ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, আজ ১০ ডিসেম্বর একটি খুব বিশেষ দিন। কারণ, প্রত্যেকের বয়স আজ ২০২৩! এটি প্রতি এক হাজার বছরে একবার ঘটে। এটি বের করার প্রক্রিয়া হলো, বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করা। যেমন, কারও বয়স পূর্ণ ১৪ বছর, জন্ম ২০০৯ সাল হলে দুটি সংখ্যা যোগ করলে হবে ২০২৩। এমনভাবে এটি সবার জন্যই হবে।
একই দাবিতে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল একটি ভিডিও আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৪ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ২৩ হাজার। শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি।
এমন তথ্য ফেসবুকেও প্রচার হতে দেখা যায়। ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা দাবিটি যাচাই করতে নিজের বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করে মন্তব্য করছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ দিলে সবার একই ফলাফল অর্থাৎ ২০২৩ আসে। এটি বিরল কোনো ঘটনা নয়।
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসের ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও ইন্টারনেটে অনুরূপ দাবি ছড়িয়েছিল। সে সময় দাবি করা হয়, ‘যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ দিলে যোগফল ২০১৮ হয়। যা প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে।’ মূলত এটি অতি সাধারণ পাটিগণিত। প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে এমন নয়।
নির্দিষ্ট বছরে জন্মতারিখ অতিবাহিত হওয়ার আগে এ কৌশল কাজ করে না। যেমন, ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর কারও জন্ম, চলতি ২০২৩ সালে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপনের আগে, অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর বয়স হবে ২২ বছর। ফলে ১০ ডিসেম্বরের আগে তাঁর জন্মসালের সঙ্গে বয়স যোগ করলে কখনোই ২০২৩ হবে না।
আইএফসিএন স্বীকৃত অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এএপি) ফ্যাক্টচেক জানায়, যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করলে সবার একই ফলাফল আসার দাবিটি ২০১৯ সালেও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। সে সময়ও দাবি করা হয়—এমন ঘটনা হাজার বছরে একবার ঘটে।
বীজগণিতের প্রভাষক এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব সায়েন্সের গবেষণা ফেলো ড. আনন্দ দেওপুরকর এ দাবিটি নিয়ে এএপি ফ্যাক্টচেককে বলেন, এটা খুব সাধারণ গণিত। যদি কেউ তাঁর বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করেন, ফলাফল সব সময় চলমান বছরই আসবে। এটি বিরল কিছু নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরুন এখন ২০২০ সাল। ২০২০ সাল থেকে আমার জন্মসাল ১৯৮৬ বাদ দিলে ফলাফল আসবে ৩৪। এটিই আমার বয়স। এখন এই যোগফলের সঙ্গে আবার জন্মসাল যোগ দিলে ২০২০ সাল অর্থাৎ চলমান বছর পাওয়া যাবে।’
আরও সহজ করে বললে, জন্মের পর কেউ যত বছর অতিবাহিত করে সেটিই তার বয়স। যেমন, জন্ম যদি হয় ২০০০ সালে, তাহলে ২০ বছর পর হবে ২০২০ সাল, সেই সঙ্গে তার বয়সও হবে ২০ বছর। শর্ত হলো, ২০২০ সালে তার বয়স পূর্ণ হতে হবে। ১৯ বছর কয়েক মাস কয়েক দিন—এমন হলে হবে না।
সিদ্ধান্ত
ইন্টারনেটে ভুল তথ্য ছড়ানোর একটি সাধারণ উৎস হলো সংখ্যাতত্ত্ব। এর আগেও সংখ্যাতত্ত্ব ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একাধিক ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ২০২৩ সালে প্রত্যেকের বয়স একই হওয়ার দাবিটিও এমন একটি ভুল তথ্য। এটি প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে এমন নয়, বরং এটি খুবই সাধারণ পাটিগণিত মাত্র।
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, আজ ১০ ডিসেম্বর একটি খুব বিশেষ দিন। কারণ, প্রত্যেকের বয়স আজ ২০২৩! এটি প্রতি এক হাজার বছরে একবার ঘটে। এটি বের করার প্রক্রিয়া হলো, বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করা। যেমন, কারও বয়স পূর্ণ ১৪ বছর, জন্ম ২০০৯ সাল হলে দুটি সংখ্যা যোগ করলে হবে ২০২৩। এমনভাবে এটি সবার জন্যই হবে।
একই দাবিতে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল একটি ভিডিও আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৪ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ২৩ হাজার। শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি।
এমন তথ্য ফেসবুকেও প্রচার হতে দেখা যায়। ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা দাবিটি যাচাই করতে নিজের বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করে মন্তব্য করছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ দিলে সবার একই ফলাফল অর্থাৎ ২০২৩ আসে। এটি বিরল কোনো ঘটনা নয়।
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসের ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও ইন্টারনেটে অনুরূপ দাবি ছড়িয়েছিল। সে সময় দাবি করা হয়, ‘যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ দিলে যোগফল ২০১৮ হয়। যা প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে।’ মূলত এটি অতি সাধারণ পাটিগণিত। প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে এমন নয়।
নির্দিষ্ট বছরে জন্মতারিখ অতিবাহিত হওয়ার আগে এ কৌশল কাজ করে না। যেমন, ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর কারও জন্ম, চলতি ২০২৩ সালে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপনের আগে, অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর বয়স হবে ২২ বছর। ফলে ১০ ডিসেম্বরের আগে তাঁর জন্মসালের সঙ্গে বয়স যোগ করলে কখনোই ২০২৩ হবে না।
আইএফসিএন স্বীকৃত অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এএপি) ফ্যাক্টচেক জানায়, যেকোনো বয়সী ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করলে সবার একই ফলাফল আসার দাবিটি ২০১৯ সালেও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। সে সময়ও দাবি করা হয়—এমন ঘটনা হাজার বছরে একবার ঘটে।
বীজগণিতের প্রভাষক এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব সায়েন্সের গবেষণা ফেলো ড. আনন্দ দেওপুরকর এ দাবিটি নিয়ে এএপি ফ্যাক্টচেককে বলেন, এটা খুব সাধারণ গণিত। যদি কেউ তাঁর বয়সের সঙ্গে জন্মসাল যোগ করেন, ফলাফল সব সময় চলমান বছরই আসবে। এটি বিরল কিছু নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরুন এখন ২০২০ সাল। ২০২০ সাল থেকে আমার জন্মসাল ১৯৮৬ বাদ দিলে ফলাফল আসবে ৩৪। এটিই আমার বয়স। এখন এই যোগফলের সঙ্গে আবার জন্মসাল যোগ দিলে ২০২০ সাল অর্থাৎ চলমান বছর পাওয়া যাবে।’
আরও সহজ করে বললে, জন্মের পর কেউ যত বছর অতিবাহিত করে সেটিই তার বয়স। যেমন, জন্ম যদি হয় ২০০০ সালে, তাহলে ২০ বছর পর হবে ২০২০ সাল, সেই সঙ্গে তার বয়সও হবে ২০ বছর। শর্ত হলো, ২০২০ সালে তার বয়স পূর্ণ হতে হবে। ১৯ বছর কয়েক মাস কয়েক দিন—এমন হলে হবে না।
সিদ্ধান্ত
ইন্টারনেটে ভুল তথ্য ছড়ানোর একটি সাধারণ উৎস হলো সংখ্যাতত্ত্ব। এর আগেও সংখ্যাতত্ত্ব ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একাধিক ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ২০২৩ সালে প্রত্যেকের বয়স একই হওয়ার দাবিটিও এমন একটি ভুল তথ্য। এটি প্রতি হাজার বছরে একবার ঘটে এমন নয়, বরং এটি খুবই সাধারণ পাটিগণিত মাত্র।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে