নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে প্রায় সাড়ে ৬০০ ভুঁইফোড় মানি একচেঞ্জের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, গোয়েন্দা সংস্থা ও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। তবে কেন্দ্রীয় বৈধ ও অবৈধ সব মানি চেঞ্জিং হাউসে হানা দিচ্ছে। পরিদর্শনে নামা ১০টি দল ব্যবসার সনদ যাচাই, ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের খতিয়ান ও ডলার ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাবতীয় তথ্যসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। আর যেসব ব্যবসায়ীর সনদ রয়েছে কিন্তু নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যবসা করছেন, তাঁদের সনদ বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যবসায়িক সনদ না থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দোকান সিলগালা করছেন। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ও লেনদেনের ভুয়া কাগজপত্র প্রমাণ পেলে সনদ বাতিলের পাশাপাশি অপরাধীদের আইনানুগ ব্যবস্থার মাধ্যমে জেল-জরিমানার ইঙ্গিতও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৬০০ অবৈধ ডলার এক্সচেঞ্জ হাউস রয়েছে। তারা কোনো নিয়ম না মেনে ব্যবসা করছে। তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয় না। তাদের খুঁটির জোর অনেক বেশি। তবে এবার ডলারের সংকট নিরসনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমরাও গতকাল রাজধানীর উত্তরা বাদে সব এলাকার মানি চেঞ্জিং হাউসগুলোকে বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেছি। অন্যদের ফোনে বলা হয়েছে। তাদের পরিদর্শন দলকে সহযোগিতা করতে বলেছি।’
ডলারের বাজার নিয়ে হেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘পরিদর্শনের কারণে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগের মতো ডলার সংগ্রহ করতে পারছি না। এ জন্য গতকাল লেনদেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। আর রোববার প্রতি ডলার ১০৮ টাকা দরে ডলার ক্রয় করে তা ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রয় করা হয়েছে।’
রাজধানী দিলকুশায় ফাস্ট মানি চেঞ্জারের বিক্রয়কর্মী আদিবা বলেন, ‘সম্প্রতি ডলারের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা সেই অনুযায়ী ডলার সংগ্রহ ও বিক্রয় করতে পারছি না। রোববার ডলারের রেট ছিল ১০৮-১০৯ টাকা।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারে বাজারে হঠাৎ করে অস্থিতিশীলতার পেছনে বেশ কিছু কারণ পর্যালোচনা করছি। আমরা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সব তথ্য হাতে পেয়েছি। তাদের ওপর নজরদারি আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ১০টি দল অভিযান করছে। ইতিমধ্যে অভিযানকালে আমরা বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে এনএসআই ও ডিবি কাজ করছে। তারা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে। আমরা অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আর গুরুতর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে তাদের জেল-জরিমানাও হতে পারে।’
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাইলে তো একজন সাধারণ মানুষ ডলার লেনদেন করতে পারে না। অথচ অবৈধ ব্যবসায়ীরা নিয়মন ছাড়া ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। তারা কোনো তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয় না। আবার অনেকে ভুয়া কাগজপত্র দেয়। এখানে দুর্নীতির শেষ নেই। তাদের কারণে আমরা ভালো নেই। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানকে সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে প্রায় সাড়ে ৬০০ ভুঁইফোড় মানি একচেঞ্জের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, গোয়েন্দা সংস্থা ও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। তবে কেন্দ্রীয় বৈধ ও অবৈধ সব মানি চেঞ্জিং হাউসে হানা দিচ্ছে। পরিদর্শনে নামা ১০টি দল ব্যবসার সনদ যাচাই, ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের খতিয়ান ও ডলার ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাবতীয় তথ্যসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। আর যেসব ব্যবসায়ীর সনদ রয়েছে কিন্তু নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যবসা করছেন, তাঁদের সনদ বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যবসায়িক সনদ না থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দোকান সিলগালা করছেন। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ও লেনদেনের ভুয়া কাগজপত্র প্রমাণ পেলে সনদ বাতিলের পাশাপাশি অপরাধীদের আইনানুগ ব্যবস্থার মাধ্যমে জেল-জরিমানার ইঙ্গিতও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৬০০ অবৈধ ডলার এক্সচেঞ্জ হাউস রয়েছে। তারা কোনো নিয়ম না মেনে ব্যবসা করছে। তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয় না। তাদের খুঁটির জোর অনেক বেশি। তবে এবার ডলারের সংকট নিরসনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমরাও গতকাল রাজধানীর উত্তরা বাদে সব এলাকার মানি চেঞ্জিং হাউসগুলোকে বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেছি। অন্যদের ফোনে বলা হয়েছে। তাদের পরিদর্শন দলকে সহযোগিতা করতে বলেছি।’
ডলারের বাজার নিয়ে হেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘পরিদর্শনের কারণে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগের মতো ডলার সংগ্রহ করতে পারছি না। এ জন্য গতকাল লেনদেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। আর রোববার প্রতি ডলার ১০৮ টাকা দরে ডলার ক্রয় করে তা ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রয় করা হয়েছে।’
রাজধানী দিলকুশায় ফাস্ট মানি চেঞ্জারের বিক্রয়কর্মী আদিবা বলেন, ‘সম্প্রতি ডলারের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা সেই অনুযায়ী ডলার সংগ্রহ ও বিক্রয় করতে পারছি না। রোববার ডলারের রেট ছিল ১০৮-১০৯ টাকা।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারে বাজারে হঠাৎ করে অস্থিতিশীলতার পেছনে বেশ কিছু কারণ পর্যালোচনা করছি। আমরা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সব তথ্য হাতে পেয়েছি। তাদের ওপর নজরদারি আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ১০টি দল অভিযান করছে। ইতিমধ্যে অভিযানকালে আমরা বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে এনএসআই ও ডিবি কাজ করছে। তারা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে। আমরা অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আর গুরুতর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে তাদের জেল-জরিমানাও হতে পারে।’
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাইলে তো একজন সাধারণ মানুষ ডলার লেনদেন করতে পারে না। অথচ অবৈধ ব্যবসায়ীরা নিয়মন ছাড়া ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। তারা কোনো তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয় না। আবার অনেকে ভুয়া কাগজপত্র দেয়। এখানে দুর্নীতির শেষ নেই। তাদের কারণে আমরা ভালো নেই। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানকে সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে