ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেয়। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় বহাল হয়। এ রায়ের পর আবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খানের একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটিতে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এই কোটা আন্দোলন আমাকে ফেসবুক ইউটিউবে লাখ লাখ ফলোয়ারস দিয়েছে। চাইলে আমি যে কোনো সময়ে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আয় করতে পারছি। তাই আমার চাকরিতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগেনি।’
রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্য সংবলিত ফটোকার্ডটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৮ মিনিটে ফটোকার্ডটি পোস্ট দিয়ে ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘একজন স্বাবলম্বী এবং সফল উদ্যোক্তা।’ তাঁর এই পোস্টে আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার রিয়েকশন পড়েছে; মন্তব্য পড়েছে শতাধিক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্যটি নিয়ে এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট।
তাঁর পোস্টটিতে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। তবে পোস্টটির কমেন্টবক্সে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ছবি সংবলিত কাছাকাছি বক্তব্যের আরেকটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটিতে নুরুল হক নুরকে উদ্ধৃত করে লেখা, ‘কোটা আন্দোলন করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছি। দেশ বিদেশে ঘুরছি। বাড়ি গাড়ি বানিয়েছি। নগদ/বিকাশে সর্বোচ্চ লেনদেন করছি। তাই আর চাকরি করার ইচ্ছা জাগেনি।’ এই বক্তব্যেরও কোনো সূত্র নুরুল আজিম রনির পোস্টটিতে পাওয়া যায়নি।
পরে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির উৎস যাচাইয়ে তাঁর বক্তব্য সংবলিত ফটোকার্ডটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ২৪–এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডটির নকশার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যের ভাইরাল ফটোকার্ডটির নকশার হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম, ‘ভালো চাকরি পাচ্ছেন না কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা’। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ফটোকার্ডটি জাগো নিউজেরই তৈরি।
ফটোকার্ডটিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্ববায়ক রাশেদ খানের বক্তব্য হিসেবে লেখা, ‘তারপরও আমরা সুখী এ জন্য যে, নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় করতে পেরেছি।’ প্রতিবেদনটির ভেতরেও রাশেদ খানের একই বক্তব্য পাওয়া যায়।
এ লেখার ওপর এডিট করেই ‘এই কোটা আন্দোলন আমাকে ফেসবুক ইউটিউবে লাখ লাখ ফলোয়ারস দিয়েছে। চাইলে আমি যে কোনো সময়ে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আয় করতে পারছি। তাই আমার চাকরিতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগেনি’— কথিত মন্তব্যটি যোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভাইরাল ফটোকার্ডটি সূক্ষ্মভাবে খেয়াল করলেও এডিটের বিষয়টি ধরা যায়। রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির নিচেই মূল বক্তব্যের ‘সুখী’, ‘নিজের’ শব্দ দুটির ‘ই–কার’–এর মাত্রা দেখা যায়।
সুতরাং এটি স্পষ্ট, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে ওই সময়ের কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্যটি বানোয়াট।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেয়। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় বহাল হয়। এ রায়ের পর আবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খানের একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটিতে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এই কোটা আন্দোলন আমাকে ফেসবুক ইউটিউবে লাখ লাখ ফলোয়ারস দিয়েছে। চাইলে আমি যে কোনো সময়ে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আয় করতে পারছি। তাই আমার চাকরিতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগেনি।’
রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্য সংবলিত ফটোকার্ডটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৮ মিনিটে ফটোকার্ডটি পোস্ট দিয়ে ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘একজন স্বাবলম্বী এবং সফল উদ্যোক্তা।’ তাঁর এই পোস্টে আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার রিয়েকশন পড়েছে; মন্তব্য পড়েছে শতাধিক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্যটি নিয়ে এটিই সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট।
তাঁর পোস্টটিতে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। তবে পোস্টটির কমেন্টবক্সে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ছবি সংবলিত কাছাকাছি বক্তব্যের আরেকটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটিতে নুরুল হক নুরকে উদ্ধৃত করে লেখা, ‘কোটা আন্দোলন করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছি। দেশ বিদেশে ঘুরছি। বাড়ি গাড়ি বানিয়েছি। নগদ/বিকাশে সর্বোচ্চ লেনদেন করছি। তাই আর চাকরি করার ইচ্ছা জাগেনি।’ এই বক্তব্যেরও কোনো সূত্র নুরুল আজিম রনির পোস্টটিতে পাওয়া যায়নি।
পরে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির উৎস যাচাইয়ে তাঁর বক্তব্য সংবলিত ফটোকার্ডটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ২৪–এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডটির নকশার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যের ভাইরাল ফটোকার্ডটির নকশার হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম, ‘ভালো চাকরি পাচ্ছেন না কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা’। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ফটোকার্ডটি জাগো নিউজেরই তৈরি।
ফটোকার্ডটিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্ববায়ক রাশেদ খানের বক্তব্য হিসেবে লেখা, ‘তারপরও আমরা সুখী এ জন্য যে, নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় করতে পেরেছি।’ প্রতিবেদনটির ভেতরেও রাশেদ খানের একই বক্তব্য পাওয়া যায়।
এ লেখার ওপর এডিট করেই ‘এই কোটা আন্দোলন আমাকে ফেসবুক ইউটিউবে লাখ লাখ ফলোয়ারস দিয়েছে। চাইলে আমি যে কোনো সময়ে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আয় করতে পারছি। তাই আমার চাকরিতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগেনি’— কথিত মন্তব্যটি যোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভাইরাল ফটোকার্ডটি সূক্ষ্মভাবে খেয়াল করলেও এডিটের বিষয়টি ধরা যায়। রাশেদ খানের কথিত বক্তব্যটির নিচেই মূল বক্তব্যের ‘সুখী’, ‘নিজের’ শব্দ দুটির ‘ই–কার’–এর মাত্রা দেখা যায়।
সুতরাং এটি স্পষ্ট, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে ওই সময়ের কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের কথিত ভাইরাল বক্তব্যটি বানোয়াট।
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
১৮ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১ দিন আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে