ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘ডেনমার্কে পড়তে এসে মাত্র ৫ মাসে কিনলেন গাড়ি’—গত ২৮ মে ‘সাদমান ভাই’ নামের একটি ফেসবুক পেজে এমন শিরোনামে দুটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবি দুটির একটিতে এক তরুণকে প্রাইভেট কারের পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে ১ হাজার মূল্যমানের একটি ড্যানিশ মুদ্রার নোট দেখা যায়। পোস্টটিতে গাড়ির সঙ্গে ছবি তোলা তরুণটি সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণ ডেনমার্কে বাবুর্চি হিসেবে চাকরি করেন। ঘণ্টা প্রতি ১৬০ ডলার বেতন তাঁর, বাংলাদেশি টাকায় যা ২ হাজার ৫০০ টাকা! প্রতি দিন ৮ ঘণ্টা কাজ করেন। সে হিসাবে তাঁর মাসিক আয় ৬ লাখ টাকার বেশি।
পোস্টটিতে ছবির তরুণের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওই তরুণ নিম্নবিত্ত পরিবারের। টাকার অভাবে আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন করতে পারছিলেন না এক সময়। পরে পোস্টদাতার কাছ থেকে টাকা ধার করে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেন। আর এখন তিনি ডেনমার্কে!
‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটি আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৫০–এর বেশি শেয়ার হয়েছে, পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ২৩ হাজারের বেশি। মন্তব্য পড়েছে ৩ হাজারের বেশি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ দাবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ ওই তরুণের ভাইরাল গল্পটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
ভাইরাল এ গল্পের সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভাইরাল ছবি দুটিসহ ‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটির স্ক্রিনশট পাওয়া যায় ‘হারুনুর রশিদ হীরা (Harunor Rashid Hira)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। গত ৩১ মে অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে হারুনুর রশিদ হীরা লেখেন, ‘সকাল থেকে প্রায় ৩০–৪০ জন মানুষ আমাকে এই সেইম স্ক্রিনশট দিয়ে জিজ্ঞেস করছে ঘটনা কী? সত্যি বলতে ঘটনা কী আমি নিজেই জানি না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি এমন একটা পোস্ট। এই পোস্টের প্রত্যেকটা কথা অসত্য, ভুয়া এবং বানোয়াট।’
এরপর হারুনুর রশিদ হীরা ভাইরাল পোস্টটির দাবিগুলো খণ্ডন করে লেখেন—
১. আমি কোনো বাবুর্চি না, আমি কোপেনহেগেনের একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে কিচেনে কাজ করি। (But i’m Not a chef)
২. ডেনমার্কের নিজস্ব কারেন্সি ড্যানিশ ক্রোনার, ঘণ্টা হিসেবে কাজ হয়, মার্কিন ডলারের (ইউএসডি) হিসেবে না।
৩. আমি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করি না, আমি একটি কোম্পানির অধীনে কাজ করি, সেখানে আমি নিজেই শিডিউল সেট করি আমার এবং আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের।
৪. আমার মাসিক আয় মোটেও ৬ লাখ টাকার ওপরে না, ম্যাক্সিমাম ২ লাখ হতে পারে।
৫. আমি কোনো নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে না, আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন সামরিক কর্মকর্তা।
৬. আমি যে বাবার সন্তান, আমার বাবার অনেক কোটি টাকা না থাকতে পারে, কিন্তু জন্মের পরে অভাব কী জিনিস তা আমি কখনো দেখিনি। তাই আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি কারও কাছ থেকে ধার করে পরীক্ষা দেব এটা খুবই হাস্যকর ব্যাপার।
৭. আমি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০১৩–২০২০ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করি। যারা সিলেট থাকেন তাঁরা জানেন, এই কলেজ কতটা ব্যয়বহুল!
হারুনুর রশিদ হীরা আরও লেখেন, ‘সে (সাদমান ভাই) যেই অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য জঘন্য মিথ্যা এবং বানোয়াট পোস্ট দিল, মানুষ কিন্তু সত্যি সেই অ্যাটেনশন দিয়েছে। নেগেটিভ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ভালোই কাজে লাগে। এই লোকের ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে যারা তার কাছে যাবেন অবশ্যই আপনারা বিপদগ্রস্ত হবেন। আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরলাম।’
হারুনুর রশিদের দাবি অনুযায়ী, তাঁকে নিয়ে ‘সাদমান ভাই’ পেজ থেকে দেওয়া পোস্টটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটিতেও বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এই লোক (সাদমান ভাই) ফ্রড, আইইএলটিএসের গ্রুপগুলোতে দেখেন সবাই, তাঁর ভণ্ডামির বহু পোস্ট আছে।’
‘সাদমান ভাই’ পেজের আরেকটি পোস্ট থেকেও এসব দাবির সত্যতা মেলে।
পেজটি থেকে গত ৩০ মে ‘নিম্নবিত্ত ফ্যামিলি থেকে Denmark গেল Full Free Scholarship নিয়ে!’ শিরোনামে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও আরেকজন মেয়ের কোলাজ ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘হয়তো কোনো এক ভোর রাতে আপনিও আমাকে ছবি পাঠিয়ে বলবেন, ভাইয়া স্বপ্নের দেশে চলে এসেছি! এ যেন এক অনেক বড় পাওয়া, প্রতিটি মানুষ তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাক এমন দোয়াই রইল। দুই দিনের জীবন আমাদের, চেষ্টা করুন তাহলেই জীবনে সাফল্য আসবে!’
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই পোস্টের ছবিতে থাকা মেয়েটির নাম নিশাত তাসনিম প্রাপ্তি। এই নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘সাদমান ভাই’ পেজ থেকে দেওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ তাঁর কোলাজ ছবিটি পাওয়া যায়।
অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিশাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ডেনমার্কের রসকিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড লিডারশিপ বিষয়ে মাস্টার্স করছেন। অ্যাকাউন্টটিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ তাঁর কোলাজ ছবিটি ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি সবসময় বলতাম বাংলাদেশে আমার কিছু নাই, এই দেশে থাকব না! ইমিগ্রেশন ক্রস করার সময় বুঝতে পারলাম এখানেই সব ছিল, আর আমি সবকিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’ পোস্টটিতে তিনি এই বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাউকে কৃতিত্ব দেননি।
অ্যাকাউন্টটিতে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশনে নিশাত লেখেন, ‘ইতার বাপ আমাকে স্কলারশিপ এনে দিসিল! ভণ্ড চোর আমার ছবি চুরি করে এসব পোস্ট দিচ্ছে নিজেরে আমার স্যার বলে বলে!’
পোস্টটির মন্তব্যে তাঁকে নিয়ে ‘সাদমান ভাই’ পেজটি থেকে দেওয়া একটি পোস্টের স্ক্রিনশটও পাওয়া যায়। ওই সময়ও তাঁর ছবি ব্যবহার করে গত ৩০ মের পোস্টটির মতো হুবহু পোস্ট দেওয়া হয়েছিল পেজটি থেকে। আরেকটি মন্তব্যে নিশাত লিখেছেন, ‘কী অদ্ভুত! নিজে নিজে আইইএলটিএসের প্রিপারেশন নিলাম বাসায় বসে! এখন এই সব বাটপারি দেখতে হচ্ছে! দেখেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে।’
হারুনুর রশিদ হীরা ও নিশাত তাসনিম প্রাপ্তির ঘটনা দুটি থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, ‘সাদমান ভাই’ পেজটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন গল্প যুক্ত করে পোস্ট দেয়। অন্তত দুটি পোস্ট যাচাই করে এসব গল্পের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
‘ডেনমার্কে পড়তে এসে মাত্র ৫ মাসে কিনলেন গাড়ি’—গত ২৮ মে ‘সাদমান ভাই’ নামের একটি ফেসবুক পেজে এমন শিরোনামে দুটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবি দুটির একটিতে এক তরুণকে প্রাইভেট কারের পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে ১ হাজার মূল্যমানের একটি ড্যানিশ মুদ্রার নোট দেখা যায়। পোস্টটিতে গাড়ির সঙ্গে ছবি তোলা তরুণটি সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণ ডেনমার্কে বাবুর্চি হিসেবে চাকরি করেন। ঘণ্টা প্রতি ১৬০ ডলার বেতন তাঁর, বাংলাদেশি টাকায় যা ২ হাজার ৫০০ টাকা! প্রতি দিন ৮ ঘণ্টা কাজ করেন। সে হিসাবে তাঁর মাসিক আয় ৬ লাখ টাকার বেশি।
পোস্টটিতে ছবির তরুণের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওই তরুণ নিম্নবিত্ত পরিবারের। টাকার অভাবে আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন করতে পারছিলেন না এক সময়। পরে পোস্টদাতার কাছ থেকে টাকা ধার করে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেন। আর এখন তিনি ডেনমার্কে!
‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটি আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৫০–এর বেশি শেয়ার হয়েছে, পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ২৩ হাজারের বেশি। মন্তব্য পড়েছে ৩ হাজারের বেশি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ দাবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ ওই তরুণের ভাইরাল গল্পটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
ভাইরাল এ গল্পের সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভাইরাল ছবি দুটিসহ ‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটির স্ক্রিনশট পাওয়া যায় ‘হারুনুর রশিদ হীরা (Harunor Rashid Hira)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। গত ৩১ মে অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে হারুনুর রশিদ হীরা লেখেন, ‘সকাল থেকে প্রায় ৩০–৪০ জন মানুষ আমাকে এই সেইম স্ক্রিনশট দিয়ে জিজ্ঞেস করছে ঘটনা কী? সত্যি বলতে ঘটনা কী আমি নিজেই জানি না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি এমন একটা পোস্ট। এই পোস্টের প্রত্যেকটা কথা অসত্য, ভুয়া এবং বানোয়াট।’
এরপর হারুনুর রশিদ হীরা ভাইরাল পোস্টটির দাবিগুলো খণ্ডন করে লেখেন—
১. আমি কোনো বাবুর্চি না, আমি কোপেনহেগেনের একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে কিচেনে কাজ করি। (But i’m Not a chef)
২. ডেনমার্কের নিজস্ব কারেন্সি ড্যানিশ ক্রোনার, ঘণ্টা হিসেবে কাজ হয়, মার্কিন ডলারের (ইউএসডি) হিসেবে না।
৩. আমি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করি না, আমি একটি কোম্পানির অধীনে কাজ করি, সেখানে আমি নিজেই শিডিউল সেট করি আমার এবং আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের।
৪. আমার মাসিক আয় মোটেও ৬ লাখ টাকার ওপরে না, ম্যাক্সিমাম ২ লাখ হতে পারে।
৫. আমি কোনো নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে না, আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন সামরিক কর্মকর্তা।
৬. আমি যে বাবার সন্তান, আমার বাবার অনেক কোটি টাকা না থাকতে পারে, কিন্তু জন্মের পরে অভাব কী জিনিস তা আমি কখনো দেখিনি। তাই আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি কারও কাছ থেকে ধার করে পরীক্ষা দেব এটা খুবই হাস্যকর ব্যাপার।
৭. আমি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০১৩–২০২০ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করি। যারা সিলেট থাকেন তাঁরা জানেন, এই কলেজ কতটা ব্যয়বহুল!
হারুনুর রশিদ হীরা আরও লেখেন, ‘সে (সাদমান ভাই) যেই অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য জঘন্য মিথ্যা এবং বানোয়াট পোস্ট দিল, মানুষ কিন্তু সত্যি সেই অ্যাটেনশন দিয়েছে। নেগেটিভ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ভালোই কাজে লাগে। এই লোকের ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে যারা তার কাছে যাবেন অবশ্যই আপনারা বিপদগ্রস্ত হবেন। আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরলাম।’
হারুনুর রশিদের দাবি অনুযায়ী, তাঁকে নিয়ে ‘সাদমান ভাই’ পেজ থেকে দেওয়া পোস্টটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ‘সাদমান ভাই’ পেজের পোস্টটিতেও বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এই লোক (সাদমান ভাই) ফ্রড, আইইএলটিএসের গ্রুপগুলোতে দেখেন সবাই, তাঁর ভণ্ডামির বহু পোস্ট আছে।’
‘সাদমান ভাই’ পেজের আরেকটি পোস্ট থেকেও এসব দাবির সত্যতা মেলে।
পেজটি থেকে গত ৩০ মে ‘নিম্নবিত্ত ফ্যামিলি থেকে Denmark গেল Full Free Scholarship নিয়ে!’ শিরোনামে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও আরেকজন মেয়ের কোলাজ ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘হয়তো কোনো এক ভোর রাতে আপনিও আমাকে ছবি পাঠিয়ে বলবেন, ভাইয়া স্বপ্নের দেশে চলে এসেছি! এ যেন এক অনেক বড় পাওয়া, প্রতিটি মানুষ তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাক এমন দোয়াই রইল। দুই দিনের জীবন আমাদের, চেষ্টা করুন তাহলেই জীবনে সাফল্য আসবে!’
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই পোস্টের ছবিতে থাকা মেয়েটির নাম নিশাত তাসনিম প্রাপ্তি। এই নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘সাদমান ভাই’ পেজ থেকে দেওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ তাঁর কোলাজ ছবিটি পাওয়া যায়।
অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিশাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ডেনমার্কের রসকিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড লিডারশিপ বিষয়ে মাস্টার্স করছেন। অ্যাকাউন্টটিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ তাঁর কোলাজ ছবিটি ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি সবসময় বলতাম বাংলাদেশে আমার কিছু নাই, এই দেশে থাকব না! ইমিগ্রেশন ক্রস করার সময় বুঝতে পারলাম এখানেই সব ছিল, আর আমি সবকিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’ পোস্টটিতে তিনি এই বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাউকে কৃতিত্ব দেননি।
অ্যাকাউন্টটিতে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশনে নিশাত লেখেন, ‘ইতার বাপ আমাকে স্কলারশিপ এনে দিসিল! ভণ্ড চোর আমার ছবি চুরি করে এসব পোস্ট দিচ্ছে নিজেরে আমার স্যার বলে বলে!’
পোস্টটির মন্তব্যে তাঁকে নিয়ে ‘সাদমান ভাই’ পেজটি থেকে দেওয়া একটি পোস্টের স্ক্রিনশটও পাওয়া যায়। ওই সময়ও তাঁর ছবি ব্যবহার করে গত ৩০ মের পোস্টটির মতো হুবহু পোস্ট দেওয়া হয়েছিল পেজটি থেকে। আরেকটি মন্তব্যে নিশাত লিখেছেন, ‘কী অদ্ভুত! নিজে নিজে আইইএলটিএসের প্রিপারেশন নিলাম বাসায় বসে! এখন এই সব বাটপারি দেখতে হচ্ছে! দেখেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে।’
হারুনুর রশিদ হীরা ও নিশাত তাসনিম প্রাপ্তির ঘটনা দুটি থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, ‘সাদমান ভাই’ পেজটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন গল্প যুক্ত করে পোস্ট দেয়। অন্তত দুটি পোস্ট যাচাই করে এসব গল্পের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৮ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে