ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
দেশের চলমান গ্যাসের সংকট নিরসনে কিছুটা আশার সঞ্চার করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) তিনটি পরিত্যক্ত কূপ। একটি কূপ থেকে দু-এক দিনের মধ্যেই গ্যাস উত্তোলন শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটির একটি থেকে ১০-১২ দিন এবং অপরটি থেকে তিন মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে এসজিএফএল। তখন কূপ তিনটি মিলে দিনে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ বা ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপ থেকে ২০-২২ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে ১ কোটি ঘনফুট এবং তিন মাসের মধ্যে রশিদপুর-২ নম্বর কূপ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করবে এসজিএফএল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে, আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
ইতিমধ্যে কিছু সফলতা পাওয়ার কথা জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আরও তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন শেষে গত বছর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। সিলেট-৮, কৈলাসটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ এই তিন কূপ থেকে বর্তমানে দিনে ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করছি আমরা।’
এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানির সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতাধীন সিলেটের ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ শুরু হয়।
এরই মধ্যে তিনটির খননকাজ শেষে গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এবার কৈলাসটিলা-২, সিলেট-১০ ও রশিদপুর-২ এই তিনটি কূপ থেকে উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। এসজিএফএলের আওতাধীন গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপ থেকে দীর্ঘদিন গ্যাস উত্তোলন বন্ধ ছিল। গত ২৭ জুলাই এই কূপ পুনঃখনন শুরু হয়। খননের পর চলতি সপ্তাহে এই কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০-২২ নভেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এসজিএফএল। সেখান থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হবে।
গত ২৪ জুন হরিপুরের সিলেট-১০ নম্বর কূপেও পুনঃখনন শুরু হয়। বর্তমানে কাজ চলছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এসজিএফএল। এই কূপ থেকে দিনে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
এদিকে রশিদপুর-২ নম্বর কূপ পুনঃখনন শুরুর সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। শিগগিরই কাজ শুরু হবে এবং তিন মাসের মধ্যে এ কূপ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
এসজিএফএলের অপারেশন ডিভিশন ও প্রকল্প বিভাগের দুই প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপের একটি স্তর থেকে আগে গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছিল। এরপর এই স্তরে পানি এসে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা এই কূপ পুনঃখননকাজে আরও একাধিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে গত ৯ ও ১১ নভেম্বর পরীক্ষা করে গ্যাস পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। সঠিক গ্যাস মিললে এটাই হবে সবচেয়ে বড় সুখবর।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে দেশে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে এসজিএফএলের আওতায় আছে ৫ টি। সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এগুলোর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত।
দেশের চলমান গ্যাসের সংকট নিরসনে কিছুটা আশার সঞ্চার করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) তিনটি পরিত্যক্ত কূপ। একটি কূপ থেকে দু-এক দিনের মধ্যেই গ্যাস উত্তোলন শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটির একটি থেকে ১০-১২ দিন এবং অপরটি থেকে তিন মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে এসজিএফএল। তখন কূপ তিনটি মিলে দিনে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ বা ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপ থেকে ২০-২২ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে ১ কোটি ঘনফুট এবং তিন মাসের মধ্যে রশিদপুর-২ নম্বর কূপ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করবে এসজিএফএল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে, আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
ইতিমধ্যে কিছু সফলতা পাওয়ার কথা জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আরও তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন শেষে গত বছর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। সিলেট-৮, কৈলাসটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ এই তিন কূপ থেকে বর্তমানে দিনে ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করছি আমরা।’
এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানির সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতাধীন সিলেটের ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ শুরু হয়।
এরই মধ্যে তিনটির খননকাজ শেষে গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এবার কৈলাসটিলা-২, সিলেট-১০ ও রশিদপুর-২ এই তিনটি কূপ থেকে উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। এসজিএফএলের আওতাধীন গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপ থেকে দীর্ঘদিন গ্যাস উত্তোলন বন্ধ ছিল। গত ২৭ জুলাই এই কূপ পুনঃখনন শুরু হয়। খননের পর চলতি সপ্তাহে এই কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০-২২ নভেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এসজিএফএল। সেখান থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হবে।
গত ২৪ জুন হরিপুরের সিলেট-১০ নম্বর কূপেও পুনঃখনন শুরু হয়। বর্তমানে কাজ চলছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এসজিএফএল। এই কূপ থেকে দিনে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
এদিকে রশিদপুর-২ নম্বর কূপ পুনঃখনন শুরুর সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। শিগগিরই কাজ শুরু হবে এবং তিন মাসের মধ্যে এ কূপ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
এসজিএফএলের অপারেশন ডিভিশন ও প্রকল্প বিভাগের দুই প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কৈলাসটিলা-২ নম্বর কূপের একটি স্তর থেকে আগে গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছিল। এরপর এই স্তরে পানি এসে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা এই কূপ পুনঃখননকাজে আরও একাধিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে গত ৯ ও ১১ নভেম্বর পরীক্ষা করে গ্যাস পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। সঠিক গ্যাস মিললে এটাই হবে সবচেয়ে বড় সুখবর।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে দেশে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে এসজিএফএলের আওতায় আছে ৫ টি। সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এগুলোর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে