ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শিরোনামটা বেশ আকর্ষণীয়। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর জন্য ঘরোয়া টোটকা। এই টোটকা জানা থাকলে নাকি আপনাকে আফসোস করতে হতো না! মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আকারে ফরওয়ার্ড করতেও দেখ যাচ্ছে এই চিকিৎসা পদ্ধতি। এই গুজব অন্তত এক দশক ধরে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ওই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বলা হচ্ছে, ‘কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখায় একটি সুই গরম করে নিতে হবে, যাতে জীবাণুমুক্ত হয়। এরপর রোগীর হাতের আঙুলের ডগার নরম অংশে সুইটি সামান্য ঢুকিয়ে দিতে হবে যাতে সেই জায়গা দিয়ে রক্ত বের হয়। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করলে দেখা যাবে, ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করতে হবে। এরপর একইভাবে কানের লতি বা নরম অংশে সুই দিয়ে রক্ত ঝরাতে হবে। তাহলেই আর মুখ বিকৃত হবে না।’
চিকিৎসা পদ্ধতিটি চীনের এক চিকিৎসকের উদ্ভাবিত বলে দাবি করা হলেও সেই চিকিৎসকের কোনো নাম–পরিচয় দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ এই টোটকা বিশ্বাস করেছেন, তার নমুনা পাওয়া যায় ফেসবুকে এ–সংক্রান্ত পোস্ট ও সেখানে অসংখ্য ইতিবাচক মন্তব্যে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সামাজিক মাধ্যমে বহুদিন ধরে আলোচিত ওই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কথা হয় জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে বা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে। আঙুল থেকে রক্ত বের করে এর কোনোটিরই সুরাহা হবে না। মস্তিষ্কের যে রক্তনালিগুলো স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা মূলত ধমনি। আঙুলের যে রক্তনালি তা হলো ক্যাপিলিরি বা কৌশিক জালিকা। সামগ্রিক রক্ত সংবহনতন্ত্রে এর ভূমিকা সামান্য। স্ট্রোকের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে সেটা কল্পনাও করা যায় না।’
‘এটা কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে বা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে। আঙুল থেকে রক্ত বের করে এর কোনোটিরই সুরাহা হবে না। মস্তিষ্কের যে রক্তনালিগুলো স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা মূলত ধমনি। আঙুলের যে রক্তনালি তা হলো ক্যাপিলিরি বা কৌশিক জালিকা। সামগ্রিক রক্ত সংবহনতন্ত্রে এর ভূমিকা সামান্য। স্ট্রোকের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে সেটা কল্পনাও করা যায় না।’
এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে তথ্য যাচাই আঙ্গিকের প্রতিবেদন খুঁজে পাই। প্রতিবেদনগুলো থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত জানতে পারি।
বার্তা সংস্থা এএফপি ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চীন এবং পাশ্চাত্যের কয়েকজন খ্যাতনামা চিকিৎসকদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানায়, চিকিৎসা পদ্ধতিটি ভিত্তিহীন ও বিপজ্জনক।
ওই প্রতিবেদনে সংযুক্ত একটি ইউটিউব ভিডিওতে কেনিয়ার আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নিউরোলজির অধ্যাপক ডা. দিলরাজ সিং বলেন, ‘স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রতিটি সময় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মস্তিষ্কে হঠাৎ স্ট্রোকের প্রভাবে প্রতি মিনিটে ১০ লাখ স্নায়ুকোষের মৃত্যু হতে থাকে। সময়ক্ষেপণ না করে হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘ভুল চিন্তা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দ্য ডিউক স্ট্রোক সেন্টারের পরিচালক ডা. ল্যারি গোল্ডস্টেইন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল হেলথ লাইনের একটি প্রতিবেদনে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির অধ্যাপক ড. মিশেল এলকিন্ড বলেছেন, ‘এটি এক কথায় অপচিকিৎসা। কোনো ব্যক্তির যদি গাল বেঁকে যাওয়া, বাহুতে দুর্বলতা বা অসারতা ও কথা বলতে সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই হবে উত্তম কাজ।’
হেলথ আনালিটিকস এশিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। স্ট্রোক হয়েছে এমন ব্যক্তির আঙুলে সিরিঞ্জ বা সুই প্রবেশ করানোটা তাদের সহায়তা করবে এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং এটি ওই পরিস্থিতিতে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।
স্ট্রোক হলে কী করবেন
নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের চিকিৎসায় দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার গুরুত্ব বুঝাতে বলেন, ‘টাইম ইজ ব্রেইন’।
স্ট্রোকের জরুরি চিকিৎসা নিয়ে দ্য ইকোনমিস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ট্রোকের মতো অবস্থা দেখা দিলে দ্রুত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
পরিবারের কারও এই লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম ও প্রধান করণীয় রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স ডাকা এবং হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো বিপজ্জনক। কারণ স্ট্রোকটি হেমোরেজিক নাকি ইস্কেমিক সেটা না জেনে ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
এ সময়ে কিছু খাওয়ানো আরও বিপজ্জনক। এমনকি পানিও। এই খাবার ও পানি রোগীর শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। এতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে অথবা সংক্রমণ তৈরি করতে পারে।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে স্ট্রোকের রোগী এলে তিনি লক্ষণ দেখেই দ্রুত চিকিৎসা দেন এবং ওষুধ প্রয়োগ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একটি ধাপ আগে সম্পন্ন করেন আর তা হচ্ছে– কম্পিউটেড টমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যানারে রোগীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কি–না তা নিশ্চিত হতে তাঁরা সিটি স্ক্যান করেন। যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তবে থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য সিটি স্ক্যানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থাৎ কাউকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখলে অনুমান ভিত্তিক কোনো পদ্ধতি অবলম্বন না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
শিরোনামটা বেশ আকর্ষণীয়। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর জন্য ঘরোয়া টোটকা। এই টোটকা জানা থাকলে নাকি আপনাকে আফসোস করতে হতো না! মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আকারে ফরওয়ার্ড করতেও দেখ যাচ্ছে এই চিকিৎসা পদ্ধতি। এই গুজব অন্তত এক দশক ধরে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ওই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বলা হচ্ছে, ‘কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখায় একটি সুই গরম করে নিতে হবে, যাতে জীবাণুমুক্ত হয়। এরপর রোগীর হাতের আঙুলের ডগার নরম অংশে সুইটি সামান্য ঢুকিয়ে দিতে হবে যাতে সেই জায়গা দিয়ে রক্ত বের হয়। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করলে দেখা যাবে, ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করতে হবে। এরপর একইভাবে কানের লতি বা নরম অংশে সুই দিয়ে রক্ত ঝরাতে হবে। তাহলেই আর মুখ বিকৃত হবে না।’
চিকিৎসা পদ্ধতিটি চীনের এক চিকিৎসকের উদ্ভাবিত বলে দাবি করা হলেও সেই চিকিৎসকের কোনো নাম–পরিচয় দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ এই টোটকা বিশ্বাস করেছেন, তার নমুনা পাওয়া যায় ফেসবুকে এ–সংক্রান্ত পোস্ট ও সেখানে অসংখ্য ইতিবাচক মন্তব্যে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সামাজিক মাধ্যমে বহুদিন ধরে আলোচিত ওই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কথা হয় জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে বা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে। আঙুল থেকে রক্ত বের করে এর কোনোটিরই সুরাহা হবে না। মস্তিষ্কের যে রক্তনালিগুলো স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা মূলত ধমনি। আঙুলের যে রক্তনালি তা হলো ক্যাপিলিরি বা কৌশিক জালিকা। সামগ্রিক রক্ত সংবহনতন্ত্রে এর ভূমিকা সামান্য। স্ট্রোকের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে সেটা কল্পনাও করা যায় না।’
‘এটা কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে বা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে। আঙুল থেকে রক্ত বের করে এর কোনোটিরই সুরাহা হবে না। মস্তিষ্কের যে রক্তনালিগুলো স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা মূলত ধমনি। আঙুলের যে রক্তনালি তা হলো ক্যাপিলিরি বা কৌশিক জালিকা। সামগ্রিক রক্ত সংবহনতন্ত্রে এর ভূমিকা সামান্য। স্ট্রোকের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে সেটা কল্পনাও করা যায় না।’
এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে তথ্য যাচাই আঙ্গিকের প্রতিবেদন খুঁজে পাই। প্রতিবেদনগুলো থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত জানতে পারি।
বার্তা সংস্থা এএফপি ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চীন এবং পাশ্চাত্যের কয়েকজন খ্যাতনামা চিকিৎসকদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানায়, চিকিৎসা পদ্ধতিটি ভিত্তিহীন ও বিপজ্জনক।
ওই প্রতিবেদনে সংযুক্ত একটি ইউটিউব ভিডিওতে কেনিয়ার আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নিউরোলজির অধ্যাপক ডা. দিলরাজ সিং বলেন, ‘স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রতিটি সময় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মস্তিষ্কে হঠাৎ স্ট্রোকের প্রভাবে প্রতি মিনিটে ১০ লাখ স্নায়ুকোষের মৃত্যু হতে থাকে। সময়ক্ষেপণ না করে হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘ভুল চিন্তা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দ্য ডিউক স্ট্রোক সেন্টারের পরিচালক ডা. ল্যারি গোল্ডস্টেইন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল হেলথ লাইনের একটি প্রতিবেদনে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির অধ্যাপক ড. মিশেল এলকিন্ড বলেছেন, ‘এটি এক কথায় অপচিকিৎসা। কোনো ব্যক্তির যদি গাল বেঁকে যাওয়া, বাহুতে দুর্বলতা বা অসারতা ও কথা বলতে সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই হবে উত্তম কাজ।’
হেলথ আনালিটিকস এশিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। স্ট্রোক হয়েছে এমন ব্যক্তির আঙুলে সিরিঞ্জ বা সুই প্রবেশ করানোটা তাদের সহায়তা করবে এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং এটি ওই পরিস্থিতিতে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।
স্ট্রোক হলে কী করবেন
নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের চিকিৎসায় দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার গুরুত্ব বুঝাতে বলেন, ‘টাইম ইজ ব্রেইন’।
স্ট্রোকের জরুরি চিকিৎসা নিয়ে দ্য ইকোনমিস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ট্রোকের মতো অবস্থা দেখা দিলে দ্রুত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
পরিবারের কারও এই লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম ও প্রধান করণীয় রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স ডাকা এবং হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো বিপজ্জনক। কারণ স্ট্রোকটি হেমোরেজিক নাকি ইস্কেমিক সেটা না জেনে ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
এ সময়ে কিছু খাওয়ানো আরও বিপজ্জনক। এমনকি পানিও। এই খাবার ও পানি রোগীর শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। এতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে অথবা সংক্রমণ তৈরি করতে পারে।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে স্ট্রোকের রোগী এলে তিনি লক্ষণ দেখেই দ্রুত চিকিৎসা দেন এবং ওষুধ প্রয়োগ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একটি ধাপ আগে সম্পন্ন করেন আর তা হচ্ছে– কম্পিউটেড টমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যানারে রোগীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কি–না তা নিশ্চিত হতে তাঁরা সিটি স্ক্যান করেন। যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তবে থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য সিটি স্ক্যানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থাৎ কাউকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখলে অনুমান ভিত্তিক কোনো পদ্ধতি অবলম্বন না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
প্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
৯ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগে