ফুটপাতে হকারের রাজত্ব

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ৪৫
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ২৫

রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে হকারেরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। যে কারণে সংকুচিত হয়ে গেছে চলাচলের পথ। এ ছাড়াও যত্রতত্র মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান পার্ক করার কারণে বাড়ছে যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।

সরেজমিনে পাংশা পৌর শহরে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের ব্যস্ততম সড়ক কালীবাড়ি মোড়। এই সড়কটি দিয়ে যেতে হয় রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাংশা মডেল থানা, পাংশা সরকারি কলেজ, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে। অথচ এই সড়ক যেন পৌরবাসীর কাছে ভোগান্তির আরেক নাম। দত্ত মার্কেট, মাহামুদ প্লাজা, লতিফ মার্কেটসহ শহরের প্রতিটি মার্কেটের সামনের সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে বছরের পর বছর হকারেরা ব্যবসা করে আসছেন। যে কারণে ফুটপাত ব্যবহার না করতে পারায় পথচারীরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। এ ছাড়াও সড়কের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র যানবাহন পার্ক করে রাখা হয়েছে, যে কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

ফুটপাতে বসা ফল বিক্রেতা আল আমিন বলেন, কয়েক বছর ধরে তিনি ফুটপাতের ওপর ব্যবসা করে আসছেন। কাউকে কোনো টাকা দিয়ে তিনি ফুটপাতে ব্যবসা করেন না। যখন অভিযান চলে তখন সেখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র চলে যান, আবার এসে বসেন।

আরেক ফল বিক্রেতা আকরাম বলেন, ফুটপাত দখল করে অনেকেই ব্যবসা করছেন। তাদের দেখাদেখি আমিও করছি।

পথচারী রুবেল আহম্মেদ বলেন, শহরের মধ্যে আসার কোনো পরিবেশই নেই। যানজট লেগেই থাকে। পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা। হেঁটেও যাওয়া যায় না। শহরের অধিকাংশ ফুটপাত হকারেরা দখল করে আছেন। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।

আরেক পথচারী সোহেল রানা বলেন, যাব শহরের শিল্পকলা মোড়ে। রেলস্টেশন থেকে হেঁটে যাচ্ছি। উপায় নেই। অটোরিকশা বা ভ্যানে গেলে আধা ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। হেঁটে গেলে ১০ মিনিটেই চলে যেতে পারব। একদিকে সড়কের ফুটপাত হকারেরা দখল করে আছেন, আরেক দিকে সড়কের ওপরে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে রাখা হয় অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল। সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার মতো কেউ নেই।

পাংশা পৌর শহরের দত্ত মার্কেট, মাহামুদ প্লাজা, লতিফ মার্কেটসহ শহরের প্রতিটি মার্কেটের সামনের সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে বছরের পর বছর হকারেরা ব্যবসা করে আসছেন। যে কারণে ফুটপাত ব্যবহার না করতে পারায় পথচারীরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। 

হাসান শেখ বলেন, রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিল্পকলা মোড় পর্যন্ত সড়কে আসতে খুবই কষ্ট লাগে। জ্যামের কারণে মাঝেমধ্যেই রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়ে। কোনো পথচারী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন না। বছরের পর বছর এমনটি চলে এলেও নেই পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারি।

পাংশা পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব।’ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কল করলে তাঁর পিএস ফোনটি রিসিভ করে বলেন, স্যার নামাজে আছেন।’ পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আবার কল করলে তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত