এম মুরশীদ আলী, রূপসা
রূপসায় নতুন জাতের ধান বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। এতে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে অন্তত ২৩ মণ। ধানের এ বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক মো: লুৎফর রহমান। তিনি এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রূপসা, খুলনা এর সহায়তায় রাজস্ব খাতের আওতায় তেত্রিশ শতক জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের একটি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছেন। এ প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে যে সেখানে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬ মেট্রিক টন ধানের ফলন পাওয়া গেছে।
মো. লুৎফর রহমান জানান, বীজতলায় বীজবপণ ও চারা রোপণের পর ১৪০ দিনের মধ্যে তিনি এ ধান কর্তন করে বিঘা প্রতি ২৩ মণ ফলন পেয়েছেন। অধিক ফলন হওয়ায় এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও এ জাতের ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এ গ্রামের অনেক কৃষক তার কাছে বীজের জন্য এ ধান কিনতে চেয়েছেন। তিনি এ ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে তা আগ্রহী কৃষকদের মাঝে বিক্রি করবেন। যাতে আগামীতে আলাইপুর গ্রামে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের ব্যাপক চাষ হয়। কৃষক মো. লুৎফর রহমান আরও বলেন, উপজেলার আলাইপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুর রহমান সার্বক্ষণিক পাশে থেকে এ ধান চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
একই গ্রামের আবুল হাসান শেখ, মনির উদ্দিন ও লিয়াকত আলী সহ বেশ কয়েকজন কৃষক এ বছর বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তারা খুশি। কৃষকেরা জানান, এ জাতের ধান গাছ লম্বা, ডিগ পাতা খাড়া ও চওড়া থাকে। এতে ফলন বেশি, পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম থাকে। বিশেষ করে ক্ষতিকর বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) ও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয় না। এ জাতটি জিংক সমৃদ্ধ। ধানের দানা নাইজারশাইল ও জিরা ধানের দানার মতো। চালের আকৃতি মাঝারি চিকন ও রং সাদা।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ফরিদুজ্জামান বলেন, এ বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ ছাড়াও ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধান-৯৯ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের মাঝে এসব ধানের বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। চাষাবাদের কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে এ বছর উপজেলার আইচগাতি, শ্রীফলতলা, নৈহাটি, টি এস বাহিরদিয়া ও ঘাটভোগ এই ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকে ২৪ হেক্টর জমিতে নতুন জাত ব্রি ধান-৯৭,১৩ হেক্টরে ব্রি ধান-৯৯ ও ১২ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু-১০০ চাষ হয়েছে।
ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধ্রান-৯৯ লবণাক্ত সহনশীল এবং মুজিব শতবর্ষে উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতটি জিংক সমৃদ্ধ ও অধিক ফলশীল। এসব জাতের ধান উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করতে উপজেলায় ৯টি ব্রিধান-৯৭,২৫টি ব্রি ধান-৯৯ এবং ১০টি বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ জাতের প্রদর্শনী স্ব স্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হয়েছে।
রূপসা উপজেলা কৃষি অফিসার আরও জানান, ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের প্রদর্শনীর নমুনা শস্য কর্তন করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধান-৯৯ জাতের ধান কর্তন করেও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। এসব প্রদর্শনীতে উৎপাদিত ধান বীজ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এতে আগামীতে এ উপজেলায় নতুন জাতের এসব ধানের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।
রূপসায় নতুন জাতের ধান বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। এতে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে অন্তত ২৩ মণ। ধানের এ বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক মো: লুৎফর রহমান। তিনি এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রূপসা, খুলনা এর সহায়তায় রাজস্ব খাতের আওতায় তেত্রিশ শতক জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের একটি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছেন। এ প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে যে সেখানে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬ মেট্রিক টন ধানের ফলন পাওয়া গেছে।
মো. লুৎফর রহমান জানান, বীজতলায় বীজবপণ ও চারা রোপণের পর ১৪০ দিনের মধ্যে তিনি এ ধান কর্তন করে বিঘা প্রতি ২৩ মণ ফলন পেয়েছেন। অধিক ফলন হওয়ায় এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও এ জাতের ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এ গ্রামের অনেক কৃষক তার কাছে বীজের জন্য এ ধান কিনতে চেয়েছেন। তিনি এ ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে তা আগ্রহী কৃষকদের মাঝে বিক্রি করবেন। যাতে আগামীতে আলাইপুর গ্রামে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের ব্যাপক চাষ হয়। কৃষক মো. লুৎফর রহমান আরও বলেন, উপজেলার আলাইপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুর রহমান সার্বক্ষণিক পাশে থেকে এ ধান চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
একই গ্রামের আবুল হাসান শেখ, মনির উদ্দিন ও লিয়াকত আলী সহ বেশ কয়েকজন কৃষক এ বছর বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তারা খুশি। কৃষকেরা জানান, এ জাতের ধান গাছ লম্বা, ডিগ পাতা খাড়া ও চওড়া থাকে। এতে ফলন বেশি, পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম থাকে। বিশেষ করে ক্ষতিকর বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) ও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয় না। এ জাতটি জিংক সমৃদ্ধ। ধানের দানা নাইজারশাইল ও জিরা ধানের দানার মতো। চালের আকৃতি মাঝারি চিকন ও রং সাদা।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ফরিদুজ্জামান বলেন, এ বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ ছাড়াও ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধান-৯৯ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের মাঝে এসব ধানের বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। চাষাবাদের কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে এ বছর উপজেলার আইচগাতি, শ্রীফলতলা, নৈহাটি, টি এস বাহিরদিয়া ও ঘাটভোগ এই ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকে ২৪ হেক্টর জমিতে নতুন জাত ব্রি ধান-৯৭,১৩ হেক্টরে ব্রি ধান-৯৯ ও ১২ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু-১০০ চাষ হয়েছে।
ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধ্রান-৯৯ লবণাক্ত সহনশীল এবং মুজিব শতবর্ষে উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতটি জিংক সমৃদ্ধ ও অধিক ফলশীল। এসব জাতের ধান উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করতে উপজেলায় ৯টি ব্রিধান-৯৭,২৫টি ব্রি ধান-৯৯ এবং ১০টি বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ জাতের প্রদর্শনী স্ব স্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হয়েছে।
রূপসা উপজেলা কৃষি অফিসার আরও জানান, ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের প্রদর্শনীর নমুনা শস্য কর্তন করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। ব্রিধান-৯৭ ও ব্রিধান-৯৯ জাতের ধান কর্তন করেও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। এসব প্রদর্শনীতে উৎপাদিত ধান বীজ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এতে আগামীতে এ উপজেলায় নতুন জাতের এসব ধানের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে