তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
রাজধানীর মতিঝিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রং করার নামে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। মহাখালীতে জোনাল অফিসের টয়লেট পরিষ্কার করতে খরচ দেখানো হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গুলশান ও বনানী এলাকার তিন ভবন রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং উত্তরায় রাজউক কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সোয়া ৫ কোটি টাকার বিল-ভাউচার সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নামমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ দেখানো নিয়ে সমালোচনায় মুখর খোদ রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই।
রাজউকের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আমারও সন্দেহ হয়েছিল। পরে সবকিছু দেখে, গণপূর্ত রেট শিডিউল যাচাই করে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে খুব বেশি অস্বাভাবিক মনে হয়নি। অন্য বিষয়গুলো পুরোপুরি মনে নেই।’
নথিপত্রে দেখা যায়, বনানী নিবাস ও উত্তরায় একই ভবনে একাধিকবার কাজের বিল করা হয়েছে। বিদ্যুতের কাজের জন্যও একইভাবে বিল-ভাউচার করা হয়েছে। রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সদস্য (এস্টেট) রুমে সাড়ে ৮ লাখ টাকায় সিসিটিভি বসানোর কথা বলা হয়েছে; আসলে সেখানে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকতে পারে। অ্যানেক্স ভবনসহ রাজউক ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে কোটি টাকার বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। এখানে ২০ লাখ টাকাও খরচ হয়েছে কি না সন্দেহ আছে।
নথির তথ্যমতে, রাজউকের প্রধান ভবন ও মিলনায়তন পরিষ্কার ও রঙের কাজের নামে ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, অ্যানেক্স ভবনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, নিচতলায় অভ্যর্থনা কক্ষ নির্মাণকাজে ৫ লাখ ১৭ হাজার, মসজিদ ও ভবন চত্বর পরিষ্কার করতে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অ্যানেক্স ভবনের পাঁচতলায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দপ্তর মেরামতে ৭ লাখ ৩ হাজার, সাবস্টেশনের দরজা-জানালা মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে জোনাল অফিসের জেনারেটর রুম ও ডাস্টবিন নির্মাণকাজে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, তৃতীয় শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর ভবন মেরামতে ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, স্টাফ কোয়ার্টারের ২ নম্বর ভবনের মেরামতে ৩০ লাখ ৩২ হাজার টাকা, স্টাফ কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবন মেরামতে ৩০ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ১ নম্বর ভবন মেরামতকাজে ২২ লাখ ৭২ টাকা, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে স্টাফ কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবন মেরামতকাজে ২৪ লাখ ১ হাজার টাকা, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজে ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ১০ নম্বর সেক্টরে বনায়ন এবং ৬ নম্বর সেক্টরে কোয়ার্টারের বাথরুম-সুয়ারেজ লাইন নির্মাণে ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলীর (বাস্তবায়ন) দপ্তর থেকে পাঠানো পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বনানী নিবাসে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ৩৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৪ টাকা, ১১ নম্বর ভবনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬১২ টাকা, গুলশানে রাজউক বাণিজ্যিক ভবন এবং কার পার্কিং রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজে ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ২১৯ টাকা, মহাখালী রাজউক অফিস-টয়লেট পরিষ্কার কাজে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭১ টাকা, গুলশানের বাণিজ্যিক এবং কার পার্কিং বেসমেন্ট এবং ভবনের ১৫ তলা পরিষ্কার কাজে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৫ টাকা, কোয়ার্টারে সীমানাপ্রাচীর, পাম্প হাউসে প্রাচীর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণসহ পেইন্টিং ও প্লাস্টারের তিনটি কাজে ৬ লাখ করে মোট ১৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোথায় এসব কাজ হয়েছে, তা চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) উজ্জ্বল মল্লিককে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে একটা আর্থিক সংকট চলছে; এর মধ্যে এ ধরনের খরচের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে এ ঘটনায় আমি মোটেও অবাক হইনি; কারণ রাজউক যে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, তা প্রতিষ্ঠিত। পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচিত এমন ঘটনায় তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
রাজধানীর মতিঝিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রং করার নামে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। মহাখালীতে জোনাল অফিসের টয়লেট পরিষ্কার করতে খরচ দেখানো হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গুলশান ও বনানী এলাকার তিন ভবন রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং উত্তরায় রাজউক কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সোয়া ৫ কোটি টাকার বিল-ভাউচার সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নামমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ দেখানো নিয়ে সমালোচনায় মুখর খোদ রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই।
রাজউকের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আমারও সন্দেহ হয়েছিল। পরে সবকিছু দেখে, গণপূর্ত রেট শিডিউল যাচাই করে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে খুব বেশি অস্বাভাবিক মনে হয়নি। অন্য বিষয়গুলো পুরোপুরি মনে নেই।’
নথিপত্রে দেখা যায়, বনানী নিবাস ও উত্তরায় একই ভবনে একাধিকবার কাজের বিল করা হয়েছে। বিদ্যুতের কাজের জন্যও একইভাবে বিল-ভাউচার করা হয়েছে। রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সদস্য (এস্টেট) রুমে সাড়ে ৮ লাখ টাকায় সিসিটিভি বসানোর কথা বলা হয়েছে; আসলে সেখানে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকতে পারে। অ্যানেক্স ভবনসহ রাজউক ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে কোটি টাকার বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। এখানে ২০ লাখ টাকাও খরচ হয়েছে কি না সন্দেহ আছে।
নথির তথ্যমতে, রাজউকের প্রধান ভবন ও মিলনায়তন পরিষ্কার ও রঙের কাজের নামে ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, অ্যানেক্স ভবনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, নিচতলায় অভ্যর্থনা কক্ষ নির্মাণকাজে ৫ লাখ ১৭ হাজার, মসজিদ ও ভবন চত্বর পরিষ্কার করতে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অ্যানেক্স ভবনের পাঁচতলায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দপ্তর মেরামতে ৭ লাখ ৩ হাজার, সাবস্টেশনের দরজা-জানালা মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে জোনাল অফিসের জেনারেটর রুম ও ডাস্টবিন নির্মাণকাজে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, তৃতীয় শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর ভবন মেরামতে ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, স্টাফ কোয়ার্টারের ২ নম্বর ভবনের মেরামতে ৩০ লাখ ৩২ হাজার টাকা, স্টাফ কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবন মেরামতে ৩০ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ১ নম্বর ভবন মেরামতকাজে ২২ লাখ ৭২ টাকা, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে স্টাফ কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবন মেরামতকাজে ২৪ লাখ ১ হাজার টাকা, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজে ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ১০ নম্বর সেক্টরে বনায়ন এবং ৬ নম্বর সেক্টরে কোয়ার্টারের বাথরুম-সুয়ারেজ লাইন নির্মাণে ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলীর (বাস্তবায়ন) দপ্তর থেকে পাঠানো পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বনানী নিবাসে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ৩৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৪ টাকা, ১১ নম্বর ভবনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬১২ টাকা, গুলশানে রাজউক বাণিজ্যিক ভবন এবং কার পার্কিং রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজে ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ২১৯ টাকা, মহাখালী রাজউক অফিস-টয়লেট পরিষ্কার কাজে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭১ টাকা, গুলশানের বাণিজ্যিক এবং কার পার্কিং বেসমেন্ট এবং ভবনের ১৫ তলা পরিষ্কার কাজে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৫ টাকা, কোয়ার্টারে সীমানাপ্রাচীর, পাম্প হাউসে প্রাচীর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণসহ পেইন্টিং ও প্লাস্টারের তিনটি কাজে ৬ লাখ করে মোট ১৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোথায় এসব কাজ হয়েছে, তা চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) উজ্জ্বল মল্লিককে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে একটা আর্থিক সংকট চলছে; এর মধ্যে এ ধরনের খরচের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে এ ঘটনায় আমি মোটেও অবাক হইনি; কারণ রাজউক যে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, তা প্রতিষ্ঠিত। পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচিত এমন ঘটনায় তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে