বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল কাম সড়কসেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটিতে ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে কোরিয়া আর বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে ২০১৮ সালে ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছিল একনেক। পরে বোয়ালখালীর বাসিন্দাদের আন্দোলনের মুখে শুধু রেলসেতু নির্মাণের ওই প্রকল্প থেকে সরে এসে রেল কাম সড়কসেতু নির্মাণে নতুন প্রকল্প নেয় সরকার। কোরিয়ার ঋণে নেওয়া এই প্রকল্পে ব্যয় হবে আগেরটার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক সভায় কর্ণফুলী রেল কাম সড়কসেতুসহ চারটি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও সাতটি প্রকল্পের। এগুলো বাস্তবায়নে সরকারের খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ সহায়তা থেকে ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অর্থের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ কম। এদিকে আমরাও অনেক বেছে এবং যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নিচ্ছি। আবার যেসব রাজনৈতিক প্রকল্প আছে, কিছু এখনো শুরু হয়নি, সেগুলো নেওয়া হচ্ছে না। যেসব রাজনৈতিক প্রকল্পের কাজ শেষের পথে, সেগুলো প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও শেষ করা হচ্ছে। ফলে সরকারি বিনিয়োগও কম হচ্ছে। গ্রামে মানুষ বলে ব্যবসা ভালো না। সেই সঙ্গে আগে রাজনৈতিক নানা কার্যক্রম ছিল, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ হলে ট্রাক ভাড়া করে লোক আনা হতো। এতে অর্থ প্রবাহ বাড়ত। এখন তো সেসব কার্যক্রম নেই। এসব কারণে অর্থ প্রবাহ কমে গেছে।
তথ্য-উপাত্তে রাজনৈতিক প্রভাব আছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব আছে। এই বাস্তবতায় আমরা এখন বিবিএসের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তারা যে হিসাব নিয়ে আসে, আমি আইনগতভাবে শুধু স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই দেখি না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহারের হিসাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি কোথায় যায় এবং একজন অফিসার কয়টা করে জিপ গাড়ি ব্যবহার করেন, এসব খুঁজে বের করা হবে। এ জন্য একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জেলা-উপজেলাসহ সারা দেশে সরকারি গাড়ি আছে, তার একটি তালিকা করা হবে। দেখা হবে কোন গাড়ি কোথায় আছে, কত দিন কার্যকর থাকে—সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
চার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন
গতকাল একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে সাজেক রোড কানেকটিভিটি, প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল-কাম রোডসেতু নির্মাণ প্রকল্প ও মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সভায় জানানো হয়, ১৯ হাজার ৫৬ কোটির সাজেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে ৪২৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ প্রকল্পে ১১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর ও অন্যান্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচিত তিনটি অর্থনৈতিক গ্রোথ করিডরের অন্তর্ভুক্ত ৬টি সিটি করপোরেশন ও ৮১টি পৌরসভার জলবায়ু সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিষেবাসমূহ বৃদ্ধি করতে ৫ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ে রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট (আরইউটিডিপি) প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে ৪ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় ৮৮০ কিলোমিটার নগর সড়ক উন্নয়ন, ২০০০ মিটার ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ, ২০০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে বা ফুটপাত নির্মাণ, ৫৯৫ কিলোমিটার স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও অন্যান্য কাজ করা হবে।
একনেক সভায় মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে গতকাল। দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৬ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৩ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি
গতকাল একনেক সভায় আরও সাতটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পগুলোর ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পগুলো হলো—কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউস নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৪৮০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বৈরাগীপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮-৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চর কাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশ ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর (জেড-২৮২২) সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু (রাজাপুর সেতু) নির্মাণ ও ৭.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এ ছাড়া শিল্প ও শক্তি বিভাগের দুটি প্রকল্প একনেকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর সিক্স এনওসিএস ডিভিশন আন্ডার ডিপিডিসি (বিশেষ সংশোধিত) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।
ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল কাম সড়কসেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটিতে ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে কোরিয়া আর বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে ২০১৮ সালে ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছিল একনেক। পরে বোয়ালখালীর বাসিন্দাদের আন্দোলনের মুখে শুধু রেলসেতু নির্মাণের ওই প্রকল্প থেকে সরে এসে রেল কাম সড়কসেতু নির্মাণে নতুন প্রকল্প নেয় সরকার। কোরিয়ার ঋণে নেওয়া এই প্রকল্পে ব্যয় হবে আগেরটার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক সভায় কর্ণফুলী রেল কাম সড়কসেতুসহ চারটি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও সাতটি প্রকল্পের। এগুলো বাস্তবায়নে সরকারের খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ সহায়তা থেকে ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অর্থের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ কম। এদিকে আমরাও অনেক বেছে এবং যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নিচ্ছি। আবার যেসব রাজনৈতিক প্রকল্প আছে, কিছু এখনো শুরু হয়নি, সেগুলো নেওয়া হচ্ছে না। যেসব রাজনৈতিক প্রকল্পের কাজ শেষের পথে, সেগুলো প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও শেষ করা হচ্ছে। ফলে সরকারি বিনিয়োগও কম হচ্ছে। গ্রামে মানুষ বলে ব্যবসা ভালো না। সেই সঙ্গে আগে রাজনৈতিক নানা কার্যক্রম ছিল, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ হলে ট্রাক ভাড়া করে লোক আনা হতো। এতে অর্থ প্রবাহ বাড়ত। এখন তো সেসব কার্যক্রম নেই। এসব কারণে অর্থ প্রবাহ কমে গেছে।
তথ্য-উপাত্তে রাজনৈতিক প্রভাব আছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব আছে। এই বাস্তবতায় আমরা এখন বিবিএসের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তারা যে হিসাব নিয়ে আসে, আমি আইনগতভাবে শুধু স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই দেখি না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহারের হিসাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি কোথায় যায় এবং একজন অফিসার কয়টা করে জিপ গাড়ি ব্যবহার করেন, এসব খুঁজে বের করা হবে। এ জন্য একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জেলা-উপজেলাসহ সারা দেশে সরকারি গাড়ি আছে, তার একটি তালিকা করা হবে। দেখা হবে কোন গাড়ি কোথায় আছে, কত দিন কার্যকর থাকে—সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
চার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন
গতকাল একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে সাজেক রোড কানেকটিভিটি, প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল-কাম রোডসেতু নির্মাণ প্রকল্প ও মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সভায় জানানো হয়, ১৯ হাজার ৫৬ কোটির সাজেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে ৪২৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ প্রকল্পে ১১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর ও অন্যান্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচিত তিনটি অর্থনৈতিক গ্রোথ করিডরের অন্তর্ভুক্ত ৬টি সিটি করপোরেশন ও ৮১টি পৌরসভার জলবায়ু সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিষেবাসমূহ বৃদ্ধি করতে ৫ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ে রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট (আরইউটিডিপি) প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে ৪ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় ৮৮০ কিলোমিটার নগর সড়ক উন্নয়ন, ২০০০ মিটার ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ, ২০০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে বা ফুটপাত নির্মাণ, ৫৯৫ কিলোমিটার স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও অন্যান্য কাজ করা হবে।
একনেক সভায় মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে গতকাল। দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৬ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৩ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি
গতকাল একনেক সভায় আরও সাতটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পগুলোর ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পগুলো হলো—কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউস নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৪৮০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বৈরাগীপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮-৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চর কাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশ ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর (জেড-২৮২২) সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু (রাজাপুর সেতু) নির্মাণ ও ৭.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এ ছাড়া শিল্প ও শক্তি বিভাগের দুটি প্রকল্প একনেকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর সিক্স এনওসিএস ডিভিশন আন্ডার ডিপিডিসি (বিশেষ সংশোধিত) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে