ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি প্রাকৃতিকভাবে নাকি গবেষণাগারে, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে মহামারির শুরু থেকেই। গত দেড় বছরে বিভিন্ন সময় অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, চীনের উহানে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোনো গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। আর সেই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের অর্থ খরচ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে মার্কিন সিনেট অধিবেশনে।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বাদুড়ের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল চীন। গত মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সিনেট অধিবেশনে রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল অভিযোগ করেন, চীনের ওই গবেষণাগারে অধিক সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী ভাইরাস তৈরির চেষ্টা চলছিল। আর এই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
সিনেটর পল অবশ্য তাঁর বক্তব্যে করোনাভাইরাসের নাম উল্লেখ করেননি। চীনের ওই গবেষণাকে ‘গেইন অব ফাংশন’ নামে আখ্যা দেওয়া হয়।
তবে সিনেটরের এই বক্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্টনি স্টিফেন ফাউসি। ড. ফাউসি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা পরামর্শকের দায়িত্বও পালন করছেন। করোনাভাইরাস ইস্যুতে উত্তপ্ত সিনেট সভায় ফাউসি পলকে বলেছিলেন, ‘আপনি কী বলছেন তা আপনি জানেন না’। তাঁদের দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢেলেছে।
‘গেইন অব ফাংশন’ গবেষণা কী
চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরি জিনের কোড পরিবর্তন করা হয়।
প্রকল্পটির নামই সন্দেহ আরও উসকে দিয়েছে। কৃত্রিমভাবে ভাইরাসের রূপান্তর ঘটাতে গিয়েই নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কি–না সেই সন্দেহ প্রবল হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে এমন গাছ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা খরা প্রবণ অঞ্চলেও টিকে থাকতে পারে বা জীবাণুর বাহক মশা প্রজাতিকে এমনভাবে পরিবর্তিত করা যাতে সেটি আর রোগ ছড়াতে না পারে। অবশ্য বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, কৃত্রিমভাবে ভাইরাসের রূপান্তর ঘটাতে গেলে সংক্রমণের সক্ষমতা বেড়ে ভাইরাসটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেতে পারে। অবশ্য এই গেইন অব ফাংশনই করোনাভাইরাস মহামারির জন্য দায়ী কি–না তার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র কি চীনকে গবেষণায় অর্থ দিয়েছিল?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) যৌথভাবে গবেষণার জন্য উহানের ল্যাবে বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইকো হেলথ অ্যালায়েন্স বাদুড় থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০১৪ সালে এনআইএইচ থেকে ৩৭ লাখ ডলার অনুদান পায়। এর মধ্যে ৬ লাখ ডলার উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিকে দিয়েছে। উহানের ল্যাবের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে ইকো হেলথ।
২০১৯ সালে প্রকল্পটি আরও পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। কিন্তু এরপরে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তির ইতি টানে।
গত মে মাসে ড. ফাউসি বলেন, এনআইএইচ উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে কখনোই গেইন অব ফাংশন গবেষণায় অর্থ দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না।
তবে সিনেটর র্যান্ড পলের দৃঢ় বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র চীনে যে গবেষণায় অর্থ দিয়েছে সেটি ‘গেইন অব ফাংশনের’ মতোই। প্রমাণ হিসেবে তিনি দুটি গবেষণা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন। এর একটি ২০১৫ সালে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা লিখেছেন। আর অন্যটি প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সিনেটর পলের এই বক্তব্যকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। রুটগারস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রিচার্ড এব্রাইট নামে এই অধ্যাপককে উদ্ধৃতও করেছেন সিনেটর পল।
অধ্যাপক এব্রাইট বিবিসিকে বলেছেন, ওই দুই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, নতুন কয়েক ধরনের ভাইরাস (যা প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না) তৈরি করা হয়েছে। আর এগুলো রোগ সৃষ্টির নতুন জীবাণু হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, যেগুলো হতে পারে অনেক বেশি সংক্রামক। অধ্যাপক এব্রাইট স্পষ্ট করেই বলেছেন, ওই দুই প্রতিবেদনে যে গবেষণার কথা বলা হয়েছে তা ‘গেইন অব ফাংশন’ গবেষণাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে একই ধরনের একটি গবেষণা জৈব নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সে সময় যেই সংজ্ঞার ভিত্তিতে গবেষণাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় তা ‘গেইন অব ফাংশন’–এর মতোই। এ ধরনের গবেষণার জন্য নতুন রূপরেখা তৈরির উদ্দেশ্য থেকেই তখন তহবিল সরবরাহ স্থগিত করা হয়।
ড. ফাউসি কেন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন?
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি সিনেটের ওই সভায় বলেন, গেইন অব ফাংশন গবেষণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস তৈরি হওয়া ‘আণবিকভাবে অসম্ভব’। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এনআইএইচ এবং ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের ভাষ্যে, পরিবেশ ও জীবজগতের প্রাকৃতিক অবস্থাকে প্রভাবিত না করে ‘বাদুড়ের ভাইরাস’ এবং তাদের স্পাইক প্রোটিনগুলো পরীক্ষা করার জন্য একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ২০১৫ সালে বাদুড়ের ভাইরাসের সহযোগী গবেষক মার্কিন বিজ্ঞানী ড. রাল্ফ বারিক ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ওই গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল এমন কোনো ভাইরাস নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে পরিচালিত গবেষণাটি ২০২০ সালে মহামারির জন্য দায়ী নয়।
ফাউসি নিজেও বিভিন্ন সময়ে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিতে চীনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। তবে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা তহবিলের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেই দাবি তাঁর।
এর আগে ফাউসি গত ৪ জুন চীনকে উহানের ল্যাবের নয় কর্মীর বিস্তারিত মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছিল কি–না, সে সম্পর্কে ওই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
সে সময় ফাউসি বলেন, ‘২০১৯ সালে যে তিনজন উহানের ল্যাবে অসুস্থ হয়েছিলেন, আমি তাঁদের মেডিকেল রেকর্ড দেখতে চাই। তাঁরা কি সত্যিই অসুস্থ হয়েছিলেন? যদি তাঁরা অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাঁরা কীভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন?’
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো ২০১৯ সালে চীনের ভাইরাস গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল কি–না, সেই প্রতিবেদন পরীক্ষা করে দেখছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাওয়ার আগে উহানের ল্যাবে গবেষকেরা অসুস্থ হয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ।
চীনা গবেষক ও কর্মকর্তারা গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্ব বরাবর নাকচ করে এসেছেন। তাঁদের দাবি, এই ভাইরাস উহানে ছড়ানোর আগে অন্য কোনো অঞ্চলে ছড়িয়েছিল। এটি হিমায়িত খাবার বা বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে চীনে ঢুকতে পারে।
সিদ্ধান্ত
চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ২০১৪ সালে একটি গবেষণার জন্য তহবিল দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বাদুড় থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছিল। তবে সেই গবেষণাই নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তির কারণ কি–না, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি প্রাকৃতিকভাবে নাকি গবেষণাগারে, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে মহামারির শুরু থেকেই। গত দেড় বছরে বিভিন্ন সময় অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, চীনের উহানে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোনো গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। আর সেই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের অর্থ খরচ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে মার্কিন সিনেট অধিবেশনে।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বাদুড়ের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল চীন। গত মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সিনেট অধিবেশনে রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল অভিযোগ করেন, চীনের ওই গবেষণাগারে অধিক সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী ভাইরাস তৈরির চেষ্টা চলছিল। আর এই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
সিনেটর পল অবশ্য তাঁর বক্তব্যে করোনাভাইরাসের নাম উল্লেখ করেননি। চীনের ওই গবেষণাকে ‘গেইন অব ফাংশন’ নামে আখ্যা দেওয়া হয়।
তবে সিনেটরের এই বক্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্টনি স্টিফেন ফাউসি। ড. ফাউসি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা পরামর্শকের দায়িত্বও পালন করছেন। করোনাভাইরাস ইস্যুতে উত্তপ্ত সিনেট সভায় ফাউসি পলকে বলেছিলেন, ‘আপনি কী বলছেন তা আপনি জানেন না’। তাঁদের দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢেলেছে।
‘গেইন অব ফাংশন’ গবেষণা কী
চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরি জিনের কোড পরিবর্তন করা হয়।
প্রকল্পটির নামই সন্দেহ আরও উসকে দিয়েছে। কৃত্রিমভাবে ভাইরাসের রূপান্তর ঘটাতে গিয়েই নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কি–না সেই সন্দেহ প্রবল হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে এমন গাছ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা খরা প্রবণ অঞ্চলেও টিকে থাকতে পারে বা জীবাণুর বাহক মশা প্রজাতিকে এমনভাবে পরিবর্তিত করা যাতে সেটি আর রোগ ছড়াতে না পারে। অবশ্য বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, কৃত্রিমভাবে ভাইরাসের রূপান্তর ঘটাতে গেলে সংক্রমণের সক্ষমতা বেড়ে ভাইরাসটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেতে পারে। অবশ্য এই গেইন অব ফাংশনই করোনাভাইরাস মহামারির জন্য দায়ী কি–না তার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র কি চীনকে গবেষণায় অর্থ দিয়েছিল?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) যৌথভাবে গবেষণার জন্য উহানের ল্যাবে বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইকো হেলথ অ্যালায়েন্স বাদুড় থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০১৪ সালে এনআইএইচ থেকে ৩৭ লাখ ডলার অনুদান পায়। এর মধ্যে ৬ লাখ ডলার উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিকে দিয়েছে। উহানের ল্যাবের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে ইকো হেলথ।
২০১৯ সালে প্রকল্পটি আরও পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। কিন্তু এরপরে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তির ইতি টানে।
গত মে মাসে ড. ফাউসি বলেন, এনআইএইচ উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে কখনোই গেইন অব ফাংশন গবেষণায় অর্থ দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না।
তবে সিনেটর র্যান্ড পলের দৃঢ় বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র চীনে যে গবেষণায় অর্থ দিয়েছে সেটি ‘গেইন অব ফাংশনের’ মতোই। প্রমাণ হিসেবে তিনি দুটি গবেষণা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন। এর একটি ২০১৫ সালে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা লিখেছেন। আর অন্যটি প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সিনেটর পলের এই বক্তব্যকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। রুটগারস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রিচার্ড এব্রাইট নামে এই অধ্যাপককে উদ্ধৃতও করেছেন সিনেটর পল।
অধ্যাপক এব্রাইট বিবিসিকে বলেছেন, ওই দুই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, নতুন কয়েক ধরনের ভাইরাস (যা প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না) তৈরি করা হয়েছে। আর এগুলো রোগ সৃষ্টির নতুন জীবাণু হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, যেগুলো হতে পারে অনেক বেশি সংক্রামক। অধ্যাপক এব্রাইট স্পষ্ট করেই বলেছেন, ওই দুই প্রতিবেদনে যে গবেষণার কথা বলা হয়েছে তা ‘গেইন অব ফাংশন’ গবেষণাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে একই ধরনের একটি গবেষণা জৈব নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সে সময় যেই সংজ্ঞার ভিত্তিতে গবেষণাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় তা ‘গেইন অব ফাংশন’–এর মতোই। এ ধরনের গবেষণার জন্য নতুন রূপরেখা তৈরির উদ্দেশ্য থেকেই তখন তহবিল সরবরাহ স্থগিত করা হয়।
ড. ফাউসি কেন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন?
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি সিনেটের ওই সভায় বলেন, গেইন অব ফাংশন গবেষণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস তৈরি হওয়া ‘আণবিকভাবে অসম্ভব’। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এনআইএইচ এবং ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের ভাষ্যে, পরিবেশ ও জীবজগতের প্রাকৃতিক অবস্থাকে প্রভাবিত না করে ‘বাদুড়ের ভাইরাস’ এবং তাদের স্পাইক প্রোটিনগুলো পরীক্ষা করার জন্য একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ২০১৫ সালে বাদুড়ের ভাইরাসের সহযোগী গবেষক মার্কিন বিজ্ঞানী ড. রাল্ফ বারিক ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ওই গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল এমন কোনো ভাইরাস নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে পরিচালিত গবেষণাটি ২০২০ সালে মহামারির জন্য দায়ী নয়।
ফাউসি নিজেও বিভিন্ন সময়ে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিতে চীনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। তবে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা তহবিলের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেই দাবি তাঁর।
এর আগে ফাউসি গত ৪ জুন চীনকে উহানের ল্যাবের নয় কর্মীর বিস্তারিত মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছিল কি–না, সে সম্পর্কে ওই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
সে সময় ফাউসি বলেন, ‘২০১৯ সালে যে তিনজন উহানের ল্যাবে অসুস্থ হয়েছিলেন, আমি তাঁদের মেডিকেল রেকর্ড দেখতে চাই। তাঁরা কি সত্যিই অসুস্থ হয়েছিলেন? যদি তাঁরা অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাঁরা কীভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন?’
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো ২০১৯ সালে চীনের ভাইরাস গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল কি–না, সেই প্রতিবেদন পরীক্ষা করে দেখছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাওয়ার আগে উহানের ল্যাবে গবেষকেরা অসুস্থ হয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ।
চীনা গবেষক ও কর্মকর্তারা গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্ব বরাবর নাকচ করে এসেছেন। তাঁদের দাবি, এই ভাইরাস উহানে ছড়ানোর আগে অন্য কোনো অঞ্চলে ছড়িয়েছিল। এটি হিমায়িত খাবার বা বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে চীনে ঢুকতে পারে।
সিদ্ধান্ত
চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ২০১৪ সালে একটি গবেষণার জন্য তহবিল দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বাদুড় থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছিল। তবে সেই গবেষণাই নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তির কারণ কি–না, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে
২৪ জুলাই ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে
২৪ জুলাই ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে
২৪ জুলাই ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

চীনের যে ভাইরাস গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রকল্পটির নাম ‘গেইন অব ফাংশন’। ‘গেইন অব ফাংশন’ বলতে রূপান্তরের (মিউটেশন) মাধ্যমে জীবের নতুন সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই মিউটেশন মূলত প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তবে বিজ্ঞানীরা চাইলে ল্যাবেও এটি ঘটাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে
২৪ জুলাই ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫