ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আওয়ামী লীগ আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী হরতালের আহ্বান করেছে। এর সমর্থনে দলটির নেতা–কর্মীরা গতকাল সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ, সিলেট, বগুড়াসহ দেশের বেশ কয়েক জায়গায় ঝটিকা মশাল মিছিল করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে হরতালের সমর্থনে ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিল করেছেন—দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে, ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।’ এই শব্দে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
‘মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বন্ধু’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হরতালের সমর্থনে ঢাকার রাজপথে মশাল মিছিল!’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি ২৪ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে ১ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে। পোস্টটিতে ১১০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২৬০। পোস্টে অনেকে এটিকে হরতালের মিছিল উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। মো. সুমন মিয়া (Md Somon Miha) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘হরতাল সফল হোক সফল হোক’ (বানান অপরিবর্তিত)। মিলন মোহাম্মদ (Milon Mohammad) লিখেছেন, ‘হরতাল সফল হোক, অবৈধ দখলদার ইউনুস হটাও, বাংলাদেশ বাঁচাও, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ (বানান অপরিবর্তিত)।
‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি’ নামে ফেসবুক পেজ, ‘গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ’ এবং Jesmin Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওর কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘ঢাবিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনে মশাল মিছিল’
ভিডিওতে, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লরাই করে বাঁচতে চাই। দিয়েছিত রক্ত আরও দিব রক্ত। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, এমন স্লোগান শোনা যায়। তবে ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।’ এমন স্লোগান শোনা যায়নি।
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করলে, বাংলা ট্রিবিউনে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবদনে থাকা ছবির সঙ্গেও ঢাকায় হরতালের সমর্থনে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ছড়ানো ভিডিওর কি–ফ্রেমের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য–টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
একই বিষয়ে জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোরে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
তবে এসব প্রতিবেদনে এই ঘটনায় ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।‘ এমন কোনো স্লোগান দেওয়া বিষয়ে তথ্য নেই।
এ ছাড়া, হরতালের সমর্থনে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মশাল মিছিলের বিষয়ে খোঁজ নিতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, হরতালের সমর্থনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিল, দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিলের ভিডিও এডিট করে আলাদা অডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী হরতালের আহ্বান করেছে। এর সমর্থনে দলটির নেতা–কর্মীরা গতকাল সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ, সিলেট, বগুড়াসহ দেশের বেশ কয়েক জায়গায় ঝটিকা মশাল মিছিল করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে হরতালের সমর্থনে ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিল করেছেন—দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে, ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।’ এই শব্দে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
‘মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বন্ধু’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হরতালের সমর্থনে ঢাকার রাজপথে মশাল মিছিল!’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি ২৪ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে ১ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে। পোস্টটিতে ১১০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২৬০। পোস্টে অনেকে এটিকে হরতালের মিছিল উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। মো. সুমন মিয়া (Md Somon Miha) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘হরতাল সফল হোক সফল হোক’ (বানান অপরিবর্তিত)। মিলন মোহাম্মদ (Milon Mohammad) লিখেছেন, ‘হরতাল সফল হোক, অবৈধ দখলদার ইউনুস হটাও, বাংলাদেশ বাঁচাও, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ (বানান অপরিবর্তিত)।
‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি’ নামে ফেসবুক পেজ, ‘গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ’ এবং Jesmin Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওর কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘ঢাবিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনে মশাল মিছিল’
ভিডিওতে, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লরাই করে বাঁচতে চাই। দিয়েছিত রক্ত আরও দিব রক্ত। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, এমন স্লোগান শোনা যায়। তবে ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।’ এমন স্লোগান শোনা যায়নি।
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করলে, বাংলা ট্রিবিউনে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবদনে থাকা ছবির সঙ্গেও ঢাকায় হরতালের সমর্থনে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ছড়ানো ভিডিওর কি–ফ্রেমের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য–টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
একই বিষয়ে জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোরে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
তবে এসব প্রতিবেদনে এই ঘটনায় ‘অবৈধ সরকার, মানিনা মানব না। মানিনা মানবো না, অবৈধ সরকার। অবৈধ প্রজ্ঞাপন, মানিনা মানবো না। মানিনা মানব না, অবৈধ প্রজ্ঞাপন।‘ এমন কোনো স্লোগান দেওয়া বিষয়ে তথ্য নেই।
এ ছাড়া, হরতালের সমর্থনে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মশাল মিছিলের বিষয়ে খোঁজ নিতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, হরতালের সমর্থনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মশাল মিছিল, দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিলের ভিডিও এডিট করে আলাদা অডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে ধরে ফিলিস্তিনের মুক্তি চাচ্ছেন— এমন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। আজকের ফ্যাক্টচেক, মেটা, সোশ্যাল মিডিয়া, ভাইরাল,
৩ ঘণ্টা আগেঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশি হয়—এমন ধারণা অনেকের। এ কারণে বিকেলে বা রাতে গোসল করতে নিষেধ করা হয়। বাবা–মা সন্তানদের বৃষ্টিতে ভিজতে দেন না। কিন্তু শুধু ঠান্ডা আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণেই মানুষের সর্দি-কাশি হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক
১ দিন আগেফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গণহত্যা চলছেই। গতকাল রোববার একদিনে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভের তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
২ দিন আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হ্যান্ডশেক করেছেন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পোস্টে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
২ দিন আগে