মেসির পায়ে জখম, চিকিৎসায় টাকা পাঠাতে চান?

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৪১
Thumbnail image

আগামীকালের ভোর আর দশটা ভোরের মতো নয়। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফাইনাল। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কী হতে পারে! বাংলাদেশেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথের উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে ভালোভাবেই।

ফাইনাল খেলার আগে গণমাধ্যম ব্যস্ত দুই দলের শেষ প্রস্তুতির খবর জানাতে। আর দুই দলের ভক্তরা কথার লড়াইয়ে মেতে উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে শুধু কথার লড়াই হলেও হতো, দেশের পাড়া মহল্লায় সংঘর্ষের খবরও এরই মধ্যে বিশ্ব মিডিয়ায় এসেছে। পড়ুন এখানে। এরই মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছড়িয়ে দিয়েছেন এক অদ্ভুত বিভ্রান্তির পোস্ট।

‘মেসির পায়ের ব্যথা গুরুতর। ফাইনাল ম্যাচে তাকে দেখা যাবে কি–না এই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা করতে অনেক টাকা খরচ হবে। তাই মেসিকে ফাইনাল ম্যাচে দেখতে চাইলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। হতে পারে আপনার ক্ষুদ্র সাহায্যের জন্য মেসি-নেইমারের নৈপুণ্যে বর্নিল ফাইনাল আমরা উপভোগ করতে পারবো’।

এই লেখার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিকাশ ও নগদে টাকা পাঠানোর মোবাইল নম্বর। কেউ কেউ লিখে দিয়েছেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও।মেসির চিকিৎসায় সহায়তা চেয়ে করা ফেসবুক পোস্টফ্যাক্টচেক
প্রায় সবগুলো পোস্টেই রিঅ্যাক্ট হিসেবে ‘হা হা’র পরিমাণই বেশি। মন্তব্যের ঘরেও নেটিজেনরা এমন পোস্ট নিয়ে হাস্যরস করেছেন। তবে বিষয়টি যে সবাই মজা হিসেবেই নিয়েছেন, তেমন না–ও হতে পারে। কয়েকটি মন্তব্যে বিষয়টি যাচাই করার আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচটি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মধ্যে বলে দেশের ফুটবল ভক্তদের আবেগের মাত্রা একটু বেশিই। তাই ফ্যাক্টচেক বিভাগ বিষয়টি অনুসন্ধান করেছে।

মেসি পায়ে ব্যথা পেলেন কীভাবে
গত ৭ জুলাই কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের ফ্রাঙ্ক ফাবরার মারাত্মক আঘাতে লুটিয়ে পড়েন মেসি। মুহূর্তেই বাঁ পায়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে। তবে বেশি সময় নেননি। রক্ত ঝরা পা নিয়েই ফিরে আসেন মাঠে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় মেসির পায়ের রক্তভেজা ছবি।

রক্তাক্ত টাকনু নিয়েই মেসি ফিরে আসেন মাঠেমেসি ফাইনাল খেলবেন? 
মেসি আগামীকাল কোপা আমেরিকা ফাইনালে খেলবেন না, এমন তথ্য এখন পর্যন্ত কোথাও পাওয়া যায়নি। বরং এই লড়াই মূলত মেসি-নেইমারের লড়াই। আর্জেন্টিনার রণ কৌশল যে মেসিকেই ঘিরেই–সেটি সংবাদমাধ্যমের খবরে স্পষ্ট। 

বিকাশ ও নগদ নম্বরগুলো যাচাই
মেসির জখমের চিকিৎসায় সহায়তা চেয়ে দেওয়া পোস্টগুলোতে মোট ১০টি ফোন নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪টি নম্বরে ফোন করে জানা যায়, নিতান্তই মজা করে পোস্টগুলো দেওয়া। ৩টি নম্বরে ফোন করলে প্রশ্ন শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দেন। বাকি ৩টি নম্বরে কেউ ফোন ধরেনি। 

পরামর্শ
কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে সাহায্য পাঠাতে হলে নম্বরগুলো যাচাই করে নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে যিনি টাকা চাইছেন, তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কেউ কি–না, সেটিও যাচাই করে নেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ফিলিস্তিন দূতাবাস বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সাহায্য নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিকাশ নম্বর প্রচার করেছিল। সেটি নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া নোটিশ পড়তে অথবা সশরীরে দূতাবাসে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার অনুরোধ করে ঢাকায় ফিলিস্তিনি দূতাবাস।

বিকাশে টাকা পাঠানোর এমন আহ্বান প্রায়ই ফেসবুকে দেখা যায়। কেউ কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ‘অসুস্থ রোগীর’ সাহায্যে টাকা পাঠানোর জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেন। লটারিতে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণা ও নানা রকম আর্থিক সাহায্যের টোপ দেওয়া হয়। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতারকেরা ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে।

সিদ্ধান্ত
মেসির জখমের চিকিৎসার জন্য বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে করা পোস্টগুলো প্রতারণার অংশ কিংবা নিছক মজা করে দেওয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

আয়রন রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট পরবে পুলিশ

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

সিলেটে রিসোর্টে ৮ তরুণ-তরুণীকে জোর করে বিয়ে, কিছু না করেই ফিরে এল পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত