ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ওঠাবসা বা চলাফেরায় হুট করে কারও মাথার সঙ্গে ঠোকা লাগলে ওই স্থানে দ্বিতীয়বার ঠোকা দিতে হয়। নয়তো সেখানে গজাবে শিং! ছোটবেলায় এমন কথা কমবেশি সবাই শুনেছি। নিজেরাও হয়তো এমন করেছি। যদিও এমনটি কখনো ঘটতে শোনা যায়নি। এরপরও এমন ধারণা জায়গা করে নিয়েছে সাহিত্যে, নাটকে, সিনেমায়।যেমন, অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ২০২২ সালের ১৭ জুলাই তাঁর ফেসবুক ওয়ালে নিজের অভিনীত ‘ভাই বড় বিপদে’ নাটকের একটি দৃশ্য শেয়ার করে লেখেন, ‘মাথায় টোকা খেয়েছে, সো মাথায় শিং গজাবে।’ নাটকের ওই দৃশ্যে অপূর্বের সঙ্গে অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের মাথায় ঠোকাঠুকি হয়। এরপর অপূর্ব আবার পায়েলকে মাথায় ঠোকাঠুকি করে বলেন, ‘যাতে শিং না গজায়।’
মাথায় ঠোকাঠুকি হলে আসলেই শিং গজায় কি না বা পাল্টা ঠোকাঠুকিতে শিং গজানো ঠেকানো যায় কি না, এ নিয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায় না। যদিও সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ সূত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মানুষের মাথায় শিং গজানোর তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, ২০১৬ সালে জামালপুর জেলার আয়াত আলী শেখ নামে এক বৃদ্ধ মাথায় একটি শিং–সদৃশ বস্তু নিয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে মাথায় একই রকম শিং–সদৃশ বস্তু নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের কৃষক শ্যাম লাল যাদব। ওই সময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে শিং–সদৃশ বস্তুটি অপসারণ করা হয়।
সত্যিই কি মানুষের মাথায় শিং গজায়?
বৃদ্ধ আয়াত আলী শেখের ঘটনায় জামালপুরের তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রতন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃদ্ধের মাথায় গজানো জিনিসটি শিংয়ের মতো দেখতে হলেও এটি একটি রোগ। রোগটির নাম সেবাশিয়াস হর্ন। বিনাইন টিউমারের কারণে এটি হয়। এই টিউমারে ক্যানসারের কোনো উপাদান থাকে না, তাই এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলামের এই বক্তব্যের সূত্রে ইন্টারনেটে খুঁজে এই রোগ সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন সূত্রে জানা যায়, সেবাশিয়াস হর্ন রোগটি কিউটেনাস হর্ন নামেও পরিচিত। এটি তুলনামূলকভাবে বিরল রোগ, যা সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তরে দেখা দেয়। এটি দেখতে শঙ্কু (কোন) আকৃতির, শক্ত। কেরাটিনাস বৃদ্ধির কারণে এমন ঘটে। সাধারণত শরীরের যে অংশগুলো সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে সেই ত্বকে এটি হতে পারে।
সেবাশিয়াস হর্ন বা কিউটেনাস হর্ন প্রথম শনাক্ত হয় ১৫৮৮ সালে, এর সঙ্গে মিশে আছে লোককাহিনীও। ত্বকের রোগ সম্পর্কিত গবেষণা সাময়িকী স্কিন–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লোককাহিনি অনুসারে, মার্গারেট গ্রিফিতের স্বামী তখন মৃত্যুপথযাত্রী। তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করেন। ইংরেজিতে ‘giving someone the horn’ বাগধারার অর্থ ‘বিশ্বাসভঙ্গ’। স্বামীর অভিযোগ অস্বীকার করে মার্গারেট বলেন, আমি যদি পরকিয়া করে থাকি তাহলে যেন আমার মাথায় শিং গজায়!
স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পরে মার্গারেট গ্রিফিথের কপালে সত্যি সত্যি চার ইঞ্চি শিং গজিয়েছিল! মার্গারেটের শিং বিশিষ্ট ছবি লন্ডনে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল।
আরেক কিংবদন্তি অনুসারে, কারও মাথায় শিং গজানোর অর্থ অন্যদের পাপাচারের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য হুঁশিয়ারি।
স্কিন জার্নাল সূত্রে আরও জানা যায়, কপালে শিংযুক্ত আরেক ব্যক্তির সাক্ষাৎ মেলে ১৫৯৮ সালে। ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন, তাঁর নাম ফ্রাঁসোয়া ত্রুভিলো। তবে ১৬৪২ সালে ডেনিশ চিকিৎসক, গণিতবিদ এবং ধর্মতত্ত্ববিদ টমাস বার্টোলিন শিং গজানোর এই ঘটনাগুলো তদন্ত করে জানান, কিউটেনাস হর্ন অতিপ্রাকৃত কোনো ঘটনা নয়। এটি মূলত ত্বকের টিউমার। ১৭৯১ সালে, ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক এভারার্ড হোম বার্টোলিনের অনুমানকে সমর্থন করে একটি নিবন্ধ লেখেন। ওই নিবন্ধে এভারার্ড হোম জানান, কিউটেনাস হর্ন মূলত টিউমার।
কিউটেনাস হর্ন নিয়ে ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০০৪ সালে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তুরস্কের আদনান মেন্ডারেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কিউটেনাস হর্নে আক্রান্ত ১১ জন মধ্যবয়সী রোগীর ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেন। সব রোগীরই দীর্ঘ সময় রোদে থাকার ইতিহাস ছিল। তাঁদের কিউটেনিয়াস হর্নের অবস্থান ছিল কান, হাত এবং মাথার ত্বকে। সবার শিং–ই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। কোনো রোগীর ক্ষেত্রেই শিংগুলোর পুনরায় গজায়নি।
কেন হয় কিউটেনাস হর্ন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে জানায়, ত্বকে কেরাটিনের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে কিউটেনাস হর্ন হতে পারে, বিশেষ করে ত্বকের সেসব স্থান সূর্যের আলোতে বেশি সময় উন্মুক্ত থাকে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, উচ্চমাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে এই রোগ হয়।
ম্যাগাজিনটি আরও জানায়, যে কারোরই কিউটেনাস হর্ন হতে পারে। তবে গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট মানুষ উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে থাকেন। তাঁরা হলেন,
যাদের ত্বক ফর্সা, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভিতে (যৌনরোগ সৃষ্টিকারী) আক্রান্ত ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের ত্বক খুব বেশি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকে।
নারীদের তুলনায় পুরুষদের কিউটেনাস হর্নে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। মুখমণ্ডলের ত্বকে গজানো কিউটেনাস হর্ন শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় বেশি ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে।
একই তথ্য জানা যায় স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন থেকেও। ওয়েবসাইটটি জানায়, কিউটেনাস হর্ন সংক্রামক নয়। এটি মূলত ত্বকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ঘটে এবং দেখতে অনেকটা শিংয়ের মতো। এটি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় এবং সাধারণত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা ত্বকে ঘটে।
এটি কারও ত্বকে দেখা যাওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কারণ এর থেকে ক্যানসার হতে পারে বা এটি ক্যানসারের লক্ষণ। কিউটেনাস হর্নের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচার, ওষুধ সেবন বা লেজার প্রয়োগের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
ওঠাবসা বা চলাফেরায় হুট করে কারও মাথার সঙ্গে ঠোকা লাগলে ওই স্থানে দ্বিতীয়বার ঠোকা দিতে হয়। নয়তো সেখানে গজাবে শিং! ছোটবেলায় এমন কথা কমবেশি সবাই শুনেছি। নিজেরাও হয়তো এমন করেছি। যদিও এমনটি কখনো ঘটতে শোনা যায়নি। এরপরও এমন ধারণা জায়গা করে নিয়েছে সাহিত্যে, নাটকে, সিনেমায়।যেমন, অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ২০২২ সালের ১৭ জুলাই তাঁর ফেসবুক ওয়ালে নিজের অভিনীত ‘ভাই বড় বিপদে’ নাটকের একটি দৃশ্য শেয়ার করে লেখেন, ‘মাথায় টোকা খেয়েছে, সো মাথায় শিং গজাবে।’ নাটকের ওই দৃশ্যে অপূর্বের সঙ্গে অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের মাথায় ঠোকাঠুকি হয়। এরপর অপূর্ব আবার পায়েলকে মাথায় ঠোকাঠুকি করে বলেন, ‘যাতে শিং না গজায়।’
মাথায় ঠোকাঠুকি হলে আসলেই শিং গজায় কি না বা পাল্টা ঠোকাঠুকিতে শিং গজানো ঠেকানো যায় কি না, এ নিয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায় না। যদিও সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ সূত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মানুষের মাথায় শিং গজানোর তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, ২০১৬ সালে জামালপুর জেলার আয়াত আলী শেখ নামে এক বৃদ্ধ মাথায় একটি শিং–সদৃশ বস্তু নিয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে মাথায় একই রকম শিং–সদৃশ বস্তু নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের কৃষক শ্যাম লাল যাদব। ওই সময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে শিং–সদৃশ বস্তুটি অপসারণ করা হয়।
সত্যিই কি মানুষের মাথায় শিং গজায়?
বৃদ্ধ আয়াত আলী শেখের ঘটনায় জামালপুরের তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রতন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃদ্ধের মাথায় গজানো জিনিসটি শিংয়ের মতো দেখতে হলেও এটি একটি রোগ। রোগটির নাম সেবাশিয়াস হর্ন। বিনাইন টিউমারের কারণে এটি হয়। এই টিউমারে ক্যানসারের কোনো উপাদান থাকে না, তাই এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলামের এই বক্তব্যের সূত্রে ইন্টারনেটে খুঁজে এই রোগ সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন সূত্রে জানা যায়, সেবাশিয়াস হর্ন রোগটি কিউটেনাস হর্ন নামেও পরিচিত। এটি তুলনামূলকভাবে বিরল রোগ, যা সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তরে দেখা দেয়। এটি দেখতে শঙ্কু (কোন) আকৃতির, শক্ত। কেরাটিনাস বৃদ্ধির কারণে এমন ঘটে। সাধারণত শরীরের যে অংশগুলো সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে সেই ত্বকে এটি হতে পারে।
সেবাশিয়াস হর্ন বা কিউটেনাস হর্ন প্রথম শনাক্ত হয় ১৫৮৮ সালে, এর সঙ্গে মিশে আছে লোককাহিনীও। ত্বকের রোগ সম্পর্কিত গবেষণা সাময়িকী স্কিন–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লোককাহিনি অনুসারে, মার্গারেট গ্রিফিতের স্বামী তখন মৃত্যুপথযাত্রী। তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করেন। ইংরেজিতে ‘giving someone the horn’ বাগধারার অর্থ ‘বিশ্বাসভঙ্গ’। স্বামীর অভিযোগ অস্বীকার করে মার্গারেট বলেন, আমি যদি পরকিয়া করে থাকি তাহলে যেন আমার মাথায় শিং গজায়!
স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পরে মার্গারেট গ্রিফিথের কপালে সত্যি সত্যি চার ইঞ্চি শিং গজিয়েছিল! মার্গারেটের শিং বিশিষ্ট ছবি লন্ডনে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল।
আরেক কিংবদন্তি অনুসারে, কারও মাথায় শিং গজানোর অর্থ অন্যদের পাপাচারের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য হুঁশিয়ারি।
স্কিন জার্নাল সূত্রে আরও জানা যায়, কপালে শিংযুক্ত আরেক ব্যক্তির সাক্ষাৎ মেলে ১৫৯৮ সালে। ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন, তাঁর নাম ফ্রাঁসোয়া ত্রুভিলো। তবে ১৬৪২ সালে ডেনিশ চিকিৎসক, গণিতবিদ এবং ধর্মতত্ত্ববিদ টমাস বার্টোলিন শিং গজানোর এই ঘটনাগুলো তদন্ত করে জানান, কিউটেনাস হর্ন অতিপ্রাকৃত কোনো ঘটনা নয়। এটি মূলত ত্বকের টিউমার। ১৭৯১ সালে, ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক এভারার্ড হোম বার্টোলিনের অনুমানকে সমর্থন করে একটি নিবন্ধ লেখেন। ওই নিবন্ধে এভারার্ড হোম জানান, কিউটেনাস হর্ন মূলত টিউমার।
কিউটেনাস হর্ন নিয়ে ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজিতে ২০০৪ সালে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তুরস্কের আদনান মেন্ডারেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কিউটেনাস হর্নে আক্রান্ত ১১ জন মধ্যবয়সী রোগীর ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেন। সব রোগীরই দীর্ঘ সময় রোদে থাকার ইতিহাস ছিল। তাঁদের কিউটেনিয়াস হর্নের অবস্থান ছিল কান, হাত এবং মাথার ত্বকে। সবার শিং–ই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। কোনো রোগীর ক্ষেত্রেই শিংগুলোর পুনরায় গজায়নি।
কেন হয় কিউটেনাস হর্ন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে জানায়, ত্বকে কেরাটিনের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে কিউটেনাস হর্ন হতে পারে, বিশেষ করে ত্বকের সেসব স্থান সূর্যের আলোতে বেশি সময় উন্মুক্ত থাকে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, উচ্চমাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে এই রোগ হয়।
ম্যাগাজিনটি আরও জানায়, যে কারোরই কিউটেনাস হর্ন হতে পারে। তবে গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট মানুষ উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে থাকেন। তাঁরা হলেন,
যাদের ত্বক ফর্সা, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভিতে (যৌনরোগ সৃষ্টিকারী) আক্রান্ত ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের ত্বক খুব বেশি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকে।
নারীদের তুলনায় পুরুষদের কিউটেনাস হর্নে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। মুখমণ্ডলের ত্বকে গজানো কিউটেনাস হর্ন শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় বেশি ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে।
একই তথ্য জানা যায় স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন থেকেও। ওয়েবসাইটটি জানায়, কিউটেনাস হর্ন সংক্রামক নয়। এটি মূলত ত্বকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ঘটে এবং দেখতে অনেকটা শিংয়ের মতো। এটি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় এবং সাধারণত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা ত্বকে ঘটে।
এটি কারও ত্বকে দেখা যাওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কারণ এর থেকে ক্যানসার হতে পারে বা এটি ক্যানসারের লক্ষণ। কিউটেনাস হর্নের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচার, ওষুধ সেবন বা লেজার প্রয়োগের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৭ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে