মো. নাজমুল ইসলাম বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)
দুই ছেলে আর এক মেয়ে রেখে স্বামী কালীপদ রায় মারা গেলেন ২০০৫ সালে। তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে যেন অথই সাগরে পড়লেন মমতা রায়। এই অকূলে তাঁকে কূল দেখাল সুই-সুতার কাজ। এ কাজ করেই তিনি টেনে নিলেন চারজনের সংসার। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করালেন। করলেন বাড়িঘর। পথ দেখালেন গ্রামের অন্য নারীদেরও, তাঁদের কাছে হয়ে উঠলেন ‘মমতা দিদি’। সব মিলিয়ে সেই থেকে সুই-সুতার বাঁধনে বাঁধা পড়ল তাঁর জীবন।
হস্তশিল্পের কারিগর মমতার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামে।
মমতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন স্বামী। ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, সেই চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। সুই-সুতার কাজ জানতাম। জীবিকার তাগিদে পড়ে হাতে তৈরি পাখা বানিয়ে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করা শুরু করলাম। খুবই কষ্টে সংসার চলত। সন্তানদের পড়ালেখার ও সংসারের খরচ জোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা।’
তবে দিন ফিরল মমতার। আরডিআরএসের মাধ্যমে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নিলেন। পাটের তৈরি পাপোশ, পাটের ব্যাগ, পাটের ড্রাম, কুশন কভার, সুতার ম্যাট, নকশিকাঁথা, হাতপাখা বানিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়ালেন। ২০০৭ সালে ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা করে পরিসর বাড়ালেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
মমতা বলেন, ‘গ্রামের নারীদের দিয়ে তৈরি করা হস্তশিল্প সামগ্রী এখন দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকার বড় বড় শপিং মলে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই কাজ দেখে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে আমাকে অর্ডার দিয়ে যান। ক্রেতাদের প্রশংসা মনোবল ও সাহস বাড়িয়ে দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ডার বাড়তে থাকে।’
শুধু নিজের জীবনের গল্পই নয়, সুই-সুতার কারুকাজে বদলে দিয়েছেন বিভিন্ন গ্রামের আরও সহস্রাধিক নারীর জীবন। সংসারের পাশাপাশি বুননের কাজ করে বাড়তি আয় করছেন তাঁরা।
মমতার প্রতিবেশী পুলিন রায় জানান, ‘হস্তশিল্পের কাজ করেই তিন সন্তানকে পড়ালেখা করিয়েছেন মমতা। তাঁদের বিয়ে-শাদিও দিয়েছেন। করেছেন পাকা বাড়িঘর।’
মমতার উপলব্ধি, ‘সংসারের পাশাপাশি নারীদেরও কিছু করা উচিত। হাতের কাজটা সময়-সুযোগমতো করা যায়। এটা করলে নিজেরাও স্বাবলম্বী হতে পারবে।’
দুই ছেলে আর এক মেয়ে রেখে স্বামী কালীপদ রায় মারা গেলেন ২০০৫ সালে। তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে যেন অথই সাগরে পড়লেন মমতা রায়। এই অকূলে তাঁকে কূল দেখাল সুই-সুতার কাজ। এ কাজ করেই তিনি টেনে নিলেন চারজনের সংসার। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করালেন। করলেন বাড়িঘর। পথ দেখালেন গ্রামের অন্য নারীদেরও, তাঁদের কাছে হয়ে উঠলেন ‘মমতা দিদি’। সব মিলিয়ে সেই থেকে সুই-সুতার বাঁধনে বাঁধা পড়ল তাঁর জীবন।
হস্তশিল্পের কারিগর মমতার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামে।
মমতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন স্বামী। ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, সেই চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। সুই-সুতার কাজ জানতাম। জীবিকার তাগিদে পড়ে হাতে তৈরি পাখা বানিয়ে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করা শুরু করলাম। খুবই কষ্টে সংসার চলত। সন্তানদের পড়ালেখার ও সংসারের খরচ জোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা।’
তবে দিন ফিরল মমতার। আরডিআরএসের মাধ্যমে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নিলেন। পাটের তৈরি পাপোশ, পাটের ব্যাগ, পাটের ড্রাম, কুশন কভার, সুতার ম্যাট, নকশিকাঁথা, হাতপাখা বানিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়ালেন। ২০০৭ সালে ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা করে পরিসর বাড়ালেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
মমতা বলেন, ‘গ্রামের নারীদের দিয়ে তৈরি করা হস্তশিল্প সামগ্রী এখন দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকার বড় বড় শপিং মলে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই কাজ দেখে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে আমাকে অর্ডার দিয়ে যান। ক্রেতাদের প্রশংসা মনোবল ও সাহস বাড়িয়ে দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ডার বাড়তে থাকে।’
শুধু নিজের জীবনের গল্পই নয়, সুই-সুতার কারুকাজে বদলে দিয়েছেন বিভিন্ন গ্রামের আরও সহস্রাধিক নারীর জীবন। সংসারের পাশাপাশি বুননের কাজ করে বাড়তি আয় করছেন তাঁরা।
মমতার প্রতিবেশী পুলিন রায় জানান, ‘হস্তশিল্পের কাজ করেই তিন সন্তানকে পড়ালেখা করিয়েছেন মমতা। তাঁদের বিয়ে-শাদিও দিয়েছেন। করেছেন পাকা বাড়িঘর।’
মমতার উপলব্ধি, ‘সংসারের পাশাপাশি নারীদেরও কিছু করা উচিত। হাতের কাজটা সময়-সুযোগমতো করা যায়। এটা করলে নিজেরাও স্বাবলম্বী হতে পারবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে