ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। একসময় এটি রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এ আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রোফাইল করেছিলেন লাল। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ফেসবুকে পোস্ট করে স্রষ্টার প্রশংসা করেছিলেন। রাজধানীর শাহবাগে গিয়ে নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর ফেসবুক পোস্ট দাবিতে একটি দীর্ঘ পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টটিতে লেখা, ‘বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, ছাত্র জনতা ভাই ও বোনেরা–আসসালামু আলাইকুম। আজকে কিছু কথা বলতে চাই। হয়তো আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমি নিরুপায়। আর চুপ করে থাকতে চাই না। ৫ আগস্ট আমরা যেই আশা নিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য উদ্যাপন করেছিলাম, সত্যিই কি আমরা সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? আমরা তো ছাত্র জনতার পক্ষে, সারা বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে রাস্তায় নেমেছিলাম। আমরা তো কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে রাস্তায় নামিনি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের নামে কি আমাদের তাহলে ধোঁকা দেওয়া হলো? একজন সমন্বয়ককে দেখলাম স্বীকার করে নিল বিপ্লব সফল করতে মেট্রোরেলে আগুন দেওয়া, পুলিশ হত্যা করা এসব তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’
পোস্টটিতে আরও লেখা, ‘আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে এত এত ছাত্র নিহত হল, বারান্দায়, বাসার ছাদে নিষ্পাপ শিশুগুলো হত্যার স্বীকার হলো, এসব কি সত্যিই পুলিশের গুলিতেই হয়েছিল? নাকি দেশবিরোধী কোন অপশক্তির চক্রান্ত ছিল এগুলো? আজকের পরিস্থিতিতে আমরা কথা বলতে পারছি না। সামান্য ফেসবুকের একটি পোস্ট দু’তিনবার করে কাটাছেঁড়া করতে হয়। শিল্পকলা একাডেমিতে আমার কলিগদের ওপর আক্রমণ করা হলো। এসব নিয়ে অনেকেই বলতে চাচ্ছে কিন্তু মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। ২০১০ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা নাটকে সবচেয়ে সুবিধাভোগী অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী নিজ শহরে যেতে পারছে না মৌলবাদীদের কারণে। তিনিও তো আমার মতো নতুন স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। আমার তো মনে পরে না তিনি কবে পরাধীন ছিলেন। আজ আমরা যাদের স্বৈরাচারী বলছি সত্যিই কি তারা স্বৈরাচারী ছিল?’
পোস্টটিতে দাবি করা হয় শবনম লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছরে কখনো তো আমাকে কোন পোস্ট ডিলেট করতে হয়নি। কেউ জয় বাংলা ধ্বনি দিলে তাকে নির্বিচারে মারা হচ্ছে।’ জয় বাংলা’ তো শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান না। এটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের স্লোগান। আমরাই আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিয়েছি জয় বাংলা স্লোগান তাদের রাজনৈতিক স্লোগান করতে। একজন মুক্তিযোদ্ধাও আজকে মৌলবাদীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সরকার দ্রব্যমূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। নারীরা আজ জনসম্মুখে লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছে, অথচ নারীবাদীরা চুপ। দেশে এখন আইনের নামে চলছে দুঃশাসন। পরিশেষে বলতে চাই, সত্যিই আমরা আগেই ভালো ছিলাম। এই দেশ আমাদের। দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।’
পোস্টটির স্ক্রিনশট ও লিখিত রূপ ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, পোস্টটি দিয়ে শবনম ফারিয়া পরে ডিলিট করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আল আমিন রহমান প্রায় একই সময়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লিখেন, ‘অভিনেত্রী Sabnam Faria. কার ভয়ে কিসের ভয়ে তার পোস্ট ডিলেট করলেন? ডিজিএফআইয়ের ভয় নাই, কথিত আয়না ঘর নাই, তাহলে কিসের ভয়ে তার এই পোস্ট ডিলেট করলেন? ষড়যন্ত্রের সত্য অবশ্যই বের হয়ে আসবে।’
দুটি পোস্টেই দেখা যাচ্ছে, শবনম ফারিয়া কথিত স্ট্যাটাসটি ৬ মিনিট আগে দিয়েছেন। পোস্টটিতে রিয়েকশন ৩৩৪ টি, কমেন্ট ৪৯টি ও শেয়ার ৭ টি।
শবনম ফারিয়া এমন কোনো পোস্ট কি আসলেই দিয়েছিলেন? দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি অনুযায়ী, পোস্টটি ছয় মিনিট ছিল, এ সময়ের মধ্যেই তিন শতাধিক রিয়েকশন পড়েছে, শেয়ারও হয়েছে ৭ টি। তাই স্বাভাবিকভাবেই পোস্টটির ভিন্ন ভিন্ন সময়ের অন্তত আরও কিছু স্ক্রিনশট এবং লিংকযুক্ত শেয়ার পোস্টও পাওয়া যেত। কিন্তু দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে কথিত স্ট্যাটাসটির কেবল ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটটিই পাওয়া যায় এবং কোনো শেয়ার পোস্টও পাওয়া যায়নি।
আবার এমন কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত স্ক্রিনশটটি ভাইরাল হয়েছে, যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন মিথ্যা, বিকৃত তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। যেমন, সুশান্ত দাস গুপ্ত নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কথিত স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘চারদিকে ফেইক জিনিসের ছড়াছড়ি। এইডাও নাকি ফেইক।’
এই পেজেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তাঁকে ‘মেসিয়াহ’ উল্লেখ করে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন জানিয়েছেন দাবিতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়। পরে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানা যায়। আবার এই মাসের শুরুতেই ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’ এর একটি ছবি শেয়ার করে সুশান্ত দাস গুপ্তের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘ডিল ডান?’ ‘সেন্ট মার্টিন গন?’
পরে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিন কোনো দেশের কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর গত বছরের (২০২৩ সাল) ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব।
কথিত স্ক্রিনশটটি নিয়ে শবনম ফারিয়া কী বলছেন
ফেসবুকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথিত স্ক্রিনশটটি ভাইরাল হওয়ার পর আজ সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন শবনম ফারিয়া। পোস্টটিতে তিনি জানান, কথিত স্ক্রিনশটের পোস্টটি তাঁর করা নয়, এটি এডিটেড।
পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘Attention Attention: আমি গত ৩ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। আমি কোনো স্ট্যাটাস পোস্ট করিনি কোনো বিষয়ে। বিশেষ ভাবে রাজনীতি বিষয়ক! এই পোস্ট সম্পূর্ণ এডিটেড। এইটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আপনাদের অবস্থা এত খারাপ যে এখন এডিট করে অন্যদের নামে পোস্ট চালায় নিজেদের কথা বলতে হচ্ছে!!!’
পোস্টটিতে তিনি আরও লিখেন, ‘আমি এই পোস্ট দিয়েছি ভেবে যারা খুশি তারা প্লিজ খুশি হইয়েন না। আবার লিখসে ১৫ বছরে নাকি কোনো পোস্ট ডিলিট করতে হয় নাই! গত ১৫ বছরে কয়েক হাজার পোস্ট ডিলিট করতে হয়েছে! স্ট্যাটাস দেয়ার ৫ মিনিটে কল চলে আসতো, “আপা ডিলিট করেন, সমস্যা হবে”, অন্যদের মতো তেল মারি নাই দেখে কোনো সুযোগ–সুবিধাও পাই নাই! আমার আলোও আসে নাই। আর এমন কোনো স্টেটমেন্ট দিলে সেইটা রাখার সাহসও রাখি।’
প্রসঙ্গত, শবনম ফারিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু পোস্ট থেকেও প্রতীয়মান হয়, তাঁর নামে গত রাত থেকে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটটি এডিটেড।
যেমন, গত ৪ নভেম্বর (সোমবার) একটি পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘রাজনীতি বিষয়ক আমি ভেবেছিলাম আর কোনো মন্তব্য করবো না, কিন্তু শেষবার একটা কথা বলে বন্ধ করবো। গতকাল কিছু পোলাপানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকটিভিটিস দেখে মনে হলো, হেলমেট পরে রাস্তাঘাটে আর মারামারি না করতে পারার ফ্রাস্ট্রেশন মানুষের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্টে আঙুল দিয়ে মারামারি করে সেইটা কমানোর চেষ্টা করছে আজকাল! ভাই এইসব ফালতু নোংরা কমেন্ট না করলে অন্তত সিম্পেথি পাইতেন, আপনারা যে শুধু খুনি/চোরদের দোষর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্টগুলো পড়ার পরেই বুঝা গেলো।’
ফারিয়া আরও লেখেন, ‘খারাপ সময়ে মানুষ আরো ডাউন টু আর্থ হয়! আর আপনারা দল বেঁধে আরো এরোগ্যান্সি দেখাচ্ছেন! এই অ্যারোগেন্স এর জন্যই আজকে আপনাদের এই অবস্থা! মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না!’
৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর করা একটি পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু নাগরিক হিসাবে আমি আমার মনের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা চেয়েছি সব সময়, ভুলকে ভুল বলার আর ঠিক কে ঠিক বলতে চেয়েছি, অনেকের মতো এই দেশের ভবিষ্যৎ নাই বলে কখনো দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইনি। আমি বর্তমান যে “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার “আছে তাদের নিয়ে যারপরনাই নাই আশাবাদী ছিলাম, ছিলাম বললেও ভুল হবে, এখনো আছি। কিন্তু স্বভাবত ভাবেই আমি অল্পে হতাশ হওয়া মানুষ দেখে সম্ভবত আজকাল মাঝে মাঝে একটু হতাশ লাগে।’
পোস্টে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে লেখেন, ‘৭ ই মার্চের ভাষণ আমার কাছে কোনো পলিটিক্যাল ঘটনা না বরং বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে আমি মনে করি। ইতিহাস মুছে দেয়ার মতো কাজ আমরা ফাসিস্টদের কাছ থেকে মেনে নিলেও “এই সময়ে” এই সরকারের কাছ থেকে এই ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার মতো পদক্ষেপ আমি আশা করি না! বরং দ্রব্যমূল্যের যে লাগামহীন দাম বাড়ছে সেইটার জন্য সরকারের এই মুহূর্তে আরও সিগনিফিকেন্ট অ্যাটেনশন দেওয়া সব চেয়ে বেশি জরুরি বলে আমি মনে করি! আমরা যারা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত না, তাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনেক আশা প্রত্যাশা। আমি বিশ্বাস করি তারা চাইলে এই দেশের অনেক অনেক পজিটিভ পরিবর্তন করতে পারবে।’
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, ‘এইযে আজকে এই স্ট্যাটাসটা লিখলাম, গত ১৫ / ১৬ বছরে এমন কিছু লেখার সাহস পাইনি, এখন পেয়েছি, সেইটাই বা কম কিসের?’
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস উদ্যাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের সার্বিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়, ফেসবুকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথিত স্ক্রিনশটটি এডিটেড।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। একসময় এটি রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এ আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রোফাইল করেছিলেন লাল। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ফেসবুকে পোস্ট করে স্রষ্টার প্রশংসা করেছিলেন। রাজধানীর শাহবাগে গিয়ে নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর ফেসবুক পোস্ট দাবিতে একটি দীর্ঘ পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টটিতে লেখা, ‘বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, ছাত্র জনতা ভাই ও বোনেরা–আসসালামু আলাইকুম। আজকে কিছু কথা বলতে চাই। হয়তো আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমি নিরুপায়। আর চুপ করে থাকতে চাই না। ৫ আগস্ট আমরা যেই আশা নিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য উদ্যাপন করেছিলাম, সত্যিই কি আমরা সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? আমরা তো ছাত্র জনতার পক্ষে, সারা বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে রাস্তায় নেমেছিলাম। আমরা তো কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে রাস্তায় নামিনি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের নামে কি আমাদের তাহলে ধোঁকা দেওয়া হলো? একজন সমন্বয়ককে দেখলাম স্বীকার করে নিল বিপ্লব সফল করতে মেট্রোরেলে আগুন দেওয়া, পুলিশ হত্যা করা এসব তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’
পোস্টটিতে আরও লেখা, ‘আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে এত এত ছাত্র নিহত হল, বারান্দায়, বাসার ছাদে নিষ্পাপ শিশুগুলো হত্যার স্বীকার হলো, এসব কি সত্যিই পুলিশের গুলিতেই হয়েছিল? নাকি দেশবিরোধী কোন অপশক্তির চক্রান্ত ছিল এগুলো? আজকের পরিস্থিতিতে আমরা কথা বলতে পারছি না। সামান্য ফেসবুকের একটি পোস্ট দু’তিনবার করে কাটাছেঁড়া করতে হয়। শিল্পকলা একাডেমিতে আমার কলিগদের ওপর আক্রমণ করা হলো। এসব নিয়ে অনেকেই বলতে চাচ্ছে কিন্তু মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। ২০১০ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা নাটকে সবচেয়ে সুবিধাভোগী অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী নিজ শহরে যেতে পারছে না মৌলবাদীদের কারণে। তিনিও তো আমার মতো নতুন স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। আমার তো মনে পরে না তিনি কবে পরাধীন ছিলেন। আজ আমরা যাদের স্বৈরাচারী বলছি সত্যিই কি তারা স্বৈরাচারী ছিল?’
পোস্টটিতে দাবি করা হয় শবনম লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছরে কখনো তো আমাকে কোন পোস্ট ডিলেট করতে হয়নি। কেউ জয় বাংলা ধ্বনি দিলে তাকে নির্বিচারে মারা হচ্ছে।’ জয় বাংলা’ তো শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান না। এটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের স্লোগান। আমরাই আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিয়েছি জয় বাংলা স্লোগান তাদের রাজনৈতিক স্লোগান করতে। একজন মুক্তিযোদ্ধাও আজকে মৌলবাদীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সরকার দ্রব্যমূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। নারীরা আজ জনসম্মুখে লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছে, অথচ নারীবাদীরা চুপ। দেশে এখন আইনের নামে চলছে দুঃশাসন। পরিশেষে বলতে চাই, সত্যিই আমরা আগেই ভালো ছিলাম। এই দেশ আমাদের। দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।’
পোস্টটির স্ক্রিনশট ও লিখিত রূপ ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, পোস্টটি দিয়ে শবনম ফারিয়া পরে ডিলিট করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আল আমিন রহমান প্রায় একই সময়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লিখেন, ‘অভিনেত্রী Sabnam Faria. কার ভয়ে কিসের ভয়ে তার পোস্ট ডিলেট করলেন? ডিজিএফআইয়ের ভয় নাই, কথিত আয়না ঘর নাই, তাহলে কিসের ভয়ে তার এই পোস্ট ডিলেট করলেন? ষড়যন্ত্রের সত্য অবশ্যই বের হয়ে আসবে।’
দুটি পোস্টেই দেখা যাচ্ছে, শবনম ফারিয়া কথিত স্ট্যাটাসটি ৬ মিনিট আগে দিয়েছেন। পোস্টটিতে রিয়েকশন ৩৩৪ টি, কমেন্ট ৪৯টি ও শেয়ার ৭ টি।
শবনম ফারিয়া এমন কোনো পোস্ট কি আসলেই দিয়েছিলেন? দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি অনুযায়ী, পোস্টটি ছয় মিনিট ছিল, এ সময়ের মধ্যেই তিন শতাধিক রিয়েকশন পড়েছে, শেয়ারও হয়েছে ৭ টি। তাই স্বাভাবিকভাবেই পোস্টটির ভিন্ন ভিন্ন সময়ের অন্তত আরও কিছু স্ক্রিনশট এবং লিংকযুক্ত শেয়ার পোস্টও পাওয়া যেত। কিন্তু দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে কথিত স্ট্যাটাসটির কেবল ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটটিই পাওয়া যায় এবং কোনো শেয়ার পোস্টও পাওয়া যায়নি।
আবার এমন কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত স্ক্রিনশটটি ভাইরাল হয়েছে, যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন মিথ্যা, বিকৃত তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। যেমন, সুশান্ত দাস গুপ্ত নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কথিত স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘চারদিকে ফেইক জিনিসের ছড়াছড়ি। এইডাও নাকি ফেইক।’
এই পেজেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তাঁকে ‘মেসিয়াহ’ উল্লেখ করে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন জানিয়েছেন দাবিতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়। পরে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানা যায়। আবার এই মাসের শুরুতেই ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’ এর একটি ছবি শেয়ার করে সুশান্ত দাস গুপ্তের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘ডিল ডান?’ ‘সেন্ট মার্টিন গন?’
পরে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিন কোনো দেশের কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর গত বছরের (২০২৩ সাল) ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব।
কথিত স্ক্রিনশটটি নিয়ে শবনম ফারিয়া কী বলছেন
ফেসবুকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথিত স্ক্রিনশটটি ভাইরাল হওয়ার পর আজ সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন শবনম ফারিয়া। পোস্টটিতে তিনি জানান, কথিত স্ক্রিনশটের পোস্টটি তাঁর করা নয়, এটি এডিটেড।
পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘Attention Attention: আমি গত ৩ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। আমি কোনো স্ট্যাটাস পোস্ট করিনি কোনো বিষয়ে। বিশেষ ভাবে রাজনীতি বিষয়ক! এই পোস্ট সম্পূর্ণ এডিটেড। এইটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আপনাদের অবস্থা এত খারাপ যে এখন এডিট করে অন্যদের নামে পোস্ট চালায় নিজেদের কথা বলতে হচ্ছে!!!’
পোস্টটিতে তিনি আরও লিখেন, ‘আমি এই পোস্ট দিয়েছি ভেবে যারা খুশি তারা প্লিজ খুশি হইয়েন না। আবার লিখসে ১৫ বছরে নাকি কোনো পোস্ট ডিলিট করতে হয় নাই! গত ১৫ বছরে কয়েক হাজার পোস্ট ডিলিট করতে হয়েছে! স্ট্যাটাস দেয়ার ৫ মিনিটে কল চলে আসতো, “আপা ডিলিট করেন, সমস্যা হবে”, অন্যদের মতো তেল মারি নাই দেখে কোনো সুযোগ–সুবিধাও পাই নাই! আমার আলোও আসে নাই। আর এমন কোনো স্টেটমেন্ট দিলে সেইটা রাখার সাহসও রাখি।’
প্রসঙ্গত, শবনম ফারিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু পোস্ট থেকেও প্রতীয়মান হয়, তাঁর নামে গত রাত থেকে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটটি এডিটেড।
যেমন, গত ৪ নভেম্বর (সোমবার) একটি পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘রাজনীতি বিষয়ক আমি ভেবেছিলাম আর কোনো মন্তব্য করবো না, কিন্তু শেষবার একটা কথা বলে বন্ধ করবো। গতকাল কিছু পোলাপানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকটিভিটিস দেখে মনে হলো, হেলমেট পরে রাস্তাঘাটে আর মারামারি না করতে পারার ফ্রাস্ট্রেশন মানুষের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্টে আঙুল দিয়ে মারামারি করে সেইটা কমানোর চেষ্টা করছে আজকাল! ভাই এইসব ফালতু নোংরা কমেন্ট না করলে অন্তত সিম্পেথি পাইতেন, আপনারা যে শুধু খুনি/চোরদের দোষর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্টগুলো পড়ার পরেই বুঝা গেলো।’
ফারিয়া আরও লেখেন, ‘খারাপ সময়ে মানুষ আরো ডাউন টু আর্থ হয়! আর আপনারা দল বেঁধে আরো এরোগ্যান্সি দেখাচ্ছেন! এই অ্যারোগেন্স এর জন্যই আজকে আপনাদের এই অবস্থা! মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না!’
৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর করা একটি পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু নাগরিক হিসাবে আমি আমার মনের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা চেয়েছি সব সময়, ভুলকে ভুল বলার আর ঠিক কে ঠিক বলতে চেয়েছি, অনেকের মতো এই দেশের ভবিষ্যৎ নাই বলে কখনো দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইনি। আমি বর্তমান যে “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার “আছে তাদের নিয়ে যারপরনাই নাই আশাবাদী ছিলাম, ছিলাম বললেও ভুল হবে, এখনো আছি। কিন্তু স্বভাবত ভাবেই আমি অল্পে হতাশ হওয়া মানুষ দেখে সম্ভবত আজকাল মাঝে মাঝে একটু হতাশ লাগে।’
পোস্টে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে লেখেন, ‘৭ ই মার্চের ভাষণ আমার কাছে কোনো পলিটিক্যাল ঘটনা না বরং বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে আমি মনে করি। ইতিহাস মুছে দেয়ার মতো কাজ আমরা ফাসিস্টদের কাছ থেকে মেনে নিলেও “এই সময়ে” এই সরকারের কাছ থেকে এই ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার মতো পদক্ষেপ আমি আশা করি না! বরং দ্রব্যমূল্যের যে লাগামহীন দাম বাড়ছে সেইটার জন্য সরকারের এই মুহূর্তে আরও সিগনিফিকেন্ট অ্যাটেনশন দেওয়া সব চেয়ে বেশি জরুরি বলে আমি মনে করি! আমরা যারা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত না, তাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনেক আশা প্রত্যাশা। আমি বিশ্বাস করি তারা চাইলে এই দেশের অনেক অনেক পজিটিভ পরিবর্তন করতে পারবে।’
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, ‘এইযে আজকে এই স্ট্যাটাসটা লিখলাম, গত ১৫ / ১৬ বছরে এমন কিছু লেখার সাহস পাইনি, এখন পেয়েছি, সেইটাই বা কম কিসের?’
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস উদ্যাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের সার্বিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়, ফেসবুকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথিত স্ক্রিনশটটি এডিটেড।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১০ ঘণ্টা আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
২ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
২ দিন আগেট্রাম্পের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমান এবং নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ–আন্দোলনে নিহত নূর হোসেনের প্ল্যাকার্ডসহ আরেকটি ছবি এই হ্যান্ডল থেকে টুইট করে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশে শুধুমাত্র ট্রাম্পকে সমর্থন করার কারণে সাধারণ মানুষদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?’
৩ দিন আগে