সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ, মতলব, চাঁদপুরসহ পাঁচটি নৌপথে চলাচলরত ছোট লঞ্চ চালুর আগে নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বারবার। পর্যাপ্ত লাইফ বয়া এবং অগ্নিনিবাপণ যন্ত্র আছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের আগে নানান শর্তে রাজি হয়ে অতঃপর পুনরায় চলাচলের অনুমতি নিয়েছে এসব লঞ্চ। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তাব্যবস্থায় রয়ে গেছে ত্রুটি।
গত বুধবার লঞ্চ চলাকালীন নিরাপত্তা কার্যক্রম দেখতে যাত্রা শুরু করা হয় চাঁদপুরের ষাটনল ঘাট থেকে। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি মিলু দুপুর সাড়ে ১২টায় ষাটনলে এসে পৌঁছায়। যাত্রাপথে দেখা যায়, লঞ্চের ওপরের তলায় ৪৭ জন যাত্রী অবস্থান করছেন, নিচতলায় ৩২ জন। লঞ্চে ২৮টি লাইফ বয়া থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২৬টি। সব কটি বয়াই নিচতলায় রেখে দেওয়া হয়েছে। অথচ যাত্রী নিচতলার চেয়ে ওপরের তলাতেই বেশি। ফলে ৪৭ জন যাত্রীর হাতের নাগালে নেই একটিও। শুধু তা-ই নয়, ইঞ্জিনরুমের নিরাপত্তায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রেরও দেখা নেই।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করে থাকা মকবুল-২ লঞ্চে গিয়েও অনেকটা একই চিত্র দেখা গেছে। এই লঞ্চে নির্ধারিত ২৪টি বয়া থাকলেও সব কয়টি নিচতলার এক কোনায় স্তূপ করে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমন স্থানে বয়াগুলো স্থাপন করা, যা খোদ নিচতলার যাত্রীরাও সহজে নাগাল পাবেন না। তার ওপর বেঁধে রাখার কারণে জরুরি মুহূর্তে তা একেবারেই অকার্যকর। এ ছাড়া লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় কোনো বয়া নেই। এই লঞ্চেও দেখা মেলেনি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের।
এমভি মিলু লঞ্চে থাকা এক স্টাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বয়া যখন লাগবে, তখন দেওয়া যাবে। ওপরের তলায় বয়া রাখার জায়গা নেই। আর বয়া খুলে রাখলে মানুষ নিয়ে যাবে।’
চলতি বছরের মার্চে জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া এম এল আশ্রাফউদ্দিন লঞ্চে সংরক্ষিত থাকা লাইফ বয়ার একটিও সেখানকার যাত্রীদের কাজে আসেনি। সব কটি বয়া ছিল লঞ্চের নিচতলায় রশি দিয়ে বাঁধা। ফলে যাত্রীরা জরুরি মুহূর্তে হাতের কাছে বয়া না পেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় লঞ্চটি তোলা হলে দেখা যায়, সব কটি বয়া লঞ্চের নিচতলায় বেঁধে রাখা আছে। স্থানীয় উৎসুক ছেলেরা লঞ্চের ভেতরে ঢুকে সেসব বয়া লুট করে নিয়ে যায়। কেউ কেউ লঞ্চের পাশেই নদীতে বয়া ভাসিয়ে গোসল করে।
লঞ্চযাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘বড় বড় লঞ্চে হাতের নাগালেই বয়া রাখা হয়। কিন্তু ছোট লঞ্চ সব বয়া রেখে দিয়েছে নিচতলার একটি কোনায়। এভাবে বয়া রাখলে যাত্রীদের কোনো কাজে আসবে না। জরুরি সময়ে যদি হাতের নাগালে বয়া না পাওয়া যায়, তাহলে এই বয়ার কোনো মূল্য নেই। লাইফ বয়াগুলো হাতের নাগালে এবং খোলা স্থানে এমনভাবে রাখা উচিত, যাতে সহজেই যাত্রীরা জরুরি সময়ে তা ব্যবহার করতে পারে।’
লঞ্চে বয়া সংরক্ষণের এমন চিত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদলের কাছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চে বয়া যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখতে হবে। এমনটাই নির্দেশনা এসেছে বিআইডব্লিউটিএ থেকে। আমি এই বিষয়ে অবশ্যই খোঁজ নেব। লঞ্চ স্টাফদের বলব, ঠিকভাবে যেন বয়া রাখা হয়।’
একই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চমালিকদের বলতে বলতে আমরা হয়রান। আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই লঞ্চ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব। বিষয়টি আমাদের নজরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ, মতলব, চাঁদপুরসহ পাঁচটি নৌপথে চলাচলরত ছোট লঞ্চ চালুর আগে নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বারবার। পর্যাপ্ত লাইফ বয়া এবং অগ্নিনিবাপণ যন্ত্র আছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের আগে নানান শর্তে রাজি হয়ে অতঃপর পুনরায় চলাচলের অনুমতি নিয়েছে এসব লঞ্চ। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তাব্যবস্থায় রয়ে গেছে ত্রুটি।
গত বুধবার লঞ্চ চলাকালীন নিরাপত্তা কার্যক্রম দেখতে যাত্রা শুরু করা হয় চাঁদপুরের ষাটনল ঘাট থেকে। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি মিলু দুপুর সাড়ে ১২টায় ষাটনলে এসে পৌঁছায়। যাত্রাপথে দেখা যায়, লঞ্চের ওপরের তলায় ৪৭ জন যাত্রী অবস্থান করছেন, নিচতলায় ৩২ জন। লঞ্চে ২৮টি লাইফ বয়া থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২৬টি। সব কটি বয়াই নিচতলায় রেখে দেওয়া হয়েছে। অথচ যাত্রী নিচতলার চেয়ে ওপরের তলাতেই বেশি। ফলে ৪৭ জন যাত্রীর হাতের নাগালে নেই একটিও। শুধু তা-ই নয়, ইঞ্জিনরুমের নিরাপত্তায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রেরও দেখা নেই।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করে থাকা মকবুল-২ লঞ্চে গিয়েও অনেকটা একই চিত্র দেখা গেছে। এই লঞ্চে নির্ধারিত ২৪টি বয়া থাকলেও সব কয়টি নিচতলার এক কোনায় স্তূপ করে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমন স্থানে বয়াগুলো স্থাপন করা, যা খোদ নিচতলার যাত্রীরাও সহজে নাগাল পাবেন না। তার ওপর বেঁধে রাখার কারণে জরুরি মুহূর্তে তা একেবারেই অকার্যকর। এ ছাড়া লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় কোনো বয়া নেই। এই লঞ্চেও দেখা মেলেনি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের।
এমভি মিলু লঞ্চে থাকা এক স্টাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বয়া যখন লাগবে, তখন দেওয়া যাবে। ওপরের তলায় বয়া রাখার জায়গা নেই। আর বয়া খুলে রাখলে মানুষ নিয়ে যাবে।’
চলতি বছরের মার্চে জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া এম এল আশ্রাফউদ্দিন লঞ্চে সংরক্ষিত থাকা লাইফ বয়ার একটিও সেখানকার যাত্রীদের কাজে আসেনি। সব কটি বয়া ছিল লঞ্চের নিচতলায় রশি দিয়ে বাঁধা। ফলে যাত্রীরা জরুরি মুহূর্তে হাতের কাছে বয়া না পেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় লঞ্চটি তোলা হলে দেখা যায়, সব কটি বয়া লঞ্চের নিচতলায় বেঁধে রাখা আছে। স্থানীয় উৎসুক ছেলেরা লঞ্চের ভেতরে ঢুকে সেসব বয়া লুট করে নিয়ে যায়। কেউ কেউ লঞ্চের পাশেই নদীতে বয়া ভাসিয়ে গোসল করে।
লঞ্চযাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘বড় বড় লঞ্চে হাতের নাগালেই বয়া রাখা হয়। কিন্তু ছোট লঞ্চ সব বয়া রেখে দিয়েছে নিচতলার একটি কোনায়। এভাবে বয়া রাখলে যাত্রীদের কোনো কাজে আসবে না। জরুরি সময়ে যদি হাতের নাগালে বয়া না পাওয়া যায়, তাহলে এই বয়ার কোনো মূল্য নেই। লাইফ বয়াগুলো হাতের নাগালে এবং খোলা স্থানে এমনভাবে রাখা উচিত, যাতে সহজেই যাত্রীরা জরুরি সময়ে তা ব্যবহার করতে পারে।’
লঞ্চে বয়া সংরক্ষণের এমন চিত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদলের কাছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চে বয়া যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখতে হবে। এমনটাই নির্দেশনা এসেছে বিআইডব্লিউটিএ থেকে। আমি এই বিষয়ে অবশ্যই খোঁজ নেব। লঞ্চ স্টাফদের বলব, ঠিকভাবে যেন বয়া রাখা হয়।’
একই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চমালিকদের বলতে বলতে আমরা হয়রান। আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই লঞ্চ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব। বিষয়টি আমাদের নজরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে