ডাকাতি ঠেকাতে সতর্ক পাহারা পুলিশ-জনতার

যশোর ও মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ০৬

ডাকাত-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। এলাকায় পরপর তিনটি ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের জানমাল রক্ষায় জনতার সঙ্গে পুলিশও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নে ডাকাতি ঠেকাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি দল বেঁধে পাড়ামহল্লার মোড়ে মোড়ে পাহারা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার যুবকেরা। তাঁরা রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করছেন।

উপজেলার রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে ভান্ডারি মোড়ে ইউনিয়নের সব মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও যুবকদের ব্রিফিং করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। এরপর আমরা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে পাহারায় ছিলাম। আমার ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টে লাঠিসোঁটা নিয়ে পাঁচ-সাতজন করে পাহারায় ছিলেন।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউনিয়নের বিশেষ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। রাতভর আমাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, ওসি শেখ মনিরুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান টহলে ছিলেন। ডাকাত ধরা না পড়া পর্যন্ত জনগণের নিরাপত্তায় আমরা পাহারায় থাকব।’

এদিকে রোহিতায় তিন ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার অন্য এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণকে রাতে সজাগ থাকতে কাশিমনগর ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে।

মাহমুদকাটি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ঘরে বৃদ্ধ শাশুড়ি ও ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে থাকি। যেভাবে ডাকাতি শুরু হয়েছে, রাত হলে ঘুম আসে না।’

মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাতভর আমরা জোরদার টহল দিচ্ছি। এলাকাবাসীকে নিয়ে ডাকাত প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

গত এক মাসে উপজেলার রোহিতার ভান্ডারি মোড়ে আবুল কাসেম, কোদলাপাড়ায় মেঘনা বেকারির মালিক মশিয়ার রহমান এবং সরসকাটি গ্রামের মোতালেব হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ডাকাতদল বাড়ির লোকজনকে বেঁধে মারধর করে টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে।

এদিকে যশোরে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন আরজ আলী (৪৫), রুবেল সরদার (৩৪), শাহ আলী বাবু (৩৮), নাদিম মাহমুদ (২৭), তরিকুল ইসলাম (৩২), সবুজ কাজী (৩৬), বোরহান সরদার (৩৫), ওহিদ মোল্লা (৪০), সুনাম বিশ্বাস (৩২) এবং আফরোজা (৩২)।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ওসি রূপন কুমার সরকার গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যশোরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় গতকাল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত