বরগুনার ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত: ডিআইজি

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৬: ৩২
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫৪

একটি ঘটনা দিয়ে পুলিশকে বিচার করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আক্তারুজ্জামান। বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা তদন্তে এসে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিআইজি বলেন, ‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও পুলিশের আইজিপি মহোদয়ও ব্যথিত। আমিও অত্যন্ত কষ্ট মনে নিয়ে আজ এসেছি।’

নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই (আজ) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মহরম আলীকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনার ঘটনায় সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিআইজি বলেন, ‘একটি ঘটনা দিয়ে পুলিশকে বিচার করা যায় না। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে যেসব পুলিশ সদস্য আগ্রাসী ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে চট্টগ্রামে বদলি ছাড়াও পাঁচজনকে ভোলা ও পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টের পর আসল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার একদম সুষ্ঠু বিচার এবং সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তখন পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত