ড্রেজারের পাইপ নিয়ে ভোগান্তি, শঙ্কা

শরীফ হাসান, দোহার (ঢাকা)
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ১১
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১১: ১০

ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে সেতুর ওপর, সড়ক ও কৃষিজমিতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ড্রেজারের পাইপলাইন। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইউনিয়নজুড়েই পাইপ টেনে বালু ভরাটের ব্যবসা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের হরিচণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার ওপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ টানা হয়েছে। সড়ক ছাড়াও পাইপ নেওয়া হয়েছে সেতুর ওপর দিয়ে। ধুলুখার সেতুরও একই অবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সেতুটি এমনিতেই ভেঙে আছে। তার মধ্যে ব্রিজের সঙ্গে ড্রেজারের পাইপ বেঁধে বালু নিচ্ছে। এতে আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সেতুটি। এ ছাড়া মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাসহ বিভিন্ন কাঁচা রাস্তার মাটি কেটে নিচ ও ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে ড্রেজারের পাইপ। এসব জায়গায় পাইপের ওপর মাটি ফেলে কয়েক ফুট উঁচু করা হয়েছে। এতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘দোহারে যাঁরা ড্রেজার চালান, তাঁরা প্রভাবশালী। প্রশাসন একদিকে পাইপ ধ্বংস করে দিয়ে যায়, কিছু সময় পরই তাঁরা আগের অবস্থায় ফিরে যান। এভাবে চোর-পুলিশ খেলা চলে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, ‘মাহমুদপুর গ্রামে ধুলুখার সেতু দিয়ে তিনটি পাইপ নিয়েছিলেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আবুল বলেন, ‘এই ব্রিজ দিয়ে যখন পাইপ নেয়, তখন আমরা বাধা দিই; কিন্তু তাঁরা কোনো কথা শোনেন না। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই কিছু করতে পারিনি।’

এ বিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এই পাইপ নিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই ইয়াকুব আলী। আমি তাকে নিষেধ করেছি, শোনেনি।’

ড্রেজার ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট জিন্নত চোকদার বলেন, ‘আমি যে পাইপ নিয়েছি, তাতে জনগণের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ নাঈমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত