খান রফিক, বরিশাল
পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের নৌযোগাযোগ খাতে ধস নেমেছে। লোকসানের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে রোটেশনে (পালা) লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দুটিতে নামিয়ে এনেছেন মালিকেরা। তবে পর্যাপ্ত লঞ্চ চলাচল না করায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে কেবিনের টিকিট মিলছে না। লঞ্চ-সংকটের সুযোগ নিয়ে কেবিনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। একেকটি টিকিট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৮ আগস্ট রোটেশন প্রথা চালু করেন লঞ্চমালিকেরা। নতুন এই নিয়মে প্রতিদিন বরিশাল নৌবন্দর থেকে দুটি এবং ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে দুটি লঞ্চ চলাচল করছে।
নৌযোগাযোগ খাত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মনে করছে, বর্তমানে যে সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে, তাতে আরও একটি লঞ্চ চালানো সম্ভব। সেবা বাড়লে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দৈনিক ছয়-সাতটি লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে চলত। প্রায় ৯০০ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একেকটি লঞ্চে সে সময়ে দৈনিক গড়ে ১ হাজার জন নেওয়া হতো। কেবিন ছিল ছয়টি লঞ্চে কমপক্ষে ১ হাজার ৮০০টি। বর্তমানে চলাচল করা দুটি লঞ্চে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৩০০ যাত্রী যাতায়াত করছেন। এ দুটি লঞ্চে কেবিনের সংখ্যা ৬০০; যা চাহিদার তুলনায় কম।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘রোটেশন অনুযায়ী দৈনিক দুটি লঞ্চ চলে এ পথে। আগে দৈনিক ছয়-সাতটি চলত। গত সপ্তাহ থেকে রোটেশনের বাইরে কুয়াকাটা-২ নামের আরও একটি চলছে। ছুটির দিনে প্রায় ৬০০ যাত্রী হয় প্রতিটি লঞ্চে। সে ক্ষেত্রে দুটির স্থলে আরও একটি লঞ্চের চাহিদা রয়েছে। এখন কেবিনের সংকট বেশি।’
গত শুক্র ও শনিবার নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, কালোবাজারিরা একজনের (সিঙ্গেল) কেবিন ১ হাজার টাকার স্থলে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আর দুজনের (ডাবল) কেবিন বিক্রি করছে ২ হাজারের পরিবর্তে আড়াই হাজার টাকায়।
মাসুদ আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, লঞ্চ কম চলাচল করায় কেবিন-সংকট দেখা দিয়েছে। কালোবাজারিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেড় গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছেন।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি আমিনুর রহমান ঝান্ডা বলেন, লঞ্চ খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সেবার মান বাড়াতে হবে। লঞ্চ আরও একটি বাড়িয়ে কেবিন বাড়ানো গেলে শীতে লঞ্চে বিলাসীযাত্রী বাড়ত।
জানতে চাইলে এমভি কুয়াকাটা-২-এর মাস্টার মানিক হোসেন বলেন, ‘রোটেশন প্রথা মালিকদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় সৃষ্টি। আমাদের লঞ্চটি রোটেশনের বাইরে চালানো হয়। বরিশালে একটি চক্র লঞ্চ কম থাকার সুযোগে কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। এর সঙ্গে জড়িত লঞ্চের হকাররা। দালালদের এমন তৎপরতায় লঞ্চখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমরা বর্তমানে বরিশাল-ঢাকা পথে দুটি লঞ্চ চালাচ্ছি। শীত মৌসুমে যাত্রী চাহিদা থাকলে তিনটি করে লঞ্চ চালানোর চিন্তাভাবনা আছে। তবে কেবিনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে।’
সাইদুর রহমান রিন্টু আরও বলেন, ‘বরিশাল নৌবন্দরের কালোবাজারি লেদু, ইমামসহ কয়েকজন এ কাজ করে। আমি আমার কাউন্টারে টিকিট বিক্রির সময় মোবাইল ফোন নম্বর লিখে রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’
বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী তিনটি লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী-সংকট হবে না। কিন্তু লঞ্চমালিকেরা লোকসানের অজুহাত দেখাচ্ছেন।’
বরিশাল নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, ‘এর আগেও লঞ্চে রোটেশন করায় আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সেই প্রথা প্রত্যাহার করিয়েছিলাম। হয়রানি বন্ধ করে যদি লঞ্চের সংখ্যা এবং সেবার মান বাড়ানো হয়, তাহলে যাত্রী আরও বাড়বে। তবে টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্ম্য বন্ধের বিকল্প নেই।’
পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের নৌযোগাযোগ খাতে ধস নেমেছে। লোকসানের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে রোটেশনে (পালা) লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দুটিতে নামিয়ে এনেছেন মালিকেরা। তবে পর্যাপ্ত লঞ্চ চলাচল না করায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে কেবিনের টিকিট মিলছে না। লঞ্চ-সংকটের সুযোগ নিয়ে কেবিনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। একেকটি টিকিট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৮ আগস্ট রোটেশন প্রথা চালু করেন লঞ্চমালিকেরা। নতুন এই নিয়মে প্রতিদিন বরিশাল নৌবন্দর থেকে দুটি এবং ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে দুটি লঞ্চ চলাচল করছে।
নৌযোগাযোগ খাত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মনে করছে, বর্তমানে যে সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে, তাতে আরও একটি লঞ্চ চালানো সম্ভব। সেবা বাড়লে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দৈনিক ছয়-সাতটি লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে চলত। প্রায় ৯০০ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একেকটি লঞ্চে সে সময়ে দৈনিক গড়ে ১ হাজার জন নেওয়া হতো। কেবিন ছিল ছয়টি লঞ্চে কমপক্ষে ১ হাজার ৮০০টি। বর্তমানে চলাচল করা দুটি লঞ্চে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৩০০ যাত্রী যাতায়াত করছেন। এ দুটি লঞ্চে কেবিনের সংখ্যা ৬০০; যা চাহিদার তুলনায় কম।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘রোটেশন অনুযায়ী দৈনিক দুটি লঞ্চ চলে এ পথে। আগে দৈনিক ছয়-সাতটি চলত। গত সপ্তাহ থেকে রোটেশনের বাইরে কুয়াকাটা-২ নামের আরও একটি চলছে। ছুটির দিনে প্রায় ৬০০ যাত্রী হয় প্রতিটি লঞ্চে। সে ক্ষেত্রে দুটির স্থলে আরও একটি লঞ্চের চাহিদা রয়েছে। এখন কেবিনের সংকট বেশি।’
গত শুক্র ও শনিবার নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, কালোবাজারিরা একজনের (সিঙ্গেল) কেবিন ১ হাজার টাকার স্থলে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আর দুজনের (ডাবল) কেবিন বিক্রি করছে ২ হাজারের পরিবর্তে আড়াই হাজার টাকায়।
মাসুদ আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, লঞ্চ কম চলাচল করায় কেবিন-সংকট দেখা দিয়েছে। কালোবাজারিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেড় গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছেন।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি আমিনুর রহমান ঝান্ডা বলেন, লঞ্চ খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সেবার মান বাড়াতে হবে। লঞ্চ আরও একটি বাড়িয়ে কেবিন বাড়ানো গেলে শীতে লঞ্চে বিলাসীযাত্রী বাড়ত।
জানতে চাইলে এমভি কুয়াকাটা-২-এর মাস্টার মানিক হোসেন বলেন, ‘রোটেশন প্রথা মালিকদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় সৃষ্টি। আমাদের লঞ্চটি রোটেশনের বাইরে চালানো হয়। বরিশালে একটি চক্র লঞ্চ কম থাকার সুযোগে কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। এর সঙ্গে জড়িত লঞ্চের হকাররা। দালালদের এমন তৎপরতায় লঞ্চখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমরা বর্তমানে বরিশাল-ঢাকা পথে দুটি লঞ্চ চালাচ্ছি। শীত মৌসুমে যাত্রী চাহিদা থাকলে তিনটি করে লঞ্চ চালানোর চিন্তাভাবনা আছে। তবে কেবিনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে।’
সাইদুর রহমান রিন্টু আরও বলেন, ‘বরিশাল নৌবন্দরের কালোবাজারি লেদু, ইমামসহ কয়েকজন এ কাজ করে। আমি আমার কাউন্টারে টিকিট বিক্রির সময় মোবাইল ফোন নম্বর লিখে রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’
বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী তিনটি লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী-সংকট হবে না। কিন্তু লঞ্চমালিকেরা লোকসানের অজুহাত দেখাচ্ছেন।’
বরিশাল নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, ‘এর আগেও লঞ্চে রোটেশন করায় আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সেই প্রথা প্রত্যাহার করিয়েছিলাম। হয়রানি বন্ধ করে যদি লঞ্চের সংখ্যা এবং সেবার মান বাড়ানো হয়, তাহলে যাত্রী আরও বাড়বে। তবে টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্ম্য বন্ধের বিকল্প নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে