত হয়ে ফিরতে হবে।’ (সুরা মুলক: ১৫)
জ্ঞানের খোঁজে
জ্ঞানের খোঁজে পৃথিবী ভ্রমণ করা পূর্বসূরি আলেমদের জীবনের অন্যতম সাধনা ছিল। মহানবী (সা.)-এর একটি হাদিসের খোঁজে হাদিসের সাধকেরা অনেক দূরের পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। একালেও জ্ঞানান্বেষণে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে। ভ্রমণ করলে সংস্কৃতি ও শিষ্টাচারের এক অচেনা জগতে প্রবেশ করা যায়। সাক্ষাৎ মেলে বহু আলোকিত মানুষের, যাঁদের কাছ থেকে অল্প সময়ের সান্নিধ্যে জ্ঞান, শাস্ত্র ও সংস্কৃতির বহু দুর্লভ তথ্য ও শিক্ষা অর্জন করা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪