ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
চলমান টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় চারদিকে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে নানা রকম ট্রল ও তির্যক মন্তব্য। এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের করা একটি মন্তব্য।
এ ধরনের পোস্টগুলোতে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘শোয়েব আক্তার বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বাঁচাতে হলে পাপনকে বাতিল করতে হবে। পাপন এই পদের যোগ্য নন।’
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শোয়েব আক্তার একটি মাঠের পাশের কার্নিশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে মন্তব্য করছেন। ভিডিওটি ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের। ফেসবুকে কয়েক হাজার আইডি, গ্রুপ ও পেজে ভিডিওটি পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা গেছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জনতা টিভি নিউজ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওটিতে ৪ লাখ ১৫ হাজার রিঅ্যাকশন ও ৯১ হাজারবার শেয়ার হতে দেখা গেছে। ভিডিওটি দেখেছেন ৫০ লাখের বেশি মানুষ।
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের জন্য বিশেষায়িত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিওটি অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, এটি ২০১৯ সালের ভিডিও। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিসিবির নানা সিদ্ধান্ত, কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন।
এর দুই দিন পর (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব আক্তার।
ওই ভিডিওতে তিনি উর্দু ভাষায় বলেন, তাঁর সূত্র তাঁকে জানিয়েছে, তিনি (পাপন) এই পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন এবং ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে তিনি নিজে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে পদত্যাগ করতে বলেননি। তিনি মূলত ক্রিকেটারদের দাবিগুলো তুলে ধরতে গিয়ে নিজস্ব সূত্রের বরাতে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগের প্রসঙ্গটি এনেছিলেন।
যদিও ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির মধ্যে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ-সংক্রান্ত কোনো দাবি ছিল না। তাঁরা মূলত খেলোয়াড়দের সমিতি কোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবি করেছিলেন।
ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রথমটি ছিল—‘প্রথমেই সম্মানের ব্যাপারে। আমরা যারা ক্রিকেটার আছি, যতটুকু সম্মান আমাদের পাওনা, মনে হয় ততটুকু পাই না। আমাদের খেলোয়াড়দের যে সমিতি আছে (কোয়াব), তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের জন্য যে কিছু করবে, সেটি আমরা কখনো দেখিনি। প্রথম দাবি হচ্ছে, যারা এখন এই সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আছে, তাদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। সামনে কে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি হবে, সেটা আমরা ঠিক করব। নির্বাচন করে ঠিক করব।’
সিদ্ধান্ত
বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের মন্তব্য দাবিতে যে ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত ভিডিও। এর সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কোনো সম্পর্ক নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
চলমান টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় চারদিকে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে নানা রকম ট্রল ও তির্যক মন্তব্য। এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের করা একটি মন্তব্য।
এ ধরনের পোস্টগুলোতে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘শোয়েব আক্তার বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বাঁচাতে হলে পাপনকে বাতিল করতে হবে। পাপন এই পদের যোগ্য নন।’
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শোয়েব আক্তার একটি মাঠের পাশের কার্নিশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে মন্তব্য করছেন। ভিডিওটি ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের। ফেসবুকে কয়েক হাজার আইডি, গ্রুপ ও পেজে ভিডিওটি পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা গেছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জনতা টিভি নিউজ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওটিতে ৪ লাখ ১৫ হাজার রিঅ্যাকশন ও ৯১ হাজারবার শেয়ার হতে দেখা গেছে। ভিডিওটি দেখেছেন ৫০ লাখের বেশি মানুষ।
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের জন্য বিশেষায়িত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিওটি অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, এটি ২০১৯ সালের ভিডিও। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিসিবির নানা সিদ্ধান্ত, কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন।
এর দুই দিন পর (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব আক্তার।
ওই ভিডিওতে তিনি উর্দু ভাষায় বলেন, তাঁর সূত্র তাঁকে জানিয়েছে, তিনি (পাপন) এই পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন এবং ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে তিনি নিজে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে পদত্যাগ করতে বলেননি। তিনি মূলত ক্রিকেটারদের দাবিগুলো তুলে ধরতে গিয়ে নিজস্ব সূত্রের বরাতে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগের প্রসঙ্গটি এনেছিলেন।
যদিও ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির মধ্যে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ-সংক্রান্ত কোনো দাবি ছিল না। তাঁরা মূলত খেলোয়াড়দের সমিতি কোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবি করেছিলেন।
ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রথমটি ছিল—‘প্রথমেই সম্মানের ব্যাপারে। আমরা যারা ক্রিকেটার আছি, যতটুকু সম্মান আমাদের পাওনা, মনে হয় ততটুকু পাই না। আমাদের খেলোয়াড়দের যে সমিতি আছে (কোয়াব), তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের জন্য যে কিছু করবে, সেটি আমরা কখনো দেখিনি। প্রথম দাবি হচ্ছে, যারা এখন এই সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আছে, তাদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। সামনে কে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি হবে, সেটা আমরা ঠিক করব। নির্বাচন করে ঠিক করব।’
সিদ্ধান্ত
বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের মন্তব্য দাবিতে যে ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত ভিডিও। এর সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কোনো সম্পর্ক নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১৪ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে