ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহফুজ আলম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে চালানো হয়েছে নানা প্রচারণা। এ প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়াও। এসব প্রচারণার অন্যতম হচ্ছে, মাহফুজ আলম ইসলামি বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। সম্প্রতি একই প্রসঙ্গে তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছেন।
ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহফুজ। তিনিই আজকের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড।’
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য দাবি করে ফেসবুকে ছড়ানো ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনটির প্রকাশকাল ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘হিযবুত তাহরীর নেতা মাহফুজকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে’।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই সময় চট্টগ্রামের একটি আদালত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নতুন করে আট দিনের রিমান্ড দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহান এই আদেশ দেন। এর আগে মাহফুজসহ আরও ১৪ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ২০১৯ সালের ২২ ও ২৩ নভেম্বর বন্দরনগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।
প্রতিবেদনটিতে আবদুল্লাহ আল মাহফুজের কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
পরে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪–এ ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজের পরিচয় পাওয়া যায়। পোর্টালটিতে ‘চট্টগ্রামে হিযবুত নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৫’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মহানগর প্রধানসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি।
সিএমপি দক্ষিণ জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আবদুর রউফ গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার। তিনি হিযবুতের চট্টগ্রাম শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম নামে আরেকজনও এ সময় গ্রেপ্তার হন। তিনি হিযবুতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রধান বলে জানায় পুলিশ। এরশাদুল পেশায় চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বলে পুলিশ জানায়।
প্রতিবেদনটিতে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশ কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়। এঁদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
একই তথ্য দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিএমপি নিউজও। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরে পোর্টালটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফের বরাত দিয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম হিযবুতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রধান। তিনি চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার।
দুটি প্রতিবেদনেই আবদুল্লাহ আল মাহফুজের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ বছর।
একই বছরের ৬ ডিসেম্বর আমাদের সময় ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ আল মাহফুজের আরও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রাম টেরিটরি ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মাহফুজ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চর খাগরিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে হিযবুত তাহরীর নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের একটি ছবিও পাওয়া যায়। এই ছবির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের ছবির মিল পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সম্পর্কে অনলাইনে বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রকমারির ওয়েবসাইটের লেখক প্রোফাইলে থাকা তথ্যানুযায়ী, মাহফুজ আলমের জন্ম ১৯৯৫ সালে সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে। এ হিসাবে ২০১৯ সালে মাহফুজ আলমের বয়স ছিল ২৪ বছর।
রকমারির লেখক প্রোফাইলে মাহফুজ আলম সম্পর্কে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম চাঁদপুর জেলার গল্লাক দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি (দাখিল) এবং তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি) পাস করেন। পরবর্তীকালে ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এক ব্যক্তি নন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাহফুজ আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও হিজবুত তাহরীর–শিবিরের সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে চালানো প্রচারণা সম্পর্কে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।
সেখানেও তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরে লিখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেলে, যে আমি ইসলামি বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি কখনো হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। ইকোনমিক টাইমসের এক সাংবাদিক আমার হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে। আমি আগে যেমন, এখনো তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। আমি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করিনি এবং এখনো করি না। সেই কারণে আমি তা’মীরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীদের মতো কোনো সুবিধা বা অধিকার পাইনি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামোফোবিয়া এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহফুজ আলম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে চালানো হয়েছে নানা প্রচারণা। এ প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়াও। এসব প্রচারণার অন্যতম হচ্ছে, মাহফুজ আলম ইসলামি বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। সম্প্রতি একই প্রসঙ্গে তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছেন।
ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহফুজ। তিনিই আজকের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড।’
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য দাবি করে ফেসবুকে ছড়ানো ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনটির প্রকাশকাল ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘হিযবুত তাহরীর নেতা মাহফুজকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে’।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই সময় চট্টগ্রামের একটি আদালত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নতুন করে আট দিনের রিমান্ড দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহান এই আদেশ দেন। এর আগে মাহফুজসহ আরও ১৪ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ২০১৯ সালের ২২ ও ২৩ নভেম্বর বন্দরনগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।
প্রতিবেদনটিতে আবদুল্লাহ আল মাহফুজের কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
পরে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪–এ ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজের পরিচয় পাওয়া যায়। পোর্টালটিতে ‘চট্টগ্রামে হিযবুত নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৫’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মহানগর প্রধানসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি।
সিএমপি দক্ষিণ জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আবদুর রউফ গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার। তিনি হিযবুতের চট্টগ্রাম শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম নামে আরেকজনও এ সময় গ্রেপ্তার হন। তিনি হিযবুতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রধান বলে জানায় পুলিশ। এরশাদুল পেশায় চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বলে পুলিশ জানায়।
প্রতিবেদনটিতে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশ কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়। এঁদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
একই তথ্য দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিএমপি নিউজও। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরে পোর্টালটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফের বরাত দিয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম হিযবুতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রধান। তিনি চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার।
দুটি প্রতিবেদনেই আবদুল্লাহ আল মাহফুজের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ বছর।
একই বছরের ৬ ডিসেম্বর আমাদের সময় ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ আল মাহফুজের আরও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রাম টেরিটরি ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মাহফুজ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চর খাগরিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে হিযবুত তাহরীর নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের একটি ছবিও পাওয়া যায়। এই ছবির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের ছবির মিল পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সম্পর্কে অনলাইনে বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রকমারির ওয়েবসাইটের লেখক প্রোফাইলে থাকা তথ্যানুযায়ী, মাহফুজ আলমের জন্ম ১৯৯৫ সালে সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে। এ হিসাবে ২০১৯ সালে মাহফুজ আলমের বয়স ছিল ২৪ বছর।
রকমারির লেখক প্রোফাইলে মাহফুজ আলম সম্পর্কে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম চাঁদপুর জেলার গল্লাক দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি (দাখিল) এবং তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি) পাস করেন। পরবর্তীকালে ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট, ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এক ব্যক্তি নন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাহফুজ আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও হিজবুত তাহরীর–শিবিরের সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে চালানো প্রচারণা সম্পর্কে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।
সেখানেও তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরে লিখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেলে, যে আমি ইসলামি বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি কখনো হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। ইকোনমিক টাইমসের এক সাংবাদিক আমার হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে। আমি আগে যেমন, এখনো তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। আমি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করিনি এবং এখনো করি না। সেই কারণে আমি তা’মীরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীদের মতো কোনো সুবিধা বা অধিকার পাইনি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামোফোবিয়া এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।’
শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১১ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগে