ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মগবাজারে গতকাল রোববার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু ও অর্ধ শতাধিক আহতের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। রক্তভেজা জামা, টাকাসহ অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এর মধ্যে রুহুল আমিন নামে এক প্রবাসীকে নিয়ে একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই পোস্ট শেয়ার করার প্রবণতা।
পোস্টটিতে লেখা হচ্ছে- ‘২৪ বছর পরেও মাকে দেখা হলো না আমেরিকা ফেরত রুহুল আমিনের! দীর্ঘ ২৪ বছর পরে বাড়িফেরা। সেই কিশোর বয়সে সংসারের হাল ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন রুহুল আমিন। এরপর কেবল সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা। বিয়েও করেননি। বাড়ি ফেরার খবরে মেয়ে দেখা চলছিল। বিমানবন্দরে নেমে ফোন করে মাকে বলেছিলেন, দেশে পৌঁছেছি। বাড়ি আসছি। দেখা হবে মা। তবে মাকে আর দেখা হয়নি রুহুল আমিনের। বাড়ি ফিরেছেন, কিন্তু বাক্সবন্দী লাশ হয়ে। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন রুহুল আমিন। আহা জীবন...!!’
ফেসবুকে ফারতাস নামের একটি পেজে ওই পোস্টে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজারের বেশি মানুষ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন। শেয়ার হয়েছে ৩০০ বারেরও বেশি। মেহনাজলি, বঙ্গকন্ঠ, টপসকো, প্রস্ফুটিত শেরপুর, অনির্বান, প্যারা নাই চিল- এরকম পাঁচ শতাধিক গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে এই পোস্টটি খুঁজে পাওয়া গেছে।
ফ্যাক্টচেক
প্রথমেই আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের নাম জানার চেষ্টা করি। জান্নাত (৩০) এবং স্বপন (৩৫) নামে দুজনের কথা জানতে পারি। তবে অন্য নিহতদের নাম গণমাধ্যমে এখনো আসেনি।
রুহুল আমিনকে নিয়ে ফেসবুকে লেখাগুলোর কি-ওয়ার্ড রিভার্স সার্চ করে আমরা তাঁর মৃত্যুর সংবাদ খুঁজে পাই ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৪ বছর পর মাকে দেখতে দেশে ফিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই রুহুল আমিন (৩৮)। টানা ২৪ বছর যুক্তরাষ্ট্র থাকার পর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ অনুমোদন (গ্রিন কার্ড) পান সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর মাকে দেখতে এবং বিয়ে করার উদ্দেশ্যে দেশে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুহুল আমিন।
১৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শশই–এ পাথরবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ফেসবুকে রিমেম্বারিং হয়ে থাকা রুহুল আমিনের আইডিতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার চার দিন আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফেরার তথ্যটি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে জানিয়েছিলেন। ১৫ জানুয়ারি দুবাইয়ে ট্রানজিট নেওয়ার সময় সর্বশেষ ছবিটি আপলোড করেছিলেন তিনি।
সিদ্ধান্ত
মগবাজার বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে রুহুল আমিন নামের কোনো যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আছেন কি–না সেটি কোনো গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি। আর ফেসবুকে যে রুহুল আমিনের ছবি ব্যবহার করে খবর শেয়ার করা হচ্ছে তিনি ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
মগবাজারে গতকাল রোববার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু ও অর্ধ শতাধিক আহতের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। রক্তভেজা জামা, টাকাসহ অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এর মধ্যে রুহুল আমিন নামে এক প্রবাসীকে নিয়ে একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই পোস্ট শেয়ার করার প্রবণতা।
পোস্টটিতে লেখা হচ্ছে- ‘২৪ বছর পরেও মাকে দেখা হলো না আমেরিকা ফেরত রুহুল আমিনের! দীর্ঘ ২৪ বছর পরে বাড়িফেরা। সেই কিশোর বয়সে সংসারের হাল ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন রুহুল আমিন। এরপর কেবল সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা। বিয়েও করেননি। বাড়ি ফেরার খবরে মেয়ে দেখা চলছিল। বিমানবন্দরে নেমে ফোন করে মাকে বলেছিলেন, দেশে পৌঁছেছি। বাড়ি আসছি। দেখা হবে মা। তবে মাকে আর দেখা হয়নি রুহুল আমিনের। বাড়ি ফিরেছেন, কিন্তু বাক্সবন্দী লাশ হয়ে। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন রুহুল আমিন। আহা জীবন...!!’
ফেসবুকে ফারতাস নামের একটি পেজে ওই পোস্টে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজারের বেশি মানুষ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন। শেয়ার হয়েছে ৩০০ বারেরও বেশি। মেহনাজলি, বঙ্গকন্ঠ, টপসকো, প্রস্ফুটিত শেরপুর, অনির্বান, প্যারা নাই চিল- এরকম পাঁচ শতাধিক গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে এই পোস্টটি খুঁজে পাওয়া গেছে।
ফ্যাক্টচেক
প্রথমেই আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের নাম জানার চেষ্টা করি। জান্নাত (৩০) এবং স্বপন (৩৫) নামে দুজনের কথা জানতে পারি। তবে অন্য নিহতদের নাম গণমাধ্যমে এখনো আসেনি।
রুহুল আমিনকে নিয়ে ফেসবুকে লেখাগুলোর কি-ওয়ার্ড রিভার্স সার্চ করে আমরা তাঁর মৃত্যুর সংবাদ খুঁজে পাই ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৪ বছর পর মাকে দেখতে দেশে ফিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই রুহুল আমিন (৩৮)। টানা ২৪ বছর যুক্তরাষ্ট্র থাকার পর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ অনুমোদন (গ্রিন কার্ড) পান সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর মাকে দেখতে এবং বিয়ে করার উদ্দেশ্যে দেশে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুহুল আমিন।
১৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শশই–এ পাথরবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ফেসবুকে রিমেম্বারিং হয়ে থাকা রুহুল আমিনের আইডিতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার চার দিন আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফেরার তথ্যটি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে জানিয়েছিলেন। ১৫ জানুয়ারি দুবাইয়ে ট্রানজিট নেওয়ার সময় সর্বশেষ ছবিটি আপলোড করেছিলেন তিনি।
সিদ্ধান্ত
মগবাজার বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে রুহুল আমিন নামের কোনো যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আছেন কি–না সেটি কোনো গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি। আর ফেসবুকে যে রুহুল আমিনের ছবি ব্যবহার করে খবর শেয়ার করা হচ্ছে তিনি ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
দুই নারী ব্যাগে করে লাশ ফেলতে এলে সাধারণ মানুষ তাঁদের ধরে পুলিশে দিয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে উৎসুক...
১১ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ছয় মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে ডাকাতির সময় ফিল্মি স্টাইলে ভবন টপকাতে গিয়ে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে রাতের বেলা একজন যুবককে আন্ডারওয়্যার পরা অবস্থায় একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে পাশের
৩ দিন আগেসম্প্রতি দেশে একাধিক ধর্ষণের তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ঢাকায় প্রকাশ্যে একজন ভিখারিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে— দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
৪ দিন আগে