ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ফেসবুকে তিনটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে—ছবিগুলো এডওয়ার্ড মরডেক নামের ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন দুমুখো মানুষের।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—‘১৯শ শতকে জন্ম নেওয়া মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক। ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত যিনি ডাক্তারদের কাছে অনুনয় করতেন, যেন পেছনের মুখটি সরিয়ে দেওয়া যায়। শ্রুতি আছে, মরডেকের পেছনের মুখটা হাসতে পারত, কাঁদতে পারত, ফিসফিস করে কথা বলতে পারত, এমনকি কোনো জিনিস ধরতেও পারত। মূলত ফিসফিসিয়ে বলা কথাই তাঁর জীবনটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল।’
এ রকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনা পাওয়া যায়। একজন পাঠক লিখেছেন—‘আর কারও যেন এমন না হয়, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি।’
ফ্যাক্টচেক
এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ওই লোকগাথা লেখেন। তবে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবি তিনটির কোনোটিই ওই নিবন্ধে পাওয়া যায়নি।
লোকগাথাটি এ রকম—১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। উনিশ শতকে জন্ম নেওয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যিনি দুটি মাথা নিয়ে জন্মেছিলেন। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে। অথচ এই মানুষটির মাথার পেছনেও আর একটি চেহারার অস্তিত্ব ছিল। সেই অস্তিত্বটা হাসত, কাঁদত, আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করত এবং ওই মাথার ওপর এডওয়ার্ডের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না! এডওয়ার্ডের ধারণা ছিল—এটা ‘শয়তানের মাথা’।
রাতে যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতেন, তখন ওই বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলত তাঁকে! চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্য, কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্মহত্যা করে বসেন!
বোস্টন পোস্টে প্রকাশিত ওই কিংবদন্তির সূত্র ধরে ১৮৯৬ সালে ডা. জর্জ এম গোল্ড ও ওয়াল্টার এল পাইল তাঁদের ‘অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি’ নামের মেডিকেল কেস স্টাডি বিষয়ক নিবন্ধে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখেন। এরপর অনেক নাটক, প্রবন্ধ ও গানের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় মরডেক নামের কাল্পনিক চরিত্রটি। টম ওয়েটস তাঁর অ্যালাইস নামের অ্যালবামে এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে একটি গান প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো, ‘পুওর এডওয়ার্ড’।
২০২০ সালের ৯ জুলাই ডিয়াবোলিকো নামের একটি স্পেনীয় ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা ওই তিন ছবি ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আইডি থেকে শেয়ার হয়। ওই পোস্টে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ক্যাপশন গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে বাংলাদেশে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলোর ক্যাপশনের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো সত্যিকারের কোনো মানুষের নয়, বরং এগুলো মোমের তৈরি শিল্পকর্ম। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরের জন্য নির্মিত একটি প্রচারণামূলক ইউটিউব ভিডিওতে শিল্পকর্মটির ছবি পাওয়া যায়।
পানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড পর্যন্ত যে শিল্পকর্মটি দেখা যাচ্ছে, তারই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে এডওয়ার্ড মরডেক নামে দুমুখো মানুষ হিসেবে।
গত ৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিতে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে জাদুঘরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুসান ফায়েরবার নিশ্চিত করেছেন, ছবিটি তাঁদের একটি প্রদর্শনী থেকে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘রঙিন ছবিটি আমাদের একটি প্রদর্শনী থেকে তোলা হয়। এই শিল্পকর্মগুলো আমরা তৈরি করিনি। আমরা এগুলো রাশিয়া থেকে কিনেছি।’ সাদাকালো ছবিটিও ইউটিউব ভিডিওটির দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
জাদুঘরে শিল্পকর্মটির সঙ্গে সংযুক্ত জার্মান ভাষায় লেখা ফলকে সাম্প্রতিক ফেসবুকে লেখা তথ্যগুলোর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সেখানে স্পষ্ট বলা আছে—এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র। তবে সেখানে এডওয়ার্ড মরডেকের আত্মহত্যার বয়স ৩৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্টে অবশ্য লেখা হচ্ছে—মরডেক ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
মাথার খুলির যে ছবি ওই পোস্টগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে, তা মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবিটি আপলোড করেন। কুবলার নিজেকে অদ্ভুত ও অবাস্তব জিনিসের শিল্পী (Sculptor of the Bizarre) বলে দাবি করেন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডিতে অদ্ভুত ধরনের অসংখ্য ভাস্কর্যের ছবির দেখা পাওয়া যায়।
অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবসাইট ইটসি-তে কুবলারের শিল্পকর্মটির ছবি দিয়ে সেটিকে দুমুখো মানুষের মাথার খুলির অনুরূপ একটি ভাস্কর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি হাতে তৈরি এবং উচ্চতা ১৬ ইঞ্চি। তবে এরই মধ্যে পণ্যটি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
স্নোপস ও ইউএসএ টুডে ফ্যাক্টচেক বিভাগও এ–সংক্রান্ত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিদ্ধান্ত
দুমুখো মানুষ হিসেবে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরডেকের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এটি একটি লোকগাথা। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ১৮৯৫ সালে বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় ফিকশন চরিত্র হিসেবে এডয়ার্ড মরডেককে উপস্থাপন করেন। ফেসবুকে যে তিনটি ছবিকে মরডেকের বলে দাবি করা হচ্ছে, তার দুটি মূলত জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরে থাকা মোমের তৈরি একটি ভাস্কর্য। আর মাথার খুলিটি মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের হাতে তৈরি একটি ভাস্কর্য।
ফেসবুকে তিনটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে—ছবিগুলো এডওয়ার্ড মরডেক নামের ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন দুমুখো মানুষের।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—‘১৯শ শতকে জন্ম নেওয়া মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক। ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত যিনি ডাক্তারদের কাছে অনুনয় করতেন, যেন পেছনের মুখটি সরিয়ে দেওয়া যায়। শ্রুতি আছে, মরডেকের পেছনের মুখটা হাসতে পারত, কাঁদতে পারত, ফিসফিস করে কথা বলতে পারত, এমনকি কোনো জিনিস ধরতেও পারত। মূলত ফিসফিসিয়ে বলা কথাই তাঁর জীবনটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল।’
এ রকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনা পাওয়া যায়। একজন পাঠক লিখেছেন—‘আর কারও যেন এমন না হয়, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি।’
ফ্যাক্টচেক
এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ওই লোকগাথা লেখেন। তবে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবি তিনটির কোনোটিই ওই নিবন্ধে পাওয়া যায়নি।
লোকগাথাটি এ রকম—১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। উনিশ শতকে জন্ম নেওয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যিনি দুটি মাথা নিয়ে জন্মেছিলেন। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে। অথচ এই মানুষটির মাথার পেছনেও আর একটি চেহারার অস্তিত্ব ছিল। সেই অস্তিত্বটা হাসত, কাঁদত, আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করত এবং ওই মাথার ওপর এডওয়ার্ডের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না! এডওয়ার্ডের ধারণা ছিল—এটা ‘শয়তানের মাথা’।
রাতে যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতেন, তখন ওই বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলত তাঁকে! চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্য, কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্মহত্যা করে বসেন!
বোস্টন পোস্টে প্রকাশিত ওই কিংবদন্তির সূত্র ধরে ১৮৯৬ সালে ডা. জর্জ এম গোল্ড ও ওয়াল্টার এল পাইল তাঁদের ‘অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি’ নামের মেডিকেল কেস স্টাডি বিষয়ক নিবন্ধে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখেন। এরপর অনেক নাটক, প্রবন্ধ ও গানের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় মরডেক নামের কাল্পনিক চরিত্রটি। টম ওয়েটস তাঁর অ্যালাইস নামের অ্যালবামে এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে একটি গান প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো, ‘পুওর এডওয়ার্ড’।
২০২০ সালের ৯ জুলাই ডিয়াবোলিকো নামের একটি স্পেনীয় ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা ওই তিন ছবি ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আইডি থেকে শেয়ার হয়। ওই পোস্টে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ক্যাপশন গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে বাংলাদেশে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলোর ক্যাপশনের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো সত্যিকারের কোনো মানুষের নয়, বরং এগুলো মোমের তৈরি শিল্পকর্ম। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরের জন্য নির্মিত একটি প্রচারণামূলক ইউটিউব ভিডিওতে শিল্পকর্মটির ছবি পাওয়া যায়।
পানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড পর্যন্ত যে শিল্পকর্মটি দেখা যাচ্ছে, তারই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে এডওয়ার্ড মরডেক নামে দুমুখো মানুষ হিসেবে।
গত ৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিতে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে জাদুঘরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুসান ফায়েরবার নিশ্চিত করেছেন, ছবিটি তাঁদের একটি প্রদর্শনী থেকে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘রঙিন ছবিটি আমাদের একটি প্রদর্শনী থেকে তোলা হয়। এই শিল্পকর্মগুলো আমরা তৈরি করিনি। আমরা এগুলো রাশিয়া থেকে কিনেছি।’ সাদাকালো ছবিটিও ইউটিউব ভিডিওটির দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
জাদুঘরে শিল্পকর্মটির সঙ্গে সংযুক্ত জার্মান ভাষায় লেখা ফলকে সাম্প্রতিক ফেসবুকে লেখা তথ্যগুলোর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সেখানে স্পষ্ট বলা আছে—এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র। তবে সেখানে এডওয়ার্ড মরডেকের আত্মহত্যার বয়স ৩৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্টে অবশ্য লেখা হচ্ছে—মরডেক ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
মাথার খুলির যে ছবি ওই পোস্টগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে, তা মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবিটি আপলোড করেন। কুবলার নিজেকে অদ্ভুত ও অবাস্তব জিনিসের শিল্পী (Sculptor of the Bizarre) বলে দাবি করেন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডিতে অদ্ভুত ধরনের অসংখ্য ভাস্কর্যের ছবির দেখা পাওয়া যায়।
অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবসাইট ইটসি-তে কুবলারের শিল্পকর্মটির ছবি দিয়ে সেটিকে দুমুখো মানুষের মাথার খুলির অনুরূপ একটি ভাস্কর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি হাতে তৈরি এবং উচ্চতা ১৬ ইঞ্চি। তবে এরই মধ্যে পণ্যটি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
স্নোপস ও ইউএসএ টুডে ফ্যাক্টচেক বিভাগও এ–সংক্রান্ত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিদ্ধান্ত
দুমুখো মানুষ হিসেবে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরডেকের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এটি একটি লোকগাথা। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ১৮৯৫ সালে বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় ফিকশন চরিত্র হিসেবে এডয়ার্ড মরডেককে উপস্থাপন করেন। ফেসবুকে যে তিনটি ছবিকে মরডেকের বলে দাবি করা হচ্ছে, তার দুটি মূলত জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরে থাকা মোমের তৈরি একটি ভাস্কর্য। আর মাথার খুলিটি মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের হাতে তৈরি একটি ভাস্কর্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১ দিন আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
২ দিন আগে