নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলো অন্যতম বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়াই। এখন দরজায় কড়া নাড়ছে স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল হতে পারে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই। বিএনপি এবারও জানিয়ে দিয়েছে, এই সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই অবস্থায় ক্ষমতাসীনদের চ্যালেঞ্জ দুই রকম। একদিকে, বিএনপি না এলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
সবদিক বিবেচনা করে এই ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ নতুন কৌশলে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বেশির ভাগ প্রার্থী নিজেদের দলের হবে ধরে নিয়ে কোনো প্রার্থীকেই হয়তো তাঁরা দলীয় প্রতীক নৌকা দেবে না। তাতে করে ভোট আবার ‘আওয়ামী লীগ বনাম স্বতন্ত্র’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এতে হয়তো দলীয় শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, আবার দ্বন্দ্ব-সহিংসতাও এড়ানো যাবে। এইসব বিষয়ে দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। কোনো কোনো নেতা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথাও বলছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক কেন্দ্রীয় নেতা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার পক্ষে বলছেন। বিষয়টি নিয়ে দলে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হবে। তবে দলীয় প্রধানই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানা যায়, ইতিমধ্যে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫২টি উপজেলার সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এসব নির্বাচন করতে হবে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন, প্রথম সভার ও মেয়াদ শেষের তারিখসহ তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও আগের সব নির্বাচন হয়েছিল নির্দলীয়ভাবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের আপত্তি দীর্ঘদিনের। কয়েকজনের আপত্তির কারণে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার ইউপি নির্বাচন উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা পরিষদেও দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। ওই সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবেন।
এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের রাজি না হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে বিভেদ তৈরি হয়েছে। ভোটের পরেও যার রেশে খুনোখুনি হচ্ছে। এখন আবার উপজেলায় দলীয় প্রতীক দিলে কোন্দল বাড়বে। এতে দলীয় প্রতীক না দেওয়াই দলের জন্য মঙ্গল।
এ বিষয়ে ঢাকার দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার দলে সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটিকেই সঠিক মনে করব।
বিএনপি-জাপার ভাবনা
প্রতীক থাক আর না থাক বিএনপি যে ভোটে যাবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান আগের মতোই। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এই কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও না যাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। উপজেলা নির্বাচনে কেন যাব না।’ আর দলীয় প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একটি আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। আমি মনে করি, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার সুযোগ নেই।’
আইন নিয়ে ইসির ভাবনা
ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জমা দিতে হয়। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাঁকে ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হবে না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র বলছে, আগে থেকে স্থানীয় সরকার আইন সংস্কারের জন্য মেসেজ ছিল যে, এটা হলে সুবিধা হয়। সরকার থেকে সংস্কার করে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে আগের মতো নির্দলীয় করলে সেটা ভালো হবে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় পর্যায়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা বেশি থাকে।
আইন সংস্কার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ আছে কি না—জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। সরকারের তরফ থেকে আমাদেরও কিছু বলেনি।’
কমিশন সভার বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘কমিশন সভার তারিখ এখনো পড়েনি। এ বিষয়ে কালকে (আজ) জানা যাবে।’ চলতি সপ্তাহে উপজেলা পরিষদের তফসিল হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হতে পারে। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা করা হয়, তখন চিন্তা করা হয়েছিল এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না। কারণ, এটি হলে স্থানীয় লোকজন বেশি মাত্রায় রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে পড়বে।
এ কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেটির একটি ব্যত্যয় আমরা ঘটিয়েছি। আগের অবস্থায় যাওয়ার জন্য সময় আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। আমি একজন নাগরিক হিসেবে মনে করি, স্থানীয় সরকারকে এতটা রাজনীতিকরণ করলে এটির একটি ভয়ানক প্রভাব পড়বে। যাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেন, তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। গত কয়েক বছর যাবৎ আমরা যা দেখছি।’ তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে না হওয়াটাই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলো অন্যতম বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়াই। এখন দরজায় কড়া নাড়ছে স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল হতে পারে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই। বিএনপি এবারও জানিয়ে দিয়েছে, এই সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই অবস্থায় ক্ষমতাসীনদের চ্যালেঞ্জ দুই রকম। একদিকে, বিএনপি না এলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
সবদিক বিবেচনা করে এই ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ নতুন কৌশলে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বেশির ভাগ প্রার্থী নিজেদের দলের হবে ধরে নিয়ে কোনো প্রার্থীকেই হয়তো তাঁরা দলীয় প্রতীক নৌকা দেবে না। তাতে করে ভোট আবার ‘আওয়ামী লীগ বনাম স্বতন্ত্র’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এতে হয়তো দলীয় শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, আবার দ্বন্দ্ব-সহিংসতাও এড়ানো যাবে। এইসব বিষয়ে দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। কোনো কোনো নেতা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথাও বলছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক কেন্দ্রীয় নেতা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার পক্ষে বলছেন। বিষয়টি নিয়ে দলে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হবে। তবে দলীয় প্রধানই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানা যায়, ইতিমধ্যে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫২টি উপজেলার সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এসব নির্বাচন করতে হবে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন, প্রথম সভার ও মেয়াদ শেষের তারিখসহ তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও আগের সব নির্বাচন হয়েছিল নির্দলীয়ভাবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের আপত্তি দীর্ঘদিনের। কয়েকজনের আপত্তির কারণে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার ইউপি নির্বাচন উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা পরিষদেও দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। ওই সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবেন।
এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের রাজি না হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে বিভেদ তৈরি হয়েছে। ভোটের পরেও যার রেশে খুনোখুনি হচ্ছে। এখন আবার উপজেলায় দলীয় প্রতীক দিলে কোন্দল বাড়বে। এতে দলীয় প্রতীক না দেওয়াই দলের জন্য মঙ্গল।
এ বিষয়ে ঢাকার দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার দলে সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটিকেই সঠিক মনে করব।
বিএনপি-জাপার ভাবনা
প্রতীক থাক আর না থাক বিএনপি যে ভোটে যাবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান আগের মতোই। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এই কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও না যাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। উপজেলা নির্বাচনে কেন যাব না।’ আর দলীয় প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একটি আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। আমি মনে করি, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার সুযোগ নেই।’
আইন নিয়ে ইসির ভাবনা
ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জমা দিতে হয়। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাঁকে ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হবে না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র বলছে, আগে থেকে স্থানীয় সরকার আইন সংস্কারের জন্য মেসেজ ছিল যে, এটা হলে সুবিধা হয়। সরকার থেকে সংস্কার করে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে আগের মতো নির্দলীয় করলে সেটা ভালো হবে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় পর্যায়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা বেশি থাকে।
আইন সংস্কার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ আছে কি না—জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। সরকারের তরফ থেকে আমাদেরও কিছু বলেনি।’
কমিশন সভার বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘কমিশন সভার তারিখ এখনো পড়েনি। এ বিষয়ে কালকে (আজ) জানা যাবে।’ চলতি সপ্তাহে উপজেলা পরিষদের তফসিল হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হতে পারে। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা করা হয়, তখন চিন্তা করা হয়েছিল এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না। কারণ, এটি হলে স্থানীয় লোকজন বেশি মাত্রায় রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে পড়বে।
এ কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেটির একটি ব্যত্যয় আমরা ঘটিয়েছি। আগের অবস্থায় যাওয়ার জন্য সময় আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। আমি একজন নাগরিক হিসেবে মনে করি, স্থানীয় সরকারকে এতটা রাজনীতিকরণ করলে এটির একটি ভয়ানক প্রভাব পড়বে। যাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেন, তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। গত কয়েক বছর যাবৎ আমরা যা দেখছি।’ তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে না হওয়াটাই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে