সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
নিভৃত পাহাড়ি পল্লি। তেপান্তর পেরিয়ে পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা গ্রামগুলোয় দাঁড়িয়ে আছে নানা প্রজাতির গাছ। গাছের শাখা-প্রশাখায় পাখিদের কিচিরমিচির। অদূরে বটবৃক্ষের ডাল থেকে ভেসে আসে মধুর ডাক। কৌতূহলী চোখ সেদিকে তাকালেও পাতা-ডাল নড়ে ওঠা ছাড়া তেমন কিছুই দেখা যায় না। কিছুক্ষণ পর ঘন পাতার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে সবুজ এক পাখি। নাম তার হরবোলা, সোনা কপালি হরবোলা।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের জনপদ মুবাছড়িতে গিয়ে পাখিটির দেখা মিলেছে। মহালছড়ির এই গ্রামে পাখি আর মানুষের দারুণ সখ্য।
গ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শতবর্ষী বটবৃক্ষ। সেই গাছের নিচে গড়ে উঠেছে তিনটি চায়ের দোকান। গ্রামবাসীই এসব দোকানের মূল ক্রেতা।
ঋতুর হিসাবে এখন হেমন্ত হলেও পাহাড়ের প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীতের আমেজ। এ সময় পাহাড়ে পাখির বিচরণ থাকে সবচেয়ে বেশি। খাবারের খোঁজে পাখিরা লোকালয়ে ফিরে আসে। ঘন ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম তাদের খুব প্রিয়, বিশেষ করে গ্রামের বটবৃক্ষের শাখাগুলো।
মুবাছড়িতেও শতবর্ষী বটের ডালে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের অবাধ বিচরণ চোখে পড়েছে। এখানকার লোকজন কেউ পাখি শিকার করে না, অন্য গ্রাম থেকে কোনো শিকারি এসে শিকারও করতে পারে না। তাই বটের ডালে সোনা কপালি হরবোলা, পাকড়া ধনেশ, চুনিমুখী মৌটুসি, কাঠশালিক, পাহাড়ি ময়না, বসন্তবৌরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে নিরাপদে ঘুরে বেড়ায়।
বটের পাকা ফল খেতে এখানে প্রায়ই আসে সোনা কপালি হরবোলা। হরবোলা বাংলাদেশের স্থানীয় প্রজাতির পাখি। বেশ সুদর্শন, কণ্ঠস্বর সুমধুর। স্বভাবে চঞ্চল ও নরম। সারা দিন ঘুরেফিরে বটের ডালেই তাদের দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই অন্তত কয়েক জোড়া হরবোলা নিরাপদে ঘুরে বেড়ায় এখানে। বটের সবুজ পাতার আড়ালে এদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে হরবোলা খুব কম দেখা যাওয়ার কথা। তবে পাহাড়ি গ্রামগুলো যেহেতু চিরসবুজ, তাই এখানেই এদের দেখা যায়।
সাধারণত বাংলাদেশে সোনা কপালি হরবোলা ও নীল ডানা হরবোলা দেখা যায়। এর মধ্যে সোনা কপালি হরবোলা লম্বায় প্রায় ১৮-১৯ সেন্টিমিটার। কপাল দেখতে কমলা-হলুদ বা সোনালি। দেহের ওপরের অংশ উজ্জ্বল সবুজ। পালকের ওপরে আসমানি রং। চোখের দুই পাশ থেকে মুখ ও গলা কালো। চিবুক বেগুনি-নীল। গলার নিচের অংশে সোনালি-হলুদ রেখা। ঠোঁট কালচে, অগ্রভাগ বাঁকানো। চোখের মণি গাঢ় বাদামি। পা ও পায়ের পাতা কালো। স্ত্রী-পুরুষ পাখির মধ্যে সামান্য তফাত রয়েছে। স্ত্রী পাখির কপালের সোনালি পালক পুরুষের তুলনায় হালকা।
বটগাছের ফল ছাড়াও এরা অন্যান্য ছোট ফল, ফুলের মধু ও পোকামাকড় খায়। এদের প্রজনন মৌসুম জানুয়ারি থেকে আগস্ট। ডিম দেয় ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে দুই সপ্তাহের বেশি।
খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়ির পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হরবোলা দেখা যায়। তবে এরা সাধারণত বট, পারিজাত ফুলের গাছে বেশি থাকে।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হরবোলা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ আইইউসিএনের তালিকায় এটি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
নিভৃত পাহাড়ি পল্লি। তেপান্তর পেরিয়ে পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা গ্রামগুলোয় দাঁড়িয়ে আছে নানা প্রজাতির গাছ। গাছের শাখা-প্রশাখায় পাখিদের কিচিরমিচির। অদূরে বটবৃক্ষের ডাল থেকে ভেসে আসে মধুর ডাক। কৌতূহলী চোখ সেদিকে তাকালেও পাতা-ডাল নড়ে ওঠা ছাড়া তেমন কিছুই দেখা যায় না। কিছুক্ষণ পর ঘন পাতার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে সবুজ এক পাখি। নাম তার হরবোলা, সোনা কপালি হরবোলা।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের জনপদ মুবাছড়িতে গিয়ে পাখিটির দেখা মিলেছে। মহালছড়ির এই গ্রামে পাখি আর মানুষের দারুণ সখ্য।
গ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শতবর্ষী বটবৃক্ষ। সেই গাছের নিচে গড়ে উঠেছে তিনটি চায়ের দোকান। গ্রামবাসীই এসব দোকানের মূল ক্রেতা।
ঋতুর হিসাবে এখন হেমন্ত হলেও পাহাড়ের প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীতের আমেজ। এ সময় পাহাড়ে পাখির বিচরণ থাকে সবচেয়ে বেশি। খাবারের খোঁজে পাখিরা লোকালয়ে ফিরে আসে। ঘন ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম তাদের খুব প্রিয়, বিশেষ করে গ্রামের বটবৃক্ষের শাখাগুলো।
মুবাছড়িতেও শতবর্ষী বটের ডালে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের অবাধ বিচরণ চোখে পড়েছে। এখানকার লোকজন কেউ পাখি শিকার করে না, অন্য গ্রাম থেকে কোনো শিকারি এসে শিকারও করতে পারে না। তাই বটের ডালে সোনা কপালি হরবোলা, পাকড়া ধনেশ, চুনিমুখী মৌটুসি, কাঠশালিক, পাহাড়ি ময়না, বসন্তবৌরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে নিরাপদে ঘুরে বেড়ায়।
বটের পাকা ফল খেতে এখানে প্রায়ই আসে সোনা কপালি হরবোলা। হরবোলা বাংলাদেশের স্থানীয় প্রজাতির পাখি। বেশ সুদর্শন, কণ্ঠস্বর সুমধুর। স্বভাবে চঞ্চল ও নরম। সারা দিন ঘুরেফিরে বটের ডালেই তাদের দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই অন্তত কয়েক জোড়া হরবোলা নিরাপদে ঘুরে বেড়ায় এখানে। বটের সবুজ পাতার আড়ালে এদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে হরবোলা খুব কম দেখা যাওয়ার কথা। তবে পাহাড়ি গ্রামগুলো যেহেতু চিরসবুজ, তাই এখানেই এদের দেখা যায়।
সাধারণত বাংলাদেশে সোনা কপালি হরবোলা ও নীল ডানা হরবোলা দেখা যায়। এর মধ্যে সোনা কপালি হরবোলা লম্বায় প্রায় ১৮-১৯ সেন্টিমিটার। কপাল দেখতে কমলা-হলুদ বা সোনালি। দেহের ওপরের অংশ উজ্জ্বল সবুজ। পালকের ওপরে আসমানি রং। চোখের দুই পাশ থেকে মুখ ও গলা কালো। চিবুক বেগুনি-নীল। গলার নিচের অংশে সোনালি-হলুদ রেখা। ঠোঁট কালচে, অগ্রভাগ বাঁকানো। চোখের মণি গাঢ় বাদামি। পা ও পায়ের পাতা কালো। স্ত্রী-পুরুষ পাখির মধ্যে সামান্য তফাত রয়েছে। স্ত্রী পাখির কপালের সোনালি পালক পুরুষের তুলনায় হালকা।
বটগাছের ফল ছাড়াও এরা অন্যান্য ছোট ফল, ফুলের মধু ও পোকামাকড় খায়। এদের প্রজনন মৌসুম জানুয়ারি থেকে আগস্ট। ডিম দেয় ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে দুই সপ্তাহের বেশি।
খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়ির পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হরবোলা দেখা যায়। তবে এরা সাধারণত বট, পারিজাত ফুলের গাছে বেশি থাকে।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হরবোলা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ আইইউসিএনের তালিকায় এটি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪