ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আলুচাষিরা। উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কায় পরিপক্ব হওয়ার পরও খেত থেকে আলু তুলতে আগ্রহ তাঁদের। কিছু প্রান্তিক কৃষক সংসারের খরচ মেটাতে জমি থেকে আলু তুলে বিক্রি করছেন। তবে এতে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আলু চাষে বিমুখ হবেন এসব কৃষক এমন ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
কৃষকেরা জানান, চলতি বছর সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও বীজের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু খেত থেকে আলু তোলার পর যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে খরচের টাকাও উঠছে না। অভিযোগ রয়েছে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লুটছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনা মহামারিতে প্রতি কেজি আলু জমি থেকে কৃষক বিক্রি করেছেন ১৫-১৬ টাকা দরে। ভালো দামের আশায় এ বছর অনেকেই বেশি জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে জমি থেকে প্রতি কেজি আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ টাকায়। এতে জেলার প্রায় দেড় হাজার কৃষক পুঁজি হারানোর আশঙ্কা করছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও যাঁরা আলু চাষে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অবস্থাও প্রায় একই।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলায় আলু চাষের উপযোগী জমি ও উৎপাদন খরচ কম। তাই কৃষকদের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু এ বছর আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
চরবাইলজুরী গ্রামের কৃষক আল মামুন বলেন, ‘চলতি বছর আমি ৮০ শতাংশ জমিতে আলুর আবাদ করেছি। ব্যাংকঋণের টাকায় আলু আবাদ করতে হয়েছে। এখন তুললে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাই জমি থেকে আলু তুলছি না।’
বালিয়াখোড়া গ্রামের কৃষক মো. সমশের আলী বলেন, ‘আমার নিজের জমি নেই। অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলুর আবাদ করেছি। এবারে আলু চাষ করে নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার যদি প্রতি কেজি আলুর মূল্য কম করে ১৫ টাকা ঠিক করে দেয়, তাহলে আমরা বাঁচব।’
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষক আলুর দাম পাচ্ছেন না।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আরও জানান, উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৪৬৭ হেক্টর জমিতে। ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে পয়লা ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে।
আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আলুচাষিরা। উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কায় পরিপক্ব হওয়ার পরও খেত থেকে আলু তুলতে আগ্রহ তাঁদের। কিছু প্রান্তিক কৃষক সংসারের খরচ মেটাতে জমি থেকে আলু তুলে বিক্রি করছেন। তবে এতে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আলু চাষে বিমুখ হবেন এসব কৃষক এমন ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
কৃষকেরা জানান, চলতি বছর সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও বীজের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু খেত থেকে আলু তোলার পর যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে খরচের টাকাও উঠছে না। অভিযোগ রয়েছে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লুটছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনা মহামারিতে প্রতি কেজি আলু জমি থেকে কৃষক বিক্রি করেছেন ১৫-১৬ টাকা দরে। ভালো দামের আশায় এ বছর অনেকেই বেশি জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে জমি থেকে প্রতি কেজি আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ টাকায়। এতে জেলার প্রায় দেড় হাজার কৃষক পুঁজি হারানোর আশঙ্কা করছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও যাঁরা আলু চাষে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অবস্থাও প্রায় একই।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলায় আলু চাষের উপযোগী জমি ও উৎপাদন খরচ কম। তাই কৃষকদের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু এ বছর আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
চরবাইলজুরী গ্রামের কৃষক আল মামুন বলেন, ‘চলতি বছর আমি ৮০ শতাংশ জমিতে আলুর আবাদ করেছি। ব্যাংকঋণের টাকায় আলু আবাদ করতে হয়েছে। এখন তুললে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাই জমি থেকে আলু তুলছি না।’
বালিয়াখোড়া গ্রামের কৃষক মো. সমশের আলী বলেন, ‘আমার নিজের জমি নেই। অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলুর আবাদ করেছি। এবারে আলু চাষ করে নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার যদি প্রতি কেজি আলুর মূল্য কম করে ১৫ টাকা ঠিক করে দেয়, তাহলে আমরা বাঁচব।’
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষক আলুর দাম পাচ্ছেন না।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আরও জানান, উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৪৬৭ হেক্টর জমিতে। ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে পয়লা ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে