ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে গত রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে বিভৎসভাবে পিটিয়ে মারা হয়। ওই দিন নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন— এমন একটি দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, সঙ্গে কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবিও প্রচার করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিয়ে গত সোমবার (৫ আগস্ট) ‘এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্যের নাম-পদবি, যেভাবে হত্যা করা হয় তাঁদের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যের মধ্যে আটজনের লাশ পাশের মসজিদের সামনে স্তূপাকারে রাখা হয়েছিল। তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে পাশের পুকুরে। একজনের লাশ পড়ে ছিল পাশের রাস্তায়। অন্য একজনের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সরকারপতনের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। নিহতদের মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাকও ছিলেন। নিহত অন্য ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও সাতজন কনস্টেবল।
বাকি ১২ জন হলেন—এসআই আনিসুর রহমান, তৌহেদুজ্জামান, প্রণবেশ ও রহিত; এএসআই ওবায়দুর রহমান এবং কনস্টেবল আবু তালেব, হাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, হানিফ, আরিফুল ইসলাম, শাহীন ও রিয়াজুল ইসলাম। তাঁদের নাম–পদবিসহ পরিচয় নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিয়াউর রহমান। এসব নাম থেকে অনুমেয় যে, নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো নারী পুলিশ নেই।
নিহত পুলিশ সদস্যদের কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকার রাজশাহী নিজস্ব প্রতিবেদক রিমন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত করেন, নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে কোনো নারী পুলিশ ছিলেন না।
অর্থাৎ, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে গর্ভবতী নারী পুলিশ থাকার তথ্যটি সঠিক নয়।
নিহত গর্ভবতী নারী পুলিশ দাবিতে ভাইরাল পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে ওই পুলিশ সদস্যের বোনকে খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পৃথিবী চাকমা নামের ওই পুলিশ সদস্যের বোন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতি চাকমা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘পৃথিবী চাকমা বর্তমানে ঢাকায় পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত। আমার বোন বাবা-মা, তার স্বামী এবং সন্তান নিয়ে ঢাকায় সুস্থ আছেন, ভালো আছেন এবং জীবিত আছেন।’
আরও পড়ুন–
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে গত রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে বিভৎসভাবে পিটিয়ে মারা হয়। ওই দিন নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন— এমন একটি দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, সঙ্গে কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবিও প্রচার করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিয়ে গত সোমবার (৫ আগস্ট) ‘এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্যের নাম-পদবি, যেভাবে হত্যা করা হয় তাঁদের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যের মধ্যে আটজনের লাশ পাশের মসজিদের সামনে স্তূপাকারে রাখা হয়েছিল। তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে পাশের পুকুরে। একজনের লাশ পড়ে ছিল পাশের রাস্তায়। অন্য একজনের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সরকারপতনের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। নিহতদের মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাকও ছিলেন। নিহত অন্য ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও সাতজন কনস্টেবল।
বাকি ১২ জন হলেন—এসআই আনিসুর রহমান, তৌহেদুজ্জামান, প্রণবেশ ও রহিত; এএসআই ওবায়দুর রহমান এবং কনস্টেবল আবু তালেব, হাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, হানিফ, আরিফুল ইসলাম, শাহীন ও রিয়াজুল ইসলাম। তাঁদের নাম–পদবিসহ পরিচয় নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিয়াউর রহমান। এসব নাম থেকে অনুমেয় যে, নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো নারী পুলিশ নেই।
নিহত পুলিশ সদস্যদের কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকার রাজশাহী নিজস্ব প্রতিবেদক রিমন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত করেন, নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে কোনো নারী পুলিশ ছিলেন না।
অর্থাৎ, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে গর্ভবতী নারী পুলিশ থাকার তথ্যটি সঠিক নয়।
নিহত গর্ভবতী নারী পুলিশ দাবিতে ভাইরাল পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে ওই পুলিশ সদস্যের বোনকে খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
পৃথিবী চাকমা নামের ওই পুলিশ সদস্যের বোন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতি চাকমা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘পৃথিবী চাকমা বর্তমানে ঢাকায় পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত। আমার বোন বাবা-মা, তার স্বামী এবং সন্তান নিয়ে ঢাকায় সুস্থ আছেন, ভালো আছেন এবং জীবিত আছেন।’
আরও পড়ুন–
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১৬ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
২ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
২ দিন আগে