ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল। তাঁর নির্দেশেই প্রয়াত স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে এই সৌধ নির্মিত হয়। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয় ১৬৩২ সালে, দীর্ঘ ২২ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক ও কারিগর মিলে ১৬৫৩ সালে তাজমহল নির্মাণ শেষ করেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাজমহল নির্মাণকালের দাবিতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি ১৬৩২ সালে তাজমহল নির্মাণকাজ চলাকালীন নকশা।
গত ৬ জুন ‘আজিজ চৌধুরী’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ছবিটিতে কমেন্ট পড়েছে ৯০০–এর কাছাকাছি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
যারা সন্দেহ করছেন তাঁদের দাবি, ওই সময় এমন ছবি তোলার মতো ক্যামেরা উদ্ভাবিত হয়নি। আবার কেউ কেউ ছবিটিকে সত্য ধরে মন্তব্য করেছেন, এটি কোনো শিল্পীর আঁকা। কাজ চলাকালীন দেখে দেখে ছবিটি আঁকা হয়েছে বলে এটি খুব বাস্তব মনে হচ্ছে। কয়েকজন আবার বলেছেন, তাজমহলের ভাইরাল এ ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন। ওই সময় শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তাজমহল বাঁশ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ফরাসি উদ্ভাবক জোসেফ নিসেফর ১৮১৬ সালে পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা উদ্ভাবন করেন। এই ক্যামেরা ব্যবহার করে ১৮২৬ সালের কাছাকাছি কোনো সময়ে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ছবিটি ধারণ করেন। যেটি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
ছবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ১৭ শতকে তাজমহল নির্মাণের সময়টি ফুটিয়ে তুলতে ভারতীয় শিল্পী জিও জন মুল্লুর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিয়েছেন। ছবি বানানোর এআই টুল মিডজার্নির সাহায্যে তিনি এমন আটটি ছবি তৈরি করেন। এর মধ্যে প্রথম সাতটি ছবিতে ঐতিহাসিক এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায় দেখানো হয়েছে। শেষ ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে তাজমহলের বর্তমান রূপ।
প্রতিবেদনে জিও জন মুল্লুরের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টের লিংকও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জিও জন মুল্লুর ওই বছরের ৪ এপ্রিল ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলো পোস্ট করেন। এর মধ্যে ইদানীং ভাইরাল হওয়া ছবিটিও রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে জিও জন মুল্লুর লিখেছেন, ‘ক্ষণিকের জন্য অতীতে ফিরে যাওয়া। সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল নির্মাণকালের সময় বন্দী করলাম।’
পোস্টের ক্যাপশনেই তিনি উল্লেখ করে দিয়েছেন, ছবিগুলো তৈরি করেছেন এআই ইমেজ জেনারেটর মিডজার্নির সাহায্যে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ছবি নির্মাতার এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ১৬৩২ সালে তাজমহল নির্মাণকাজ চলাকালীন নকশা দাবিতে প্রচারিত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি।
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল। তাঁর নির্দেশেই প্রয়াত স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে এই সৌধ নির্মিত হয়। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয় ১৬৩২ সালে, দীর্ঘ ২২ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক ও কারিগর মিলে ১৬৫৩ সালে তাজমহল নির্মাণ শেষ করেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাজমহল নির্মাণকালের দাবিতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি ১৬৩২ সালে তাজমহল নির্মাণকাজ চলাকালীন নকশা।
গত ৬ জুন ‘আজিজ চৌধুরী’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ছবিটিতে কমেন্ট পড়েছে ৯০০–এর কাছাকাছি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
যারা সন্দেহ করছেন তাঁদের দাবি, ওই সময় এমন ছবি তোলার মতো ক্যামেরা উদ্ভাবিত হয়নি। আবার কেউ কেউ ছবিটিকে সত্য ধরে মন্তব্য করেছেন, এটি কোনো শিল্পীর আঁকা। কাজ চলাকালীন দেখে দেখে ছবিটি আঁকা হয়েছে বলে এটি খুব বাস্তব মনে হচ্ছে। কয়েকজন আবার বলেছেন, তাজমহলের ভাইরাল এ ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন। ওই সময় শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তাজমহল বাঁশ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ফরাসি উদ্ভাবক জোসেফ নিসেফর ১৮১৬ সালে পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা উদ্ভাবন করেন। এই ক্যামেরা ব্যবহার করে ১৮২৬ সালের কাছাকাছি কোনো সময়ে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ছবিটি ধারণ করেন। যেটি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
ছবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ১৭ শতকে তাজমহল নির্মাণের সময়টি ফুটিয়ে তুলতে ভারতীয় শিল্পী জিও জন মুল্লুর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিয়েছেন। ছবি বানানোর এআই টুল মিডজার্নির সাহায্যে তিনি এমন আটটি ছবি তৈরি করেন। এর মধ্যে প্রথম সাতটি ছবিতে ঐতিহাসিক এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায় দেখানো হয়েছে। শেষ ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে তাজমহলের বর্তমান রূপ।
প্রতিবেদনে জিও জন মুল্লুরের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টের লিংকও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জিও জন মুল্লুর ওই বছরের ৪ এপ্রিল ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলো পোস্ট করেন। এর মধ্যে ইদানীং ভাইরাল হওয়া ছবিটিও রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে জিও জন মুল্লুর লিখেছেন, ‘ক্ষণিকের জন্য অতীতে ফিরে যাওয়া। সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল নির্মাণকালের সময় বন্দী করলাম।’
পোস্টের ক্যাপশনেই তিনি উল্লেখ করে দিয়েছেন, ছবিগুলো তৈরি করেছেন এআই ইমেজ জেনারেটর মিডজার্নির সাহায্যে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ছবি নির্মাতার এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ১৬৩২ সালে তাজমহল নির্মাণকাজ চলাকালীন নকশা দাবিতে প্রচারিত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি।
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১৫ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগে