এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত সব চৌকি আদালত এবং সেখানে কর্মরত বিচারকদের জন্য এখনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গত ২৬ এপ্রিল শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি চৌকি আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এর আগে নব্বইয়ের দশকে ওই বাসভবনে অবস্থানরত বিচারককে গুলি করে হত্যাও করা হয়েছিল।
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে ১৪ আগস্ট আনসারের মহাপরিচালককে ডেকে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
জমিদারি আমলে খাজনা-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছিল চৌকি আদালত। বর্তমানেও দেশের ২০টি জেলায় চৌকি আদালতের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীয়তপুরে বিচারকের বাসভবনে হামলার পর নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। বিষয়টি নিয়ে আনসারের ডিজিকে ডেকে কথা বলেছেন তখনকার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ডিজি জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। চিঠিটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দেশের ৪২টি দেওয়ানি ও ২৫টি ফৌজদারি চৌকি আদালত জেলা শহর থেকে দূরে অবস্থিত। চৌকি আদালতের অধিকাংশ বিচারকই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। চৌকি আদালত এবং ওই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় সব চৌকি আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি আদালত ও সংশ্লিষ্ট বাসভবনের জন্য একজন পিসি বা এপিসিসহ কমপক্ষে ১০ জন অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করতে বলা হয় চিঠিতে।
এ ছাড়া কয়েকটি জেলায় বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণ এবং আদালত ভবন থেকে নথি চুরির ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ওই সময় অধস্তন সব আদালত ও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, বিচারকসহ আদালতসংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, অধস্তন আদালতসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত সব চৌকি আদালত এবং সেখানে কর্মরত বিচারকদের জন্য এখনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গত ২৬ এপ্রিল শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি চৌকি আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এর আগে নব্বইয়ের দশকে ওই বাসভবনে অবস্থানরত বিচারককে গুলি করে হত্যাও করা হয়েছিল।
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে ১৪ আগস্ট আনসারের মহাপরিচালককে ডেকে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
জমিদারি আমলে খাজনা-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছিল চৌকি আদালত। বর্তমানেও দেশের ২০টি জেলায় চৌকি আদালতের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীয়তপুরে বিচারকের বাসভবনে হামলার পর নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। বিষয়টি নিয়ে আনসারের ডিজিকে ডেকে কথা বলেছেন তখনকার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ডিজি জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। চিঠিটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দেশের ৪২টি দেওয়ানি ও ২৫টি ফৌজদারি চৌকি আদালত জেলা শহর থেকে দূরে অবস্থিত। চৌকি আদালতের অধিকাংশ বিচারকই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। চৌকি আদালত এবং ওই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় সব চৌকি আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি আদালত ও সংশ্লিষ্ট বাসভবনের জন্য একজন পিসি বা এপিসিসহ কমপক্ষে ১০ জন অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করতে বলা হয় চিঠিতে।
এ ছাড়া কয়েকটি জেলায় বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণ এবং আদালত ভবন থেকে নথি চুরির ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ওই সময় অধস্তন সব আদালত ও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, বিচারকসহ আদালতসংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, অধস্তন আদালতসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে