ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস হয়। তৎকালীন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এই আইনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারী-পুরুষের বয়স নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক ও ফেসবুকে ‘বিয়ের বয়স মেয়েদের ১৬ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর বয়স করে মন্ত্রিসভায় নতুন আইন পাশ’ শীর্ষক একটি তথ্য ভিডিও ও স্ট্যাটাস আকারে প্রচার হতে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
টিকটকে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) এমন তথ্য সংবলিত প্রচারিত একটি ভিডিও আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ বারবার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৪ হাজার বার, রিয়েকশন পড়েছে ৪৫ হাজার বারের কাছাকাছি।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিডিসি নিউজ ৭১ নামের একটি অনলাইন পোর্টালে ভাইরাল দাবিটির অনুরূপ শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিবেদনটি ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় ‘বাল্য বিবাহের দোষে শাস্তি বাড়ছে, কমছে বয়স’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে হুবহু কপি করে নেওয়া।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত এক আইনে সাজার মেয়াদ এবং জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়, তবে একই সঙ্গে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স সীমা কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত আইনে নারীর জন্য বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ এবং পুরুষদের জন্য ২১ থেকে ১৮ করা হয়েছে। বিবিসির এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, আইনটি তখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত বা বিল হিসেবে ছিল, আইন হিসেবে পাস হয়নি।
প্রসঙ্গত, আইনপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবকে বিল বলে। ওই বিল সংসদে গৃহীত হলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে বা তিনি সম্মতি দিয়েছেন বলে গণ্য হলে সেটি আইনে পরিণত হয় এবং সংসদের আইন বলে অভিহিত হয়।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইটে সংসদে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ পাস নামে একটি প্রতিবেদন থেকে প্রস্তাবিত আইনটি সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুরো আইনটি পাওয়া যায়।
আইনটির দ্বিতীয় ধারার তৃতীয় অনুচ্ছেদে বিয়ের জন্য আইনে নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। দ্বিতীয় ধারার প্রথম অনুচ্ছেদে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম হলে বিয়ের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর। বিয়ের বয়স নির্ধারণ নিয়ে এই আইনের পরে নতুন করে কোনো আইন পাসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় বিশেষ বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।’
অর্থাৎ বিশেষ কোনো প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা বা অভিভাবকের সম্মতিতে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে বিয়ের ঘটনা ঘটলে সেটি বাল্য বিবাহ হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাতেও নির্দিষ্ট কোনো বয়সের বিষয়ে বলা হয়নি।
এসব তথ্য বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়, বিয়ের বয়স মেয়েদের ১৬ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর বয়স করে মন্ত্রিসভায় নতুন আইন পাসের দাবিটি সঠিক নয়।
বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস হয়। তৎকালীন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এই আইনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারী-পুরুষের বয়স নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক ও ফেসবুকে ‘বিয়ের বয়স মেয়েদের ১৬ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর বয়স করে মন্ত্রিসভায় নতুন আইন পাশ’ শীর্ষক একটি তথ্য ভিডিও ও স্ট্যাটাস আকারে প্রচার হতে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
টিকটকে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) এমন তথ্য সংবলিত প্রচারিত একটি ভিডিও আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ বারবার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৪ হাজার বার, রিয়েকশন পড়েছে ৪৫ হাজার বারের কাছাকাছি।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিডিসি নিউজ ৭১ নামের একটি অনলাইন পোর্টালে ভাইরাল দাবিটির অনুরূপ শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিবেদনটি ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় ‘বাল্য বিবাহের দোষে শাস্তি বাড়ছে, কমছে বয়স’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে হুবহু কপি করে নেওয়া।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত এক আইনে সাজার মেয়াদ এবং জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়, তবে একই সঙ্গে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স সীমা কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত আইনে নারীর জন্য বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ এবং পুরুষদের জন্য ২১ থেকে ১৮ করা হয়েছে। বিবিসির এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, আইনটি তখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত বা বিল হিসেবে ছিল, আইন হিসেবে পাস হয়নি।
প্রসঙ্গত, আইনপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবকে বিল বলে। ওই বিল সংসদে গৃহীত হলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে বা তিনি সম্মতি দিয়েছেন বলে গণ্য হলে সেটি আইনে পরিণত হয় এবং সংসদের আইন বলে অভিহিত হয়।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইটে সংসদে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ পাস নামে একটি প্রতিবেদন থেকে প্রস্তাবিত আইনটি সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুরো আইনটি পাওয়া যায়।
আইনটির দ্বিতীয় ধারার তৃতীয় অনুচ্ছেদে বিয়ের জন্য আইনে নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। দ্বিতীয় ধারার প্রথম অনুচ্ছেদে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম হলে বিয়ের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর। বিয়ের বয়স নির্ধারণ নিয়ে এই আইনের পরে নতুন করে কোনো আইন পাসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় বিশেষ বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।’
অর্থাৎ বিশেষ কোনো প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা বা অভিভাবকের সম্মতিতে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে বিয়ের ঘটনা ঘটলে সেটি বাল্য বিবাহ হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাতেও নির্দিষ্ট কোনো বয়সের বিষয়ে বলা হয়নি।
এসব তথ্য বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়, বিয়ের বয়স মেয়েদের ১৬ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর বয়স করে মন্ত্রিসভায় নতুন আইন পাসের দাবিটি সঠিক নয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
২১ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে