ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ভারতের টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইল ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দেরও আইপিএলে নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট যাচাই করে দেখা যায়, সুরজিৎ বর্মণ নামের ভারতের এক ফেসবুক পেজ থেকে ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এমন এক পোস্ট শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বার শেয়ার হয়। এতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ৮০০ বার। কমেন্ট বক্সে অধিকাংশ নেটিজেনদের পোস্টটির সমর্থনে মন্তব্য করতে দেখা যায়।
এটি ছাড়াও ফেসবুকে আরও একাধিক ভারতীয় আইডি থেকে তথ্যটি প্রচার করতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
অনুসন্ধানে আইপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রচারিত তথ্যের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল এডিট করে বা কেটে ছেঁটে ভিত্তিহীন তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোর সূত্রে এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে এ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ফেসবুকে প্রচারিত থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইলের পার্থক্য দেখা যায়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওয়েবসাইট, অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার), ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও থ্রেডসেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বভাবতই এমন কোনো সিদ্ধান্ত বিসিসিআই নিয়ে থাকলে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকত। সেই ঘোষণা ভারতীয়সহ বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচার হতো। প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড অনুসন্ধান করেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলা হান্টে গত ২২ নভেম্বর ‘পাকিস্তানের পর পরবর্তী IPL-এ নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা! কে নিলো এমন সিদ্ধান্ত?’ শীর্ষক শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের আইপিএলে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার সুযোগ নিয়ে যে খবরটি ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। আইপিএল গভর্নিং বডি এবং বিসিসিআই থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ উড়ো খবর।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর পর সকল ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তার পরের বছর থেকে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ভারতের আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে স্বাগতিকেরা। জবাবে ৪২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার এ জয় নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে উদ্যাপন করতে দেখা যায়। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের উদ্যাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রল করছে ভারতীয়রা।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভারতীয় টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল জুড়ে দিয়ে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএলে নিষিদ্ধ করার একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আইপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল ব্যবহার করে এ দাবি প্রচার করা হলেও এই গণমাধ্যমটির কোথাও এমন খবর প্রকাশিত হয়নি। সুতরাং, বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএলে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি ভারতের টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইল ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দেরও আইপিএলে নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট যাচাই করে দেখা যায়, সুরজিৎ বর্মণ নামের ভারতের এক ফেসবুক পেজ থেকে ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এমন এক পোস্ট শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বার শেয়ার হয়। এতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ৮০০ বার। কমেন্ট বক্সে অধিকাংশ নেটিজেনদের পোস্টটির সমর্থনে মন্তব্য করতে দেখা যায়।
এটি ছাড়াও ফেসবুকে আরও একাধিক ভারতীয় আইডি থেকে তথ্যটি প্রচার করতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
অনুসন্ধানে আইপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রচারিত তথ্যের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল এডিট করে বা কেটে ছেঁটে ভিত্তিহীন তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোর সূত্রে এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে এ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ফেসবুকে প্রচারিত থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইলের পার্থক্য দেখা যায়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওয়েবসাইট, অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার), ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও থ্রেডসেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বভাবতই এমন কোনো সিদ্ধান্ত বিসিসিআই নিয়ে থাকলে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকত। সেই ঘোষণা ভারতীয়সহ বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচার হতো। প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড অনুসন্ধান করেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলা হান্টে গত ২২ নভেম্বর ‘পাকিস্তানের পর পরবর্তী IPL-এ নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা! কে নিলো এমন সিদ্ধান্ত?’ শীর্ষক শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের আইপিএলে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার সুযোগ নিয়ে যে খবরটি ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। আইপিএল গভর্নিং বডি এবং বিসিসিআই থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ উড়ো খবর।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর পর সকল ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তার পরের বছর থেকে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ভারতের আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে স্বাগতিকেরা। জবাবে ৪২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার এ জয় নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে উদ্যাপন করতে দেখা যায়। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের উদ্যাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রল করছে ভারতীয়রা।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভারতীয় টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল জুড়ে দিয়ে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএলে নিষিদ্ধ করার একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আইপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এবিপি আনন্দের ইউটিউব থাম্বনেইল ব্যবহার করে এ দাবি প্রচার করা হলেও এই গণমাধ্যমটির কোথাও এমন খবর প্রকাশিত হয়নি। সুতরাং, বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএলে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থাকে ‘দুর্বৃত্ত-লুটেরা-মাফিয়া’ উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন-এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ফেসবুক পেজে ছড়ানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়। ঘামের মধ্যে পানি ও লবণ থাকে তা সাধারণভাবে সবাই জানে। কিন্তু ঘাম মানুষের শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়—এমন একটি কথাও বহুদিন ধরে লোকমুখে প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা রেস্তোরাঁয় ইফতারি করে বিল না দিয়ে চাঁদা চাওয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির হয়— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেবিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মধু সবার কাছে প্রাকৃতিক মহৌষধ নামে পরিচিত। তবে মধু খেলে অ্যালার্জি ভালো হয়— এমন ধারণা অনেকের। কিন্তু এই দাবির সত্যতা কতটুকু? চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
১ দিন আগে