ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে জনৈক নারীর সাদা-কালো একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি গান্ধীজির বিরল একটি ছবি। ওই ছবিতে গান্ধীকে নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
গত ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীর (গান্ধী জয়ন্তী) দিন থেকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে মহাত্মা গান্ধীকে উপহাস করে লেখা হয়েছে, ‘ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গান্ধীর সংগ্রামের বিরল ছবি!’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে ‘নাথুরাম গডসে জিন্দাবাদ।’
প্রসঙ্গত, নাথুরাম গডসে গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে খুব কাছে থেকে গান্ধীর বুকে তিনি তিনবার গুলি চালিয়েছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিচারের পর ১৯৪৯ সালের ৮ নভেম্বর গডসেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর আম্বালা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।
ফ্যাক্টচেক
সম্প্রতি ভাইরাল ছবিটি অনুসন্ধান করে মহাত্মা গান্ধীর মূল ছবিটি পাওয়া যায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ওয়েবসাইটে। এপির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি তোলা হয়। এপির আলোকচিত্রী ম্যাক্স ডেসফোর ছবিটি তোলেন।
ওই ছবি থেকে গান্ধীর ছবির অংশটি সম্পাদনা করে কেটে জনৈক নারীর ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদিত ছবিটির গভীর পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়।
প্রথমত, গান্ধী ও ওই নারীর মাথার পেছনের কালো অংশটিতে পার্থক্য রয়েছে। নারীর মাথার পেছনের কালো রংটি তুলনামূলক হালকা। দ্বিতীয়ত, নারীর গলার অংশটিতে একটি সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে। মূল ছবির সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, সাদা অংশটি নেহেরুর শার্টের অংশ।
আগেও ছবিটি একই দাবিতে টুইটার ও ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল।
সিদ্ধান্ত
জনৈক নারীর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি সম্পাদনা করা। মূল ছবিটি ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে তোলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে জনৈক নারীর সাদা-কালো একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি গান্ধীজির বিরল একটি ছবি। ওই ছবিতে গান্ধীকে নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
গত ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীর (গান্ধী জয়ন্তী) দিন থেকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে মহাত্মা গান্ধীকে উপহাস করে লেখা হয়েছে, ‘ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গান্ধীর সংগ্রামের বিরল ছবি!’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে ‘নাথুরাম গডসে জিন্দাবাদ।’
প্রসঙ্গত, নাথুরাম গডসে গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে খুব কাছে থেকে গান্ধীর বুকে তিনি তিনবার গুলি চালিয়েছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিচারের পর ১৯৪৯ সালের ৮ নভেম্বর গডসেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর আম্বালা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।
ফ্যাক্টচেক
সম্প্রতি ভাইরাল ছবিটি অনুসন্ধান করে মহাত্মা গান্ধীর মূল ছবিটি পাওয়া যায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ওয়েবসাইটে। এপির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি তোলা হয়। এপির আলোকচিত্রী ম্যাক্স ডেসফোর ছবিটি তোলেন।
ওই ছবি থেকে গান্ধীর ছবির অংশটি সম্পাদনা করে কেটে জনৈক নারীর ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদিত ছবিটির গভীর পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়।
প্রথমত, গান্ধী ও ওই নারীর মাথার পেছনের কালো অংশটিতে পার্থক্য রয়েছে। নারীর মাথার পেছনের কালো রংটি তুলনামূলক হালকা। দ্বিতীয়ত, নারীর গলার অংশটিতে একটি সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে। মূল ছবির সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, সাদা অংশটি নেহেরুর শার্টের অংশ।
আগেও ছবিটি একই দাবিতে টুইটার ও ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল।
সিদ্ধান্ত
জনৈক নারীর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি সম্পাদনা করা। মূল ছবিটি ১৯৪৬ সালের ৬ জুলাই মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে তোলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
২০ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগে